বিভাগের আর্কাইভঃ সাহায্য

ঘুমের ওষুধ হিসেবে মিষ্টি কুমড়া

মিষ্টি কুমড়া ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খুবই পুষ্টিদায়ক খাবার। স্বাস্থ্য সচেতনরা সবজিটিকে আদর্শ খাদ্য বলে বিবেচনা করে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে থাকলে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন কুমড়া খেতে হবে। এটি চোখের সমস্যা দূর করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

তাড়াছাও কুমড়ার অনেক গুণ রয়েছে। রাতে যাদের ভালো ঘুম হয় না তাদের জন্য কুমড়া আদর্শ খাবার হতে পারে। কুমড়ার দানা শুকিয়ে নিয়ে গুড়ো করে খেলে ভালো ঘুম হবে। এবং মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। কুমড়ার দানা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী ফল পাওয়া যায়। পাকা কুমড়ার আঁশ হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। করোনারির অসুখ প্রতিরোধে কুমড়া আদর্শ খাদ্য।

সূত্রঃ ইত্তেফাক/সালেহ্

শীতে খুশকি থেকে বাঁচার উপায়

শীতকালে মানুষ সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় ভোগে তা হল খুশকি। ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই ত্বকের ও চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এটা সাধারণ এক সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়।

খুশকি দূর করতে কত কিছুই না করে থাকে অনেকে। হাজার হাজার টাকা খরচা করেও সমস্যার কোনও সমাধান মেলে না। তবে এই পাঁচটি পরামর্শ মেনে চললেই বাড়িতে বসেই খুশকি দুর করতে পারবেন এবং খুব সহজেই।
ভিনেগার
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার লাগানোর পর অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের দু-তিন ফোঁটা জলে দিয়ে সেটি চুলে লাগান। ভিনিগারে পটাশিয়াম রয়েছে বেশি মাত্রায়, যা স্ক্যাল্প থেকে মৃত কোষগুলো দুর করতে সাহায্য করে। তবে কেমিক্যাল ভিনিগার থেকে সাধানে থাকবেন। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি।
নিম পাতা
নিম পাতা প্রায় আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর সেটি বেটে ভালো করে একটি পেস্ট তৈরি করে মাথায় লাগান। ৪০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন ও পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মেথির বিজ
সারা রাত মেথির বিজ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর একটি পেস্ট তৈরি করে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ঘৃতকুমারী
ফাঙ্গাস বা কোনও রকম ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়ার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে। খুশকি দুর করতে এটি খুব উপকারি। ঘৃতকুমারী ৪০ মিনিট পর্যন্ত মাথায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন, আপনার খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে দু’বার অলিভ অয়েল মাখুন। এরপর মাথায় একটি কাপড় জড়িয়ে রাখুন।

এত ভাল কতগুলি পরামর্শ দিলাম তার পরেও যদি এই খুকশি না যায় তাইলে আমার কুনো দোষ নাই।

ইত্তেফাক/এএম২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং ১১:০৫ মিঃ

কাঁচা মরিচ শরীর স্লিম রাখবে

সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, চর্বি জাতীয় খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেলে মোটা হওয়ার কোনা ভয় থাকে না। কারণ কাঁচা মরিচ খাদ্যের সঙ্গে থাকা চর্বিকে ধ্বংস করে স্লিম থাকতে সাহায্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েমিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণাটি আমেরিকার মেরিল্যান্ডে বাল্টিমোর বায়োফিজিক্যাল সোসাইটির সভায় উপস্থাপন করা হয়।

গবেষণা দলের সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিবেক কৃষ্ণান জানান, কাঁচা মরিচের ক্যাপসাইসিন নামের বিশেষ উপাদানটি শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তিনি আরো বলেন, ক্যাপসাইসিন নামের এই উপাদানটি নতুন করে ক্যালোরি উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণের পর শরীরের চর্বি জমতেও বাধা দেয় এটি। কৃষ্ণান আরো জানান, সাদা চর্বি আমাদের দেহের কোষ জমা রাখে এবং বাদামী চর্বি কোষের ক্ষয় করে। ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাদ্য এবং এর সঠিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলে বিপাকযন্ত্র ভারসাম্য হারায়। যে কারণে শরীরের মেদ বাড়ে। খাদ্যে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বি শুষে নিয়ে শরীরে মেদ রোধে সাহায্য করে ক্যাপসাইসিন যা পরীক্ষাগারে প্রমাণিত হয়েছে।

