নীলাঞ্জ

নীলাঞ্জ

নীলাঞ্জ তোমার ত্বকের কোষ গহবরে
নয়নাভিরাম সাপ নড়েচড়ে—
অন্তহীন রূপে কেঁপে উঠছে দালানকোঠা
তুমি যেও না দূরের ঐ গুহায়
পাহাড়ি মেয়েদের সমবেত পা’য়ের নৃত্যে
কি অবাধে তুলে দিচ্ছ নূপুরের বোল কিংবা
চুলের ফুলে হয়ে যাচ্ছ ভ্রমর গুঞ্জরণ।

যেও না নীলাঞ্জ, বলো না কথা ওদের সাথে
সুরঞ্জনা’কে যেভাবে থামতে বলা হয়েছিল
চাইছি না থামাতে
শুধু জানাতে চাই, নীলাঞ্জ তুমি ছিলেনা কোথাও
মাকু’র ঘষায় কারুকাজ ফুটছে, জানাতে চাই
জানাতে চাই, লেডিকেনি গুছিয়ে রাখছে অন্য কেউ
সুরকন্যা কিংবা তারো অধিক জন।

শবাধারে শুয়ে থাকা নীলাঞ্জ জেগে ওঠো
ঘেমে ওঠো আরেকবার
তোমার বুকের লোমকূপে শ্বেতশুভ্র সুগন্ধী ফুল দেখতে চাই
ত্বকের মরাকোষে জীয়নকাঠি রাখতে চাই
এখানে নারীরা মাতৃময়ী হোক অথবা
কুমারীরা লোভ জাগাক
যদিও নীলাঞ্জ তোমাকে নির্লোভ দেখতেই ভাল লাগে খুব।

3 thoughts on “নীলাঞ্জ

  1. কবিতাটির সাথে পূর্ব পরিচয় ছিলো। তারপরও পুনর্পাঠে একদম নতুন লাগলো। অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু তুবা। সালাম এবং সম্মান। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. জীবনদা যদি আপনার কবিতাটা পড়তেন তাহলে কি মন্তব্য করতেন?

  3. খুউবি সুন্দর লেখা আপনার দিদি ভাই।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।