রঙিন আবেশে বর্ষা বিলাস

রঙিন আবেশে বর্ষা বিলাস

প্রকৃতির বিচিত্র্য খেলায় জীবনকে আরো রঙিন করতে পোশাকে আর সাজে আনতে পারেন বৈচিত্র্যতা। নানা রঙে, নানা ঢঙে। আর আপনার মনের শুভ্রতা ফুটে উঠুক রঙে রঙে।

প্রকৃতি যেন আমাদেরও রাঙিয়ে দিয়ে যায়। আর সেই সাজে সজ্জিত হতে আমরা মন দেই বাহ্যিক রঙের বাহারের দিকে। নানা ঋতুতে নানা রং ব্যবহারকে প্রাধান্য দিলেও নিজের পছন্দ থেকেও রঙের ব্যবহার করে থাকি আমরা। এর বেশি ছাপ পড়ে পোশাকে। আমরা জানি, রঙেরও নিজস্ব ভাষা আছে। রং কথা বলে। আমাদের নানা অনুভূতিকে প্রকাশ করে। তাই যে কোনো সময়, সাজে আমরা রংকে প্রাধান্য দেই আলাদা করে। আবার বিশেষ কিছু উপলক্ষে থাকে বিশেষ রং। আবেগের রং বলা হয় নীলকে। যে কোনো আবেগ প্রকাশের জন্য নীল হতে পারে উপযুক্ত রং। বর্ষার দিনগুলোতে যে কোনো বয়সী মানুষের পোশাকের রং হতে পারে নীল। গাঢ় নীল রঙের জমকালো পোশাক, জুতা, ব্যাগ আর চোখের ওপর নীলাভ আইশ্যাডো ব্যবহার করে তরুণীরা নিজেদের সাজিয়ে তোলে মোহনীয় সাজে। উৎসবের রং হলো লাল। তবে লাল রঙের পোশাক আবার সবাই পছন্দ করেন না। তবে যে কোনো সময় লাল রঙের পোশাক হতে পারে ট্রেন্ড। ছোট ছেলেমেয়েদের লাল পোশাকে রাজকীয়ভাব আসে। লাল রংকে কমন রং ধরা হয়।

আকাশ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছাটা সবারই হয়। কিন্তু কজন পারেন ! আদৌ কি কারো পক্ষে সেটা সম্ভব? তবে সে আশা পূরণের জন্য ঘন বর্ষায় পরিধান করাই যেতে পারে আসমানি রঙের পোশাক। অনেকে আবার আসমানি রঙের জুতা পরে এ সময়ে ট্রেন্ডকে ধারণ করছেন। ফতুয়া, কুর্তা, শাড়িতে আসমানি রং আলো ছড়াতে পারে। তরুণেরাও বেছে নিতে পারেন হালকা আসমানি রঙের শার্ট বা পাঞ্জাবি। সাদা রংকে বলা হয় পবিত্রতার প্রতীক। শুভ্র, সতেজ আর সুন্দরের প্রতিচ্ছবি সাদা রং। অনেক সময় আগে বাংলার জামদানিতেই যেন সাদা তার রূপ খুঁজে নিয়েছিল। তবে আজো রয়েছে এর ভীষণ কদর। সাদা ধবধবে কামিজ বা শাড়ি যেন আজো নজর বেড়ে যায় সবার। আর ছেলেদের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরেই রয়েছে এ রং।

ঋতুভেদে সাজগোজের পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন নির্ভর করে নিজস্ব রুচি ও চিন্তার ওপর। এখন যেহেতু বাইরে রোদ-বৃষ্টির খেলা, তাই সাজের ক্ষেত্রে উপকরণটি অবশ্যই যেন পানিরোধক হয়। এ সময়ে দিনের বেলা গরমে গাঢ় সাজ যেমন মানানসই নয়, তেমনি অন্যদের চোখেও তা দৃষ্টিকটূ লাগে। তাই সব মিলিয়ে সাজসজ্জায় স্নিগ্ধভাব থাকা চাই। এজন্য হালকা মেকআপই ভালো। আগেই বলা হয়েছে, সাজের ক্ষেত্রে সাজের উপকরণটি পানিরোধক বেছে নেয়া ভালো। আর সাজের উপকরণের রঙে অবশ্যই উজ্জ্বল রং বেছে নেয়া উচিত।

এ সময় লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, সবুজ রঙে ইচ্ছামতো সেজে উঠতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সাজের আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন মুখটা। তারপর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। যেহেতু চোখ আর ঠোঁট রাঙাবেন রঙিন করে, তাই হালকা বেইজ নিয়ে নিন আগে। এর ওপর লাগাতে পারেন পাউডারও। চোখের কোণের অংশটায় খুব মন দিয়ে বেইজটা মিশিয়ে শুরু করে দিন চোখের সাজ।

পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে পারেন রঙিন কাজল। নীল, সবুজ, গোলাপি, লাল কাজলের রেখা টেনে নিতে পারেন চোখের কোণে। যারা রংটা একটু বেশিই পছন্দ করেন, তারা পোশাকের রঙের বিপরীত রংটিও বেছে নিতে পারেন।

এ সময়ে দিনের বেলায় কোনো দাওয়াতে অথবা যে কোনো সময়েই আনুষ্ঠানিক পরিবেশে সাদা পোশাক পরলে তার সঙ্গে মেরুন, বাদামি, গোলাপি অথবা কফি রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। রাতের বেলায় সাজে জমকালো ভাব আনতে লাল, ম্যাজেন্টা, কমলার মতো গাঢ় রং বেছে নিতে পারেন।

9 thoughts on “রঙিন আবেশে বর্ষা বিলাস

  1.  আপনার  প্রথম পোষ্ট আমি পড়েছি, "আদার আছে অনেক গুণ"।

    মাঝে ব্যাস্ততার কারনে " শখের গাছ" এবং "আমড়ার আচার" মিস করেছিলাম। তা আবার আজ পড়েনিলাম। 

    প্রতিটি পোষ্ট সেভ করে রাখার  মতো!https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

     

     

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।