খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। বিশেষ করে যদি শীতের দিনে প্রতিদিন খাওয়া যায়। এতে রয়েছে- ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ন্যাচারাল গ্লুকোজ এবং আঁশ। শীতে কেন খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সেই বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।
শরীর উষ্ণ রাখে
ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস খেজুর। আর খেজুরের এসব উপকরণ শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
ঠাণ্ডা নিরাময়ে সাহায্য করে
ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগলে দুই-তিনটি খেজুর, কয়েকটি গোলমরিচ এবং এক-দুইটি এলাচ পানিতে দিয়ে সিদ্ধ হতে দিতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে দ্রবণটি পান করলে ঠাণ্ডা থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।
অ্যাজমা নিরাময়ে
অ্যাজমা এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা শীতের সময় বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১-২ টি খেজুর খেলে অ্যাজমা সমস্যা বৃদ্ধি পায় না।
শক্তি বর্ধক
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে বলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে শক্তি যোগায়। শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক কয়েকটি খেজুর খেয়ে নেয়া যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
খেজুর আঁশযুক্ত খাবার। একগ্লাস পানিতে কয়েকটি খেজুর সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ভেজানো খেজুরগুলোকে পিষে নিতে হবে। এবং সিরাপ বানিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। এই সিরাপ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।
হৃদপিন্ডের জন্য ভালো
খেজুর আঁশযুক্ত খাবার বলে হৃদপিন্ডকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এটি হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে বলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রতিরোধ হয়। বিশেষ করে শীতকালে।
আরথ্রাইটিসের জন্য ভালো
খেজুরে প্রদাহরোধী উপাদান আছে। এজন্য খেজুর খেলে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমে যা শীতের সময় খুব সাধারণ একটি বিষয়। তাই প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
ব্লাড প্রেশার কমায়
খেজুর ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
ইত্তেফাক/সালেহ্
শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।
আসছে শীত থেকেই শুরু হয়ে যাক তাহলে!
ভালো পরামর্শ খালিদ দা।
খুবই ভাল খাবার শুরু করে দিন দিদিভাই, উপকার পাবেন বাড়ির সবাই।
শীতে খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা আসলেই প্রচুর।
ঠিক কথা বলেছেন দাদা।

খুব সত্য কথা। আরব থেকে আসা কাঁচা খেঁজুর খেয়েছেন কিনা জানিনা। খেঁজুরের স্বাদের সাথে নারকেলের কচকচে ভাবের মিশেল; ভীষণ প্রিয়।
আরব দেশ থেকে আসাগুলি খেতে পারিনি তবে একবার আবুধাবিতে রাস্তা দিয়ে হাটার সময় গাছ থেকে পেড়েই খাবার সুযোগ পেয়েছিলাম।

* উত্তম পরামর্শ। খেতে শুরু করে দিয়েছি…
খুব ভাল কাজ করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ।

দারুণ তথ্যসংবলিত পোস্ট! অভ্যাস করতে হবে। আপনার পোস্ট থেকে অনেককিছু জানা যায়, শেখা যায়। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় খালিদ দাদা।
বাড়ির সবাই মিলে শুরু করেই দেখেন কয়েকদিনের মধ্যেই ফল পাবেন।
