বাঁচার জন্য খাঁচার মাঝে

বাঁচার জন্য খাঁচার মাঝে

খুব ভয়েতে আটকে থাকে
চোখে দুটি পাতা
রান্না ঘরের মেঝেতেই
আমার বিছান পাতা।

মামানি আজ বলে গেলেন
নরবি চরবি কম
কথার ভার এমন ছিলো
ঠিক যেন এক যম্।
কি করি বল এর আগে তো
একলা থাকিনি
খিধে পেটেও বুক থেকে মার
মুখটি তুলিনি।

কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো
কান্না থামে না
মা কেন আজ এমন হলো
বুঝতে পারি না।
মামানির ছোট্ট মেয়ে
তার যে পুতুল সোনা
আমার জন্য তেমন একটা
যায় না কিগো কেনা?

ধরতে গেলেই খুন্তি হাতে
তেড়ে আসে যম
এই মেয়ে তুই বাবুর কাছে
আসবি কিন্তু কম।
মাঝে মাঝে বসে ভাবি
মামানি ও তো মা
তবু আমায় তার মেয়ের
সোদর ভাবেন না !

উঠতে বসতে চাঁদ কলঙ্ক
লাগে গালেতে
চাঁদের আলো ছিলো মায়ের
ভাঙ্গা চালেতে।
কেন যে মা তুই চলে গেলি
একলা ফেলে মোরে
মানুষ রূপের যম গুলো সব
আমার পাশে ঘোরে।

আমার যখন দুঃখ হতো
আকাশ পানে চাই
এই না মরার ফ্লাট ঘরে
আকাশ কোথায় পাই।
আকাশ পেলে তারার সাথে
গল্প করে ভোর
হঠাৎ গুতোয় চোখ মেলে চাই
এত বেলা হয়ে গেল
কি হয়েছে তোর?

____________
০৪/০৬/২০১১

4 thoughts on “বাঁচার জন্য খাঁচার মাঝে

  1. "উঠতে বসতে চাঁদ কলঙ্ক, লাগে গালেতে
    চাঁদের আলো ছিলো মায়ের, ভাঙ্গা চালেতে।
    কেন যে মা তুই চলে গেলি, একলা ফেলে মোরে
    মানুষ রূপের যম গুলো সব, আমার পাশে ঘোরে।"

    বেদনা মিশ্রিত একটি লিখা। মনটা আর্দ্র হয়ে উঠলো প্রিয় কবি খেয়ালী মন। :(

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।