পতঙ্গ উৎসব
তোমাদের বাংলোর বাগানে আজো কি শেফালী ফোটে?
শিমুল গাছের আশেপাশে তুলোর উড়োউড়ি
না-কি পেঁজা মেঘ বসে থাকে ছাদের আলসেতে?
এখনো ভোরের গন্ধটা ওই একতলা বাড়ি ছোঁয়া
কাছে-পিঠে সারি সারি ন’দশ তলা দালান-কোঠা
ছাদের বিলাসী টবে অচেনা ফুল, আকাশ হয়েছে পরবাসী।
সেই যেদিন উঠানে মাটির চুলা বানালেন মাসীমা
চিতই পিঠা হয়ে আসবার আগেই ছুটছিল এর ওর হাতে
তোমাদের অনাবিল সুখ তখনো কেড়ে খেতে ইচ্ছে হতো
গিলটি করা চুড়িতে কখন যে উবে যেত স্বর্ণালংকার খেদ!
টাকরায় লবন মেশানো শশার স্বাদ আজো টকাশ শব্দ তোলে
তোমাদের ছিল না বাগান কোনো, বুনো বৈচি ভরা অঙ্গন শুধু।
এই দ্যাখো আমাদের এখানে বরষা নেই, নেই কুয়াশার ওম
সিঁড়ি ভেঙ্গে দরজায় আসতে রোজ হাঁপিয়ে ওঠে রোদ
তোমাদের ছোট ছোট সুখ আজো দৃষ্টি ফেরায় পেছনে
অট্টালিকার বন্দী মৌচাক ঘিরে তোমরা তবু পতঙ্গ হয়ে যাও।
চমৎকার এই কবিতার জন্য অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু তুবা। শুভ সকাল।
"টাকরায় লবন মেশানো শশার স্বাদ আজো টকাশ শব্দ তোলে"
বাহ! অসাধারণ কবি

অশেষ মুগ্ধতা প্রিয় দিদি ভাই।