সান্নিধ্যের সনদ

সান্নিধ্যের সনদ

তুমি যখন জমাট হতে শিখলে তখন দেখলাম,
তোমার কনুই থেকে গড়িয়ে পড়ছে ক’ফোটা ঘাম
একটা নীল প্রজাপতি বসে আছে তোমার ঠিক
মুখোমুখি। একটা আলনায় জমাট হয়ে আছে
একাকী, আমার খুব পরিচিত বন্ধনশিল্প।

তুমি যখন জমাট হতে শিখলে, মনে পড়ছে
এর দুদিন পর আমার সংগ্রহ থেকে গলে পড়লো
চারটুকরো বরফ। আমি মুঠোয় ধরে, মাখতে
চাইলাম আমার বুকে-মুখে-ত্বকে। একটা শাদা
বক উড়িয়ে নিয়ে গেলো সেই ছায়াদৃশ্য। আমি
অবাক হয়ে শুধুই তাকালাম মেঘের করুণার দিকে।

মানুষকে কখনও করুণাপ্রার্থী হতে হয়। পাথর দিয়ে
সান্নিধ্যের সনদটিকে ঢেকে রেখে দিতে হয় অন্য
আরেকটি মহাকালের জন্য। কারণ সব প্রেম স্পর্শ
করার অনুমতি দেয় না। সব প্রলয় উড়িয়ে নেয় না
বাষ্প, বৃত্ত আর নাভিমূলের নিসর্গমাখা প্রভাত কস্তুরী।

3 thoughts on “সান্নিধ্যের সনদ

  1. চমৎকার কবিতা। অভিনন্দন প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।

  2. ভাল লাগা রাখলাম কবি। কবি আপনি কাউকে মন্তব্য দেননি। মন্তব্যের উত্তর করেননি। অবাক হয়ে ভাবছি এমন কেন?

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।