মহা প্লাবনের দিন

নূহের কিসতি যথেষ্ট তাগড়াই।
তাবৎ প্রাণীকুল এঁটে যায় তাতে।

কিন্তু আমিও যে নৌকো গড়িয়েছি, অগুন্তির বানি গুনে গুনে দিয়ে!
ওঠা তো দূরস্বপ্ন! ছুঁতেই দিই না কাউকে।

আর, তারপর পর তো কেবলই বয়ে বয়ে যায় কথা আর কথা
-কথা- কথা-কথা দিয়ে দিয়ে মধুক্ষর বিহানের বেলা…

এ্য- তো কিসের কথা
মিনিটে সহস্র বার সহস্রের ধারে!

অতঃপর, একটা দিনেরই হঠাৎ এর ছলোৎচ্ছল জল- মিলে- যাওয়া
লোনাস্বাদী সুদুর আশমানী নক্ষত্র গন্ধে
এলোমেলো বাসী চুলের গুছি ধরে ধরে
কি মায়ায় যে প্রভাতী আঙ্গুল বুলিয়ে বুলিয়ে চলে গেলে…
আরও কি কি সব ভালবাসা বলতে বলতে…
ঠোঁটও ঠেকালে কি!
নির্ভুল মনে আছে তিনটে মুনিয়া
কোত্থেকে ঢুঁড়ে এনে তিন চোখে তুলিতে বসালে…
আর.. আর.. কুর্চি ছড়িয়ে দু- চার -পাঁচটা..
আর.. আর… আরো কি সব….ফিসফাসে..
..জানিনা, যাও। আরো আরো কি কি সব…

আমিও অমনি
আদেখলা মায়া- ছোঁয়া পেয়ে
জেগে উঠতে ভুলে গেলাম…
ভুলেই গেলাম একেবারে।

আর ভুল – ঘুমে কাদা মোহনায়
আমার সেই বানি দিয়ে কেনা নৌকো
চড়াৎ চড়াৎ শব্দে
আত্ম ধ্বংসী বেবাক দুফাঁক।

5 thoughts on “মহা প্লাবনের দিন

  1. আপনার লিখায় ভিন্নতা অন্য কারু থেকে আলাদা; যা সহজেই নজরে পড়ে বন্ধু। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।