সন্তানপ্রণাম ২

সন্তানপ্রণাম

দুই
সব বাবা উঠে দাঁড়াও, আপামর বাবা বুকের বাঁদিকে হাত রেখে বলো, শেষ কবে সন্তান বুকে জড়িয়ে ধরেছ
ছেলেকে মেসেজ করতে গিয়ে যে-চোখ হঠাৎ ঝাপসা হয়ে যায়
মুখ তুলে সেই অপরাধী-দৃষ্টি একবার দেখাও আমাকে

দিন যায়, তোমার পিঠ থেকে খুলে বসন্তের ডানা
উড়ে যাচ্ছে ছেলের শরীরে
হারানোর জিনিসের লিস্ট থেকেও হারিয়েছে ‘নির্ভরতা’

আমি জানি, যেখানে সন্তান থাকে, শুকনো পাতা প্রজাপতি হয়ে ওঠে
যেখানে সন্তান থাকে, পায়রা ময়ূর মনে হয়
ভেবো না ছুটে এলেই কাছে যাওয়া যাবে সময়ের
সে তোমাকে দুঃখপ্রতিভার কোলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে, বাবুজি।
যেন এয়ারপোর্টমুখো একটা মারুতি সিডান, ভেতরের দুর্বোধ্য গান বাজছে

দরজা খুলে নেমে এসো, সি-অফের হাত নামার আগেই আষ্টেপৃষ্ঠে বুকে জড়াও সন্তান
ছেলেও জানুক শার্টের নিচে তুমি কতটা রোগা হয়ে গেছ

5 thoughts on “সন্তানপ্রণাম ২

  1. লিখাটি পড়ে মন জানি কেমন করে উঠলো চন্দন দা।

    আমার ছেলে এখন দশ বছরের। আমার থেকে একচল্লিশ বছরের ছোট। সুযোগ পেলেই আমি ওকে বুকে জড়িয়ে ধরি। ওর ঐ ছোট্ট বুকের হৃদস্পন্দন টের পাই। আমার ভালো লাগে। কে জানি কতদিন সুযোগটা আমার থাকবে। জীবন কত ছোট সময়ের চন্দন দা।

  2. ছেলেও জানুক শার্টের নীচে তুমি কতটা রোগা হয়ে গেছ !!

    এমন ভাবে লিখলেন মন কেমন করে উঠলো – ভালো থাকবেন কবি । 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।