রত্না রশীদ ব্যানার্জী এর সকল পোস্ট

এখন যেমন

কিছু তাস গোছানোই থাকে, অল্পে কিছু আশা,
অভিমুখী অবিরত হাত মুন্সিয়ানা ছানে,
এই আছি এই নেই, আজকের নিঃশ্বাসের মানে,
পরিস্থিতিগতভাবে বদলে যায় কুশীলবী ভাষা।

চোখ তো দেখেছে রূপ-তেষ্টা-প্রেম-উচ্চাশা,
স্থাপত্য বৈভবে তবু অহংকারী মৃত বৃক্ষডাল–
কাকে যে ডোবাবে তুমি, কাকে দেবে বুকের আড়াল,
ভুলেগেছো সংগোপনী রোদ-বৃষ্টি-শিশির-কুয়াশা।

বিকল্পিক

আমার শেকলেরা বহুদিন নূপুরের নামাবলি
রেখেছিল গায়ে।
সিঁদুর যেমন ক্ষত, লোহা হ্যান্ডকাপ্,
চিরায়ত নারী ঢং – য়ে
অতর – সতর হয়ে
শতেক খোয়ারি পড়ে ফেলে
ধুন্ধুমার পড়ি – মড়ি জঙ্গুলে
হাওয়ায় সেই এয়ো চিহ্নেরা
দুদ্দাড় পিঠটান,
বেবাক উধাও…

এবার তোমারই নতুন পালা
নির্বিকল্প সন্ন্যাসীর সাজে
অতসীর বনে বনে
নূপুর বিকল্প খুঁজে ফেরা…

এভাবেই যদি …

এভাবেই যদি রোজ চেরাজলে ডুবে যায়
নতমুখী পাপড়ি- বিন্যাস,
গহীন নোঙর- কাঁটা নাল্ হয়ে
নির্বিবাদী গ্রীবাকে জড়ায়,
অব্যর্থে খোয়া যায়

পদ্মকোরক ফোটা মগজ-বৃওের
তুলকালাম শব্দদেহীদের
নিশিঘোর মেদুর-মিছিল,

বদরক্ত খোয়ারীর অম্লজান রসের জারকে
যদি মূল সময়ই বয়ে বয়ে নষ্ট হয়ে যায়
ফেটে যায় বিনা আঁচে
আয়ওের যাবতীয় দুধেলা সরাই…

তবে বিপন্ন ছায়াময়
হে হাওয়াহারী কল্পদ্রুম তুমি,
তুমি আর অলৌকিক পদ্মনাল নোঙর কাঁটায়
বিষন্ন সুষুম্নায় মায়াহীন কেন গাঁথো
কবোষ্ণ কোরকের অলীক মিথুন !!

সাদা ক্যানভাস

যে যাকে ভালবাসে, সে- ই তার ভয়।
আছে, তবু নেই হয়ে কৃচ্ছতায় ভাসা,
পেতে রাখা ফাঁদে দেবে ইচ্ছাব্রতী – পা,
সন্ধ্যারতি খেয়ে যাবে আখড়া – আশ্রয়।

মৃত্যু নিশ্চিত্ জেনেও যুদ্ধ নেবে মাথা,
কারো কারো এমনই জন্মরোগ থাকে।
যত কেন ভেতর- বার ছতিচ্ছন্ন হোক
স্বকীয় স্বভাব তবু হাঁটে না অন্যথা।

ভুল পাহাড়ের কোলে ঝুলন্ত রূপ- কল্পকথা
এধারে- ওধারে সব লটকে প’ড়ে কুচি কুচি সুখ,
খুঁটে নিতে নাজেহাল অন্যব্রতী রক্তমুখী প্রাণ,
মজুতে রং ও তুলি, র’য়ে যায় ক্যানভাস সাদা।

ঘন হ’য়ে প্রাণে বেঁধে মৃত্যুযোগ ও ঠেলি,
তবু তো সুজন তুই পরই র’য়ে গেলি।

সংক্রান্তি

maka

অস্থির যুবার মতো ওলোট পালোট করা
আমার স্বভাবগত নয়।
তাই, থাকছি – থাকবোও।
অবশ্যই এ নিয়ে বিজ্ঞাপিত ভাবনা নয় আদৌ।
কারণঃ ভাবের কপাটে চাবি,
চাবিকাঠি অন্যের জিম্মায়।

