শরতের মুখরোচক

শরতের মুখরোচক

শরত হেটে গিয়েছিল ঠিক পাঁজরের উপর দিয়ে-
সমস্ত কাশফুল ঝরেছিল অথৈ জলতরঙ্গের উপর;
অপেক্ষার প্রহরগুলো নির্ঘুম তবু শরতের অণুদেহ
দৃষ্টিপাত করে ঐ নীল সাদাকাশের নিশিপানে চাঁদ।

শুধু কল্লোলে ফুটল শরত শিশির সিক্ত ঘাসফুল
নরম পদাঙ্ক স্পর্শ করে না ঠিক যেনো প্রণয়ের
দীর্ঘশ্বাস অথচ ঘুমটা পরে মেলেছে সরিষা ফুলের
গন্ধ উড়ানো রাজপথ- অতঃপর এভাবেই সুনিশ্চিত-

শরত একদিন আসবে বুঝি- ঐ গোধূলি মেঘের উপর-
কিংবা অষ্টকাদি মুখরোচক শরতের শূন্য পালঙ্কে ভর।

১২-০৯-১৮
———–

আলমগীর সরকার লিটন সম্পর্কে

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা "মেঘফুল", ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

8 thoughts on “শরতের মুখরোচক

  1. 'শরত শিশির সিক্ত ঘাসফুলে নরম পদাঙ্ক
    স্পর্শ করে না ঠিক যেনো প্রণয়ের দীর্ঘশ্বাস।'

    চমৎকার হয়েছে প্রিয় বাউল কবি মি. সরকার।

    1. জ্বি রিয়া দিদি আপনাকেউ 

      অশেষ ধন্যবাদ জানাই

      ভাল থাকুন————–

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।