শিরোনামহীন কবিতা

নারকেলের পাতার ফাঁকে পাতলা হয়ে
উঁকি দেয় গেরুয়া ঝিরিঝিরি মেঘচোখ,
তেত্রিশ সার্পেন্টাইন লেনে
সি শার্পে মাথা দোলায় ষাটের দশকের
হলদিবাড়ির স্মৃতির অ্যাকর্ডিয়ান
আর পিটারের যাযাবর গিটার,
রাত্রির দ্বিতীয় চরণ সবে আদরপর্বে।

টুপচুপ আকাশগ্ল্যান্ডের ক্ষরণে
আশ্রয়চ্যুত চারপেয়ে দোপেয়ের যুগলবন্দী
খুঁজে বেড়ায় একটুকরো বেশ্যাছাদ-
অন্তত সেখানে কেউ
গেট আউট বাক্যবন্ধে বাস করেনা।

একটানা ঝিমঝিম বেজে চলা টিনশেড-
দূরের কারখানার বেরসিক ভোঁ-
দেওয়ালে ঝোলানো চারকোনা
বাক্সের লাম্পট্য বিলাস-
উদাসী রাতস্পর্শে বিন্দুছাপও ফেলেনা।

শোঁ শোঁ হাওয়ায় কোন দূরবাসিনীর গলায়
ফিরে ফিরে আসে ইন্দুবালা রাগ বেহাগে।

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

4 thoughts on “শিরোনামহীন কবিতা

  1. বিশ্বাস করতে চাই যে, এটি কোন শিরোনামহীন কবিতা নয়। আশা করবো কবি নিশ্চয়ই উত্তর করবেন। ধন্যবাদ প্রিয় সৌমিত্র। :)

  2. "নারকেলের পাতার ফাঁকে পাতলা হয়ে
    উঁকি দেয় গেরুয়া ঝিরিঝিরি মেঘচোখ"

    বিনির্মাণে ভীষণ মুগ্ধ ! 

  3.  

    * থিম কল্পনা অসাধারণ…

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।