কেমন রয়েছে গাঁথা বন্ধ্যা দাওয়ায়
নিরুপায়ী বে-আব্রু শরীর –
নিয়ত অনুগ্রহ জতুগৃহে
ঠায় বসে থেকে থেকে
আপাদমস্তক ঘন শক্ত ফসিল।

এখন, অবিশ্বাসী- ছইহীন-চটাওঠা
ডিঙি ঢুঁড়ে ঢুঁড়ে শুঁটকি গন্ধ ছাওয়া
ছাত্লা ধরা নোনা খোলচায়
একবিংশের সপ্রতিভ নারী
আমি ঠিক অস্তিত্বের নলেন সুগন্ধিটুকু
আলো – হাওয়াদের আনাচে – কানাচে
মাত্রাহীন হীনমন্যতায়,
সহজাত যন্ত্রনাতে
আবিস্কার করে করে যাই –
অস্থির যুবার মতো শস্ত্র হয়ে ফেরা
আমার যে স্বভাবে আসে না।

অস্থির যুবার মতো ভাঙ্গচুর করা
একেবারে স্বভাবেই নেই।
তাই, দিকচক্রবাল জোড়া
মুগ্ধ – প্রতিবন্ধী জাল কেটে
নিঃসাড়ে আসতে হলো
ভৈরবের গাজন তলায় –
বাউন্ডুলে গাজন – যোগীর
খুলিনাড়া আজ্না – বাজনা
জীয়ন্ত করোটীর স্নায়বিক ভাঁজে
বড়ো কষ্টে গেঁথে নিই –

ফিরবো তো নিশ্চয়ই,
আমার যে অস্থিরতা নেই- ই,
তাই ফিরবো সুনিশ্চিত্।
এবং শুধু ফিরবো যে তাই- ই নয়,
বছর কাটাবো ঐ দুর্গন্ধে সুগন্ধের ঘোরে।
গাজন – বাজনা তাই
মগজের ভাঁজে পুরে নেওয়া
আজকের তীব্র প্রয়োজন।

কিন্তু তবু বলে যেতে চাই –
গাজনে এসেছি বলে
সহজেই খাজনা ফুরাবো
এমন ভেবোনা –

অস্থির যুবার মতো সর্বস্ব গুঁড়িয়ে দেওয়া
যেহেতু স্বভাবগত নয় –

একান্তে গড়ছি তাই,
সর্বাঙ্গ নিঙরে আনা
তাবৎ কর্মক্ষমতায়
রোজ রোজ পাকা ধানে
মই দেওয়া ইদুঁরের
সর্বশেষ আশ্রয়ের কল।

ভুল-শৃঙ্গার

একটা খুব শান্তিনিকেতনী গিফ্ট্ নিয়ে
এদান্তি বড়োই বেতালায় বেজেই চলেছি, – ক’দিন।
তালেবর স্মৃতিচারী বড়ো জব্দে নাজেহাল মন ও মনন।
ভুল তাই হয়ে যেতে পারে বেমালুম যখন ও
তখন।

এখন কোথায় যে পোক্ত বেড়া টেনে তুলে দিয়ে
সজীব জমিন্ কে ইচ্ছালীন – স্ববশে রেখে দিতে হয়,
জায়গা বিশেষে তার চুলচেরা হিসেবের ভাগ
বুঝে নিতে বেমালুম ভুল হয়ে যেতে পারে।

ভুল তো হতেই পারে, – ভুল হয়ে যায়,
সততই স্বতঃস্ফুর্ততায়।

আর ভুলেরও তো হিস্ট্রী – জোগ্রাফী থাকাই সম্ভবঃ
ধুল্ চেহ্ রে পে থা, পর আইনা সাফ্ করতা গয়া …

