ইনশাআল্লাহ এবং আলহামদুলিল্লাহঃ
উপরিউক্ত শব্দের মধ্যে কোন টা কোন সময়ে বলা প্রযোজ্য তা অনেকে সময় আমরা মিলিয়ে ফেলি। আমি এক দোকানে জিজ্ঞেস করেছিলাম, চিনিপাতা দৈ আছে? উনি বললেন, ইনশাআল্লাহ আছে। ইনশাআল্লাহ শব্দটার যে কতো বড় শক্তি তা বুঝতে পারলে হয়তো ঐ দোকানী এমন উত্তর দিতেন না।
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে এক ইহুদী এসে বলেছিলো, আপনি যদি সত্যি নবী হয়ে থাকেন তাহলে আমি এখন যে প্রশ্ন করবো তার উত্তর দিতে পারবেন। আর মিথ্যে নবী হলে এর উত্তর দিতে পারবেন না।
ইহুদী প্রশ্ন করেছিলো, “বলুন রুহ কি?”
নবী (সাঃ) যেহেতু আল্লাহর ওহী ব্যাতিরেকে নিজ থেকে কিছু বলতেন না তাই তিনি ওহীর জন্য অপেক্ষা করে ইহুদীকে বললেন, “আগামীকাল বলে দেবো”। কিন্তু নবী (সাঃ) ইনশাআল্লাহ শব্দটি বলতে ভুলে গিয়েছিলেন।
এর পর ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেলো। নবী (সাঃ) ঐ ইহুদী র প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলেন না। ১৭ দিন ওহী আসা বন্ধ ছিলো।
তারপর ১৫ দিন কিংবা ১৭ দিন পর আল্লাহ ওহী নাযিল করলেন।
“ইনশাআল্লাহ না বলিয়া কখনোই তুমি কোনও বিষয়ে বলিও না – আমি উহা আগামীকাল করিবো।” (সূরা কাহাফ, আয়াতঃ ২৩-২৪)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ এ আমরা যা করবো সেই ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলা আবশ্যক আর যা বর্তমানে হচ্ছে বা বর্তমান আছে এবং অতীত এ হয়ে গেছে সেই ক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ বলা আবশ্যক।
আমি এখন আমার জানা মতে একটি ইতিহাস বলবো। এটা যদি কেউ রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দ্যাখেন তাহলে দেখতে পারেন কিন্তু আমি বলছি ঐতিহাসিক দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে।
বাংলাদেশের এক মহান রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পুর্ব মুহুর্তে হাজার হাজার জনতার সামনে উনার ভাষনের শেষে বলেছিলেন, “এ দেশ কে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ! ”
মূলতঃ এই ইনশাআল্লাহ বলার কারনেই তখন আল্লাহর সাহায্য নেমে এসেছিলো। আম জনতা তাদের অন্তরের ভেতরে আল্লাহ প্রদত্ত এক দূর্বার সাহস পেয়েছিলো।
সেই স্বাধীনতা যুদ্ধেও বাংলাদেশের পক্ষে আল্লাহর সাহায্য ছিলো বলেই আমার বিশ্বাস।
পশ্চিম পাকিস্তান তখন সামরিক শক্তিতে পুর্ব পাকিস্থান এর চেয়ে অনেক শক্তিশালী ছিলো।
আমি শুনেছি অনেকের মুখে ভারত এবং রাশিয়া বাংলাদেশ কে অস্ত্র দিয়েছিলো। আমার প্রশ্ন, আল্লাহর ইশারা না থাকলে সবচেয়ে পরাশক্তি আমেরিকা পশ্চিম পাকিস্তান এর পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করতে চেয়েও কেনো যুদ্ধ করতে পারলো না। কেনো সপ্তম নৌ বহর আসতে পারলো না। অনেকে বলেন যে ইন্দিরা গান্ধী সপ্তম নৌ বহর আটকে দিয়েছিলেন। যে কারণে অনেকে মনে করেন ইন্দিরা গান্ধী নৌ বহর আটকে দিয়েছিলেন সে কারণ তখন আমেরিকার কাছে ম্যানেজ করা কঠিন কিছু ছিলো না। এই সেই আমেরিকা যে সৌভিয়েত ইউনিয়ন কে ভেংগে টুকরা টুকরা করে দিয়েছিলো কিন্তু কারোর কিছুই করার ছিলো না।
যিনি বলেছিলেন, “এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।”
হয় তিনি সূরা কাহাফের বর্ননা এবং উক্ত হাদীস শুনেছিলেন অথবা নিজেই পড়েছিলেন। মোট কথা তিনি জানতেন ইনশাআল্লাহ শব্দটির শক্তি।
যাইহোক, বলছিলাম ইনশাআল্লাহ এবং আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বুঝে শুনে বলা প্রয়োজন কারণ এ শব্দ দুটির অসীম শক্তি আছে।
ইনশাআল্লাহ এবং আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বুঝে শুনে বলা প্রয়োজন। এই শব্দ দুটির অসীম শক্তি আছে, এটা পূর্ণ সত্য এবং আমি তা বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ মি. ইলহাম।
কৃতজ্ঞতা জানবেন সূপ্রিয় শ্রদ্ধাস্পদেষু ( ব্লগ নামঃ মুরুব্বী)
এই শব্দগুলো ব্যবহারের গুরুত্ব অপরীসীম যা ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকেই শক্তভাবে প্রমাণিত কিন্তু আমাদের সভ্যতার উন্নয়নের জোয়ারে এগুলো কালেরগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। যারাও ব্যবহার করি তারাও ক্ষেত্রগুলোকে উপলব্ধি করতে পারিনা ইসলামিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার অভাবে বা জানার আগ্রহের অভাবোধ এর জন্য। উপযুক্ত সময়ে সমসাময়িক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ রইলো প্রিয় বন্ধু মি. ইলহাম
অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোলাগা রেখে গেলাম প্রিয় সাইদুর রহমান ভাই!!!
শব্দকে শব্দের আঁধারে বন্ধী না করে জেনে প্রয়োগ করা সবচেয়ে ভাল। শুভেচ্ছা দাদা।
বেশ সচেতনমুলক কথা
অনেক শুভেচ্ছা নিবেন দাদা————-