-তুই কে?
-আমি? আমাকে বলছেন!
-তোরে কই নাই কী তোর বাপরে কইছি।
-বাপকে নিয়ে টানাটানি করছেন কেন, আর আপনার কথায় ইতো বুঝা যায়, আপনি আমাকে চেনেন না। তাহলে তুই তোকারি করছেন কেন?
-আরে ভোম্বা ব্যাডা, তোরে আবার স্যার কইতে হইবো!
-দেখেন সামনে এসে গায়ে পড়ে ঝগড়া করছেন কেন?
-অই দুই ট্যাকার পোলা, তোরে জিগাইছি তুই কে, কইলে কইবি না কইলে নাই। মাইয়া মানুষ দেখলেই কথা কইতে হইবো?
-আমি কখন আপনার সাথে কথা বলতে গেলাম, আপনিইতো প্রথমে কথা বলেছেন।
-আবার কথা, যাইবি না ভুঁড়ি গালাইয়া দিমু। যা ফোট….
এই কথায় হাফ ছেড়ে বাঁচলো সফিক। আজ সকালে কার মুখ দেখে যে উঠেছে মনে করতে পারছে না। দুপুরে বড় আপা ফোন দিয়ে বলছে অফিস থেকে এক ঘন্টা আগে বের হয়ে বাসায় যেতে। সবই ঠিক ছিল, হঠাৎ আপার বাসার কাছে এসেই এই রকম বাজে একটা অবস্থায় পড়তে হবে কে জানতো। দেখতে শুনতে ভালো অথচ এমন ফাজিল কোন মেয়ে আগে দেখেছে বলে তার মনে পরে না।
কলিং বেল শুনেই আপা দরজা খুলে দিল।
-আপা ফ্রীজের এক বোতল ঠান্ডা পানি দে তো
-আগে ফ্রেস হয়ে আয় আমি শরবত করে দিচ্ছি, এসে সঞ্চয়িতার পঁয়ত্রিশ নাম্বার পৃষ্ঠাটা খুলে দেখিস।
ছোটবেলা থেকেই আপার এমন অভ্যাস, ছোট ছোট চিরকুট রেখে বিভিন্ন কিছু করাবে, জন্মদিন অথবা অন্য কোন উপলক্ষে উপহার দিবে। আজ সফিকের জন্মদিন না সুতরাং কোন উপহার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফ্রেস হয়ে এসে স্বাভাবিকভাবেই সে সঞ্চয়িতাটা নিয়ে বসার ঘরে এসে পঁয়ত্রিশ নাম্বার পৃষ্ঠা খুললো। যা ভেবেছিল তা’ই, আপা একটা চিরকুট লিখে রেখেছে। “শেষ পৃষ্ঠায় একটা ছবি আছে, পছন্দ হলে বইটা টেবিলের উপর উল্টো করে রাখিস।”
চরম কৌতূহল নিয়ে সফিক আস্তে আস্তে শেষ পৃষ্ঠাটা খুলে হতভম্ব হয়ে গেলো। এতো সেই মেয়ে যে কিছুক্ষণ আগে তাকে তুই তোকারি করে গেল!
আচ্ছা, তুই তোকারি করাটা আপার কোন বুদ্ধি না তো?
_________________________
১১.০৯.২০১৮
ফ্যান্টাস্টিক মি. রোমেল আজিজ। আজ দেখি একদম অন্য রূপে !! আমি খুশি হয়েছি।
ধন্যবাদ………
বাহ! খুব সুন্দর লেখা,,, নাটকীয়তা অসাধারণ
ধন্যবাদ সুরাইয়া নাজনীন
ভীষণ মুগ্ধ হলাম কবি দা।
শুকরিয়া রিয়া দি
বাহ্ ভাল লেখা
ধন্যবাদ দাদা
মুগ্ধ হলাম কবি রোমেল ভাই।
শুকরিয়া সৌমিত্র দা
ভালো হয়েছে লেখাটি।
ধন্যবাদ শাকিলা তুবা আপা
বাহ !!!!!!!!! চমৎকার রোমেল আজিজ ভাই
ধন্যবাদ জাহিদ অনিক ভাই
সম্পর্কের নান্দনিক ধারাবাহিকতা..
ধন্যবাদ সাইদুর ভাই
এটা যে আপার চক্রান্ত তা বুঝতে দেরি হয় নাই।
ধন্যবাদ ভাই