এতো চাপ্ – এতোখানি মনের উওাপ –
সহজেই ভুল করে দিতে পারে হিসেবের ভাগ।
কোথায় যে নীলপদ্ম চোখ চেয়ে ডাহুকের বিলে,
কোন্ চরে চিৎপাতে পড়ে আছে আবাগী – সংসার,
কোথায়ই বা দেবীদহে শ্মশান- উল্লাস ঘিরে তাণ্ডবের নাচ –
স-ব টুকু আগে থেকে জানা- চেনা থাকলেও
ভুল কিন্তু বেমালুম হয়ে যেতে পারে।

ভুলভাল হতে পারে বহু যতনের গাঁথা কবরীবিন্যাস,
ভুলভাল কেশগুছি, ভুল গ্রন্থি প্রয়োগ বিশেষে –
পুরুষী হাতের আনাড়ীপনায় ভুল তো হবেই হবে –
জায়গা বিশেষে ভুল করে যেতে থাকবে প্রেমিকের হাত।

তখন, ভুল সুরে উদ্ভাসিত পুরুষের সজীবন্ত
নাচার উচ্চারঃ
‘এসো সই, শালুক ফুলের বেড়ে বেঁধে দিই
বিনুনী তোমার’…

দাস- ইতিহাস

ওই যারা ঘাড় উঁচু সূর্যটা দেখতে গিয়ে
বেমালুম চুর্ করে মালাইচাকিটা,
নাম কাটা যায় তার দৌড়সারিতে
আর পাঁচটা গড়-পড়তা কাঁধে কাঁধ দিতে।

রাজপথের আদত নির্মিতিই যেন
বহমান প্রাণমিছিল উগলে দিতে,
এবং এ সংসার যার সঙ্গে বাধ্যতার কালই কাটায়

সে-ই বা কীভাবে পেরে ওঠে
ঝিম্ মেরে সেঁটে যেতে
চলন্ত রাস্তা- বিপরীতে।

আজ নয় ন্যালাক্ষ্যাপা জামবাটি হাতে।
কিন্তু এতোদিনে কতো কতো ঋণই জমেছে
হাওয়া-মাটি-কাঁটা-এর-তার কাছে
আর তিনি গাছ….
তিনি যদি সত্যি বৈরাগী,
তার চ্যালা তবে নির্মোহ ঘাস।

দান-সাগর ভক্তির তিরতিরে হিমেল আভাস
পরাস্ত সৈনিকের ভ্রুতে ঝ’রে ঝ’রে
নির্বিঘ্নে ফের দেয় চালু করে
হাঁটুমোড়া কুর্ণিশের দাস-ইতিহাস।

বিসর্জন

এটা কোনো ঘর? খালিপেট কন্টেনারে
ঠাসা চিরকাল।
পাখিচোখ সঠিক সতর্কে সারে
সুরতের হাল।

কাজে ও অকাজে ভাঙ্গাচোরাবাঁকা
শুধু জড়াবড়ি
আদপেই নয়ওতো চারুকলা আঁকা
শঙ্খ বা কড়ি
যে বুকে করে যত্নে রেখে দেবে
কাচের শোকেসে,
সশরীর আরামেতে যাবে
শ্রমসুখে ভেসে।
শক্তহাতে ক্ষীর চেঁছে রেখে
বাকি ফেলে দাও
যেন, দূষণে তিক্ত হবে মধুমাস
আবহাওয়াটাও

বিসর্জিতা প্রতিমারা চিৎসাঁতরে
কতটুকু যায়?
আনমনা ছবি হয়ে ভেসে থাকে
নদীর চরায়…..

আবার হলোতো দেখা

সে চলে যাবার পর আজ ভোররাতে পাঁচ বছর পর দেখা করতে এলো। আমি স্বস্বভাব মতো দেখামাত্রই ধুম ধাড়াক্কা জুড়ে দিলাম… কি ব্যাপার বলতো,
দুম করে কোথায় চলে গেলে, আমাকে বলে পর্যন্ত যাবার প্রয়োজন বোধ করলে না?

আমার রাগকে ও থোড়াই গ্রাহ্য করে। আগের মতোই মিটিমিটি হাসতে লাগলো।

… বলবে তো কোথায় গেছিলে? আবার রয়েও গেলে এতোদিন ধরে?

