ঘুমের ওষুধ হিসেবে মিষ্টি কুমড়া

মিষ্টি কুমড়া ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খুবই পুষ্টিদায়ক খাবার। স্বাস্থ্য সচেতনরা সবজিটিকে আদর্শ খাদ্য বলে বিবেচনা করে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে থাকলে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন কুমড়া খেতে হবে। এটি চোখের সমস্যা দূর করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

তাড়াছাও কুমড়ার অনেক গুণ রয়েছে। রাতে যাদের ভালো ঘুম হয় না তাদের জন্য কুমড়া আদর্শ খাবার হতে পারে। কুমড়ার দানা শুকিয়ে নিয়ে গুড়ো করে খেলে ভালো ঘুম হবে। এবং মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। কুমড়ার দানা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী ফল পাওয়া যায়। পাকা কুমড়ার আঁশ হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। করোনারির অসুখ প্রতিরোধে কুমড়া আদর্শ খাদ্য।

সূত্রঃ ইত্তেফাক/সালেহ্

5 thoughts on “ঘুমের ওষুধ হিসেবে মিষ্টি কুমড়া

  1. আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণের তালিকায় মিষ্টি কুমড়া থাকুক। আমার বেশ পছন্দের খাবার কিন্তু কুমড়া খালিদ ভাই। :)

  2. অনেক আগের কথা। আমি যে পথ দিয়ে ইস্কুলে যেতাম … সেই পথে রেল লাইন পড়তো। তার দুই ধারে আধা বেলার একটি বাজার বসতো। দেখতাম ইয়া বড় বড় সাইজের মিষ্টি কুমড়া নিয়ে প্রান্তিক চাষীরা সরাসরি ঘর গৃহস্ত বা জমি থেকে তুলে এনে বিক্রয়ের আশায় বসে থাকতো। দাম ছিলো দেড় টাকা থেকে ৩ টাকা। ওজনের ভয়ে কখনও কিনিনি।

    ঐ সময়টাতে দুপুর ১ টার পরপরই বাংলাদেশ বেতার এ বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হতো। চলতো বিজ্ঞাপন আর ছায়াছবির গান। খুব আগ্রহ নিয়ে শুনতাম। বলতে পারেন শোনা হতো। ঘরের এ কোণায় বা ও কোণায় প্যানাসনিক টেপ রেকর্ডারের রেডিওতে বাজতো।

    সাল মনে নেই, হঠাৎ একদিন শুনতে পেলাম গণসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন, রাতকাণা রোগ দূর করতে মিষ্টি কুমড়া আর গলগণ্ড রোগ না হতে আয়োডিন লবন গ্রহণের আহবান।

    বাঙ্গালী ঝাঁপিয়ে পড়লো কুমড়ার উপর। গোটা কুমড়া খণ্ড হয়ে বিক্রী হতে শুরু হলো।

    আমার জীবনের মিষ্টি কুমড়ার ইতিহাসে প্রমাণ সাইজের কুমড়ার স্মৃতি আছে। আর যাপিত জীবনে ব্যবহার করে চলেছি ক্ষুদ্র খণ্ড কুমড়ায়। আস্ত কুমড়া দূর পরাহত।

    কুমড়ার গুণাবলী অসাধারণ হলেও আমার ছেলেপিলে কুমড়া থেকে ১১ হাত দূরে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_cry.gif

  3. তথ্যসম্বলিত পোস্ট।  অনেক ধন্যবাদ । হেলাফেলার সবজিগুলো ও কত ভেষজগুনে সমৃদ্ধ। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।