সুখে থেকো
চাইনা আমায় হৃদয় ধোয়া জল
যাও ফিরে যাও অষ্ট প্রহর সুখে
আমার আছে অজানা পথ
নিকষকালো ধ্রুপদী সম্বল।
বাহুর ডোরে না থাক ফুলো লতা
কুঞ্জ কালো মেঘের সাথে বাঁধবো হাড়ি পাতিল
দেখবো চেয়ে ছন্নছাড়া পাখি
কেমন ডাকে বলে সে কোন কথা।
নাইবা পেলাম তপ্ত ভাতের থালা
পাহাড় বেয়ে পাথরকুচির সাথে
নামবে জেনো ঠাণ্ডা জলের ধারা
সেথায় আমার আপন নিবাস হবে
বাতাস লেগে গাছের পাতায় অনেক কথা কবে।
নাইবা থাকুক মিষ্টি মুখের হাসি
ঝরনার জলে ধুয়ে নেবো শোক
আমার মত মাধুকরী হয়ে
দেখবে আমায় কত শত লোক।
কেউ আনবে পদ্ম ফুলের মালা
কেউ দেবে জবা আমার পা এ
বৃক্ষলতা অন্ন দেবে ডালি
ঘুমিয়ে যাবো কোন গুহার গাঁ এ
জানবে তুমি গুহার কোন কোণে
সন্ন্যাসী এক ভীষন রকম তেজী
পথ ভুলে নিজেই নিজের কাছে
একটি ফোটা চাইবে তুমি সুখ
খুঁজতে যাবে কোথায় মুনি থাকে
হাতে নিয়ে নৈবেদ্যের ডালা
ধুলোপড়া চুল দারি আর গোঁফে
চিনতে তুমি পারবে নাকো মোরে
সিঁদুররাঙা তোমার সিঁথি থেকে
সিঁদুরবিন্দু ঝরবে আমার পায়ে
ধ্যানরত কোষ্ঠবদ্ধ চোখ একটিবার হয়তো যাবে কেঁপে
তবু আমি বলবো নাকো কথা
পাহাড়ি পথ ফেলে যাবো দূরে
সুখে থেকো পেয়ো না আর ব্যাথা।
"চাইনা আমায় হৃদয় ধোয়া জল; যাও ফিরে যাও অষ্ট প্রহর সুখে
আমার আছে অজানা পথ; নিকষকালো ধ্রুপদী সম্বল।"
কবি মনের অভিমান ফুটে উঠেছে লিখায়। বলবো অসাধারণ মানের একটি লিখা।
অনেক গুছিয়ে লিখেছেন মন দা। অনেক অভিনন্দন আপনার জন্য।
ভালো লাগল। শুভেচ্ছা।