সে তো হাসি মুখে মুখ বুজেই রইলো।

আমার রাগ তাতে আরো বাড়তে লাগলো,… কতো দিকে কতো ঝামেলা সংসারের, আমি এসব কখনো কোনোদিন করেছি? বাজার হাট, ব্যাঙ্ক পোস্টঅফিস, পারিবারিক দায়িত্ব কর্তব্য কখনো কোনো দিনও করতে দিয়েছো আমায়? তবে আজ এমন আমার আনাড়ি কাঁধে এমন গন্ধমাদন চাপিয়ে দিলে কেন বলো।

এতক্ষণে কথা বললো,… আমি তো তোমাকে সবদিক দিয়ে তৈরি করে দিয়েছি। তুমি সামলাতে পারবে জেনেই তো দায়িত্ব দিয়েছি তোমায়।

… বয়ে গেছে আমার তোমার এইসব এলেবেলে দায়িত্ব নিতে। আমার লেখা পড়া হয়না, কঠিন কিছু বুঝিয়ে দেবার কেউ পাশে নেই, তাছাড়া এটা আমার একার সংসার নাকি! পালাবো একদিন আমি এইসব ঘরবাড়ি সংসার ছেড়ে…

… সত্যি, সেই একই রকম অবুঝ আর রাগী রয়ে গেলে তুমি। আমার কোনো উপায় থাকলে তোমার ওপর এ্যাতো বোঝা চাপাই? বলো, চাপিয়েছি কখনো?

… সেই জন্যেই আমার রাগ হচ্ছে। এখন শক্তি কমে গেছে আমার, গুছিয়ে কিচ্ছুটি করতে পারিনা… আর…

কথা শেষ করতে না দিয়ে ও এগিয়ে এসে আমার হাতটা ধরে নরম করে বললো,… অধৈর্য হয়ো না, আমি রয়েছি তোমার সঙ্গে… তবে এখন আমাকে একটু বেরোতে হবে… রাগ কোরোনা…
… আবার! আবার বেরোবে তুমি!

বলতে বলতে ও সদর দরজার দিকে এগোতে লাগলো… আমি হাত ধরেও আটকাতে পারছি না… এই প্রথম আমি কেঁদে ফেললাম, বেশ.. তবে তোমার ফোন নং টা দিয়ে যাও…

ওরও দুচোখ ভর্তি জল, ধরা গলায় বলে গেলো… আর তো আমি মোবাইল ইউজ করিনা গো…

( আমি মৃত্যু পরবর্তী আত্মায় বিন্দু মাত্রও বিশ্বাসী নই। একটা স্বপ্ন দেখলাম এইরকম)

ভালবাসা

4058_n

ভালবাসা। খুব ঝামেলার জিনিস, সে তুমি যাকেই ভালোবাসো না কেন। যে পেয়ে যায় ( বলে মনে করে) তার কাছে ভালবাসা ঘর কা মুরগী, ইচ্ছে হলেই জবাই যোগ্য। এভরিথিং টেকেন ফর গ্রান্টেড।

মানুষ নিজের প্রয়োজনে নিজে ভালবাসে। প্রায়শঃই একতরফা।

প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে, হয়ও, দুদিকে খোল দিব্য বাজছে। খোলের ছাউনি যোগাতে প্রাণান্ত।

সবচেয়ে বড়ো যন্ত্রণা ‘আগলানো’। যে ভালবাসে, সে ভাবে, ভাবতে ভালবাসে, সে আমার, কেবলই আমার।পৃথিবীর সব কিছুর মতোই এই আগলবেড়াও ভঙ্গুর। তখন ভাঙা বেড়া আগলে, হ্যাঁ আগলেই, মুখে রক্ত উঠে প্রাণ যায়,পর পিরিতী ন যায়। কী ঝামেলা!!!