ইত্তেফাক/এএসএমইউ
অনলাইন ডেস্ক০৯ জানুয়ারী, ২০১৭ ইং ১২:১২ মিঃ
ইত্তেফাক

বেগুনের পানি পানে মেদ উধাও


নিয়মিত বেগুনের পানি পানে বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এই পানিকে ‘মিরাক্যল ওয়াটার’ও বলা হয়ে থাকে। এই পানি শরীরের ওজন ও মেদ কমতে সহায়তা করে। পাশাপাশি শরীরে শক্তিও যোগাবে। কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকলেও নিয়মিত বেগুনের পানি পানে কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।

প্রস্তুত প্রণালী
একটা মাঝারি মাপের বেগুন ভালো করে ধুয়ে চাকা চাকা করে কেটে নিতে (খোসাসুদ্ধ) হবে। একটা কাঁচের জারে বেগুনের টুকরোগুলো পরপর সাজিয়ে রেখে এতে এক লিটার পানি ঢেলে দিতে হবে। একটা মাঝাপি মাপের পাতিলেবু নিংড়ে পুরোটা রস এরমধ্যে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে সারারাত এই পানি ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের আগে এক কাপ করে এই পানি পান করতে হবে।

ইত্তেফাক/সালেহ্

কুমড়োর বিচির এত গুণ!

সামান্য এই কুমড়োর বিচির আছে হাজারো গুণ।
বেলা ১১টা নাগাদ পেটে ছুঁচো নাচে? কিংবা বিকেল বেলায় কুড়মুড়ে মুচমুচে কিছু খেতে ইচ্ছে করে? আর সে ক্ষুধা—হোক না সেটা পেট কিংবা মনের, মেটাতে গেলা হয় গুচ্ছের শিঙাড়া-সমুচা না হয় ওরকমই কিছু একটা। কাল থেকে এ অভ্যাস বদলে ফেলা যাক, এখন থেকে নাশতায় সঙ্গী হোক কুমড়োর বিচি।

ভুল শোনেননি, আসলেই নাশতা হিসেবে কুমড়ার বিচি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে নিতে পারেন। ১০০ গ্রাম কুমড়ার বিচি থেকে ৫৬০ ক্যালরি পাওয়া যায়, তার মানে ক্ষুধা মেটানোর কাজটা ভালোই পারে এ বস্তু। আর সামান্য এই খাবারে পুষ্টিও গিজগিজ করছে। প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস’ মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব খাদ্য উপাদান।

ভারতের ডি কে পাবলিশিং হাউসের একটি বই ‘হিলিং ফুডস’-এ বলা হয়েছে, কুমড়ার বিচি (বীজ) ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। বিচিগুলোতে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

ওজন কমানো, চুলের বৃদ্ধিসহ কুমড়োর বিচির নানা গুণ জেনে নেওয়া যাক—

১. ‘হৃদ্‌যন্ত্র’ ভালো রাখতে
কুমড়োর বিচিতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবই হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খারাপ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

২. ভালো ঘুম
কুমড়োর বিচিতে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা ঘুম নিশ্চিত করে। ঘুমানোর আগে মুঠভর্তি কুমড়োর বিচি এনে দেবে পুরো রাত্রির শান্তি।

৩. জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায়
পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমানোর ক্ষমতা আছে কুমড়োর বিচির। এ ছাড়া বাতের ব্যথাও কমায় এটি। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে এর তেলও ভালো কাজে দেয়।

৪. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
প্রচুর পরিমাণে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এটি।

৫. ভালো রাখে প্রোস্টেট
কুমড়োর বিচিতে আছে জিংক। যা পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে আছে ডিএইচইএ (ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন), যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

৬. ডায়াবেটিসেও উপকারী
শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। এ ছাড়া হজমে সাহায্য করে এমন প্রোটিনও সরবরাহ করে কুমড়োর বিচি, ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন কমাতেও সাহায্য করে কুমড়োর বিচি! ছোট্ট এই খাবারেই পেট পূর্ণ থাকে অনেকক্ষণ। আর আশজাতীয় খাবার বলে হজমেও সময় লাগে। ফলে ক্ষুধা পায় না, শুধু শুধু বাড়তি খাবার শরীরে ঢোকার সুযোগ পায় না।

৮. দীর্ঘ চুলের নিশ্চয়তা
এতে আছে কিউকুরবিটিন, এমন এক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন সিও আছে কুমড়োর বিচিতে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।

কীভাবে খাবেন কুমড়োর বিচি
১. কাঁচা খেতে পারেন কিংবা একটু টেলে নিয়েও খাওয়া যায়।
২. কুমড়োর বিচি দিয়ে কেক, স্যুপ ও সালাদ বানিয়েও খেয়ে নিতে পারেন। তথ্যসূত্র: এনডিটি

কুমড়োর বিচির এত গুণ!
অনলাইন ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০১৭, ১১:২০

ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয়ের ঠিকানা প্রয়োজন

ঢাকাতে ভালো ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয়ের ঠিকানা জানা থাকলে দয়া করে ঠিকানা জানাবেন। বিশেষ করে নিজে বা নিজের আত্মীয়দের মাঝে কেউ উপকৃত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে রেসপন্স আশা করছি।

