বিনষ্ট পত্র
একটা সময় সামাজিক মূল্যবোধের পাহাড় ছিলো। আলোকিত আকাশ ছিলো।
অপকর্ম গোপনে হতো। এখন প্রকাশ্যে হয়। সবাই দেখে।
কিন্তু কেউ দেখে না। সবার চোখ ছিলো। এখন কারো চোখ নেই।
সবার মুখ আছে। সেই মুখে ভয়ের তালা ঝুলন্ত আছে।
বেশিদিন পূর্বে নয় ছোটরা বড়োদের সম্মান দিতো।
বড়োরাও ছোটদের প্রতিদানে আদর দিতো। ভালোবাসা দিতো।
এখন কেউ ছোট নেই। সবাই বড়ো আছে।
কেউ কারো কথা মানে না। উপদেশ শোনে না। সবাই জ্ঞানী আছে।
মূল্যবোধের সোনার বাটিটি সবাই বিনষ্ট আছে।
সবাই জানে ছাত্র-শিক্ষক কেমন সম্পর্ক ছিলো। একজন পিতা ছিলো।
আরেকজন সন্তান ছিলো।
এখন পিতা যেমন মারা গেছে। তেমনি সন্তান ও মারা গেছে।
শিক্ষক ছাত্রকে দেখলে বুকে বল পেতো। এখন ভয় পায়।
নকল ধরার ভয় আছে। পরীক্ষার হলে টাইম পানিশমেন্ট দিলেও ভয় আছে।
ছাত্রদের হাত অনেক বড়ো আছে। হাতে হাতিয়ার আছে।
মুদ্রার উল্টো পিঠ ও আছে।
ছাত্র শিক্ষককে দেখলে আস্থা পেতো। এখন অনাস্থা পায়।
প্রাইভেট, কোচিং না পড়ার জন্য নাম্বার কমে যাওয়ার আশংকা আছে।
তিরস্কারের চাবুক আছে। শ্যেনদৃষ্টির ভয় আছে।
সারাদেশে এমনি হাজার বিনষ্ট পত্র আছে। ক্ষয়ে যাওয়ার গল্প আছে!!
আসলেই তাই। সত্য বলেছেন কবি।
সারাদেশে এমনি হাজার বিনষ্ট পত্র আছে। ক্ষয়ে যাওয়ার গল্প আছে!! সহমত।
সত্যি কবি।
বড় অসময়!