মানুষ ছেড়ে পশু পাখী গাছপালা যাকেই ভালবাসবেন, তাকে নিয়ে ঘোর অশান্তি। মনে হয়,আমার প্রাণের বিনিময়ে হলেও ওরা বেঁচে বর্তে আনন্দে বাঁচুক। হয় ঠিক উল্টোটা। ভালবাসা যখন তুঙ্গে, তখনই খসে যায় কেউ না কেউ। কী অশান্তি, কী যন্ত্রণা… শুধুই ভালবেসে যেচে সেধে আনা কান্নার পাহাড়।

নির্জীব কাউকে ভালবাসবেন? পেন, পেন্সিল, কি একটা খাতা? সেই ক-বে প্রাণ দিয়ে আগলে রেখেছিলাম দুটো পেন, উইনসাঙ্ আর কিংসিং। কালো বডি সোনা মোড়া মাথা। তার একটা গেলো চুরি হয়ে। ওই নির্জীব পেনটার জন্য কেঁদেকেটে সাগর বইয়ে দিয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে বকুনি খেয়েছি মায়ের কাছে।

রইলো বাকি এক। সবেধন নীলমনি আমার। বুকে আঁকড়ে রাখা যক্ষের ধন। একটা একটা করে পরীক্ষা পাশ করেছি, আর ভালবাসা দৃঢ় হয়েছে ততো। ইলেভেনে উঠে ঠিক করে নিয়েছিলাম, বিয়ের রেজিষ্ট্রেশনের সইটা এই পেন দিয়েই সারবো। আগলাতে চেয়ে প্রাণপাত করেছিলাম তো। সেটাও পারিনি।

ভালবাসা সৃষ্টিই হয় বিচ্ছিন্ন হবার জন্য, যে কোনো প্রকারে।
তবু ভালো না বেসে তো এই তেপান্তর পার হওয়াও দুষ্কর।

.
ছবি : ফেবু থেকে নিয়েছি, ডঃ আদিত্য মুখোপাধ্যায়ের তোলা।

মিথ্যে সুখ

tumyy

টা-টা করতে গেলে জাস্ট একটু জানিয়ে গেলে হয়।
কতোখানি সর্বনাশে কার যে কোথায় কতো ক্ষয়…
মেপে দেখার দাঁড়িপাল্লা কুনকে নেই বলে,
আমাপা ধ্বসের মুখে কাউকে কি ধাক্কা দেওয়া চলে!

এগিয়ে পিছিয়ে খেলা ছিলই তো প্রেমে দস্তুর,
কখনো কি জানা গেছে কার সোনা কখন কর্পূর!
নুন ছাল ওঠা পিঠে পরিণাম টানাটাই জয়,
জ্বলা অঙ্গে লেপ্টে থাকে প্রেমের অমোঘ প্রত্যয়।

জ্যোৎস্নার সাদা কাক মাঝরাতে দিনকে ঘনায়,
তোয়াজের বর বউ মৌতাতে সুখী ওম্ খায়।
দাঁড়ে পোষা পাখি দড়ো ট্রেইনড হয় বুলি কপচাতে,
আমারও কলম খানা বড়ো যত্নে ঠিক- ঠিকানাতে।

একদার গাঁটছড়ায় জল ঢালে চোখ সঙ্গোপনে,
মিথ্যে রোদে গা পোড়াই আরো মিথ্যে সুখের সন্ধানে।

নোনাঘাম-স্বাদুভাত

সভ্যতার শির ঘ্রাণঃ দল-শ্যাওলা জলের পাতাল-

অথচ মনুর পুত্র নেয়ে ওঠে দশ- পাঁচটার রাঙা ফার্মেসে,
মানবীও ভাত রাঁধে লোনা ঘামে সিক্ত করে তার,
ব্যঞ্জনে ব্যাঞ্জনা মেশে মানবিকতার,
রক্তে ঘামে ভাতটি মেখে অমৃত আস্বাদ,

দু’হাতে পশুকে ঠেলে সভ্যতাকে করেছে আড়াল।

উপসর্গ

সব্বাই চলে গেছে?
গান নিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরে?
উল্টো সুরে পোঁ ধরেছে
সানাই বিরহ- মন্দিরে?
কেড়েছে কঙ্কণ -কেউড় কেড়েছে নুপুর- নিক্কণী?
তবু তুমি ভালো থাকবে ভালো ভালো ভাববে তুমি রিনি।