প্লীহা অপারেশনে অর্থ সাহায্যে যারা হাত বাড়ালেন তাঁদের নাম আপডেট :: ঐচ্ছিক সাহায্য পাঠাবার আজই শেষ দিন

220px-Gray1188 প্লীহা। উদরের বাম ভাগের উপর দিকে অবস্থিত একটি অঙ্গ। এটি লসিকাতন্ত্রের এবং রক্ত সংবহন তন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন মনুষ্যেতর প্রাণীর রক্তের আয়তন প্লীহার সঙ্কোচন দ্বারা সাময়িক ভাবে বর্ধিত হতে পারে (অর্থাৎ রক্তের “রিজার্ভার” হিসাবে কাজ করে, কিন্তু এই কাজটি মানুষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়)। প্লীহার মধ্যে অনাক্রম্যতন্ত্রের একটি বড় অংশ থাকে। অস্ত্রোপচারে প্লীহা বাদ দিলে ক্যাপ্সুলধারী ব্যাক্টেরিয়াদের দ্বারা ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা বাড়ে।

প্লীহার অবস্থান নবম দশম ও একাদশ পাঁজরের ঝুলন্ত (স্টার্নামের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়) অংশের পিছনে মধ্যচ্ছদার ঠিক নিচেই। এর উত্তল বহিরাংশ মদ্ধচ্ছদাকে স্পর্শ করে থাকে (ছবি এই তলটির উলটো দিক থেকে তোলা)। এর ভিতরের অবতল তলগুলির সামনের অংশটি পাকস্থলীকে স্পর্শ করে, আর পিছনের অংশ বাম বৃক্ককে স্পর্শ করে।

কথ্য বাংলায় প্লীহাকে পিলে বলা হয়, ইংরাজীতে স্প্লিন। কিছু কিছু রোগে প্লীহা বড় হয়। প্রাচীন বাংলায় ম্যালেরিয়া ছিল তাদের অন্যতম (বঙ্গদেশে ম্যালেরিয়া এত বেশি ছিল যে একে ম্যালেরিয়া “হাইপার-এন্ডেমিক” অঞ্চল বলা হত। ম্যালেরিয়াকে কথ্য বাংলায় পিলের জ্বর বলা হত এবং বাংলার শিশুদের পীলে সারা বছর বার বার ম্যালেরিয়ার ফলে স্ফীত ও কালো হয়ে থাকত বলে এই ঘটনাকে ইংরাজীতে হাইপারস্প্লেনিজম বলা হয়। তবে কালাজ্বর, থ্যালাসেমিয়া, ক্রনিক মায়োলয়েড লিউকেমিয়া ইত্যাদি নানা রোগে প্লীহা বৃদ্ধি হতে পারে।

250px-Illu_spleen বর্ধিত না হলে প্লীহা পাঁজরের পিছনেই গুপ্ত থাকে তাই পেটের নরম অংশ টিপলে সরাসরি ছোঁয়া যায়না। সাধারণতঃ দীর্ঘ অক্ষ দশম পাঁজরের সমান্তরাল থাকে এবং বুক ভরে শ্বাস নিলে দশম পাঁজরের শীর্ষের কাছে হাত রাখলে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা প্লীহার একটু অংশ স্পর্শ করতে পারেন। প্লীহা কোনো রোগের কারণে খুব বড় হয়ে গেলে পেটের মধ্যে অনেকটা নিচ অবধি চলে আসে। তখন পেটে সামান্য চোট থেকেও প্লীহা ছিঁড়ে যেতে পারে। প্লীহা ছিঁড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপোচার করে প্লীহাকে বাদ না দিলে পেটের মধ্যে খুব বেশি রক্তপাত হয়ে মৃত্যও ঘটে।

thallasemia_3930 থ্যালাসেমিয়া (ইংরেজি: Thalassemia) একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেনস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি ঘটতে পারে। থ্যালাসেমিয়া দুইটি প্রধান ধরনের হতে পারে: আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বেটা থ্যালাসেমিয়া। সাধারণভাবে আলফা থ্যালাসেমিয়া বেটা থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র। আলফা থ্যালাসেমিয়াবিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে বেটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি; এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমত চিকিৎসা না করলে এটি শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ww

আমার ছোট বেলার বন্ধু। এক সাথে হেসে খেলে বড় হয়েছি। স্কুল জীবন শেষে দুজনার দুটি পথ। দীর্ঘদিন শেষে দেখা হলে জানলাম বিয়ে থা করেছে। নিম্ন মধ্যবিত্তের বলতে যাদের বোঝায় তাদেরই একজন সে। বড় একটি মেয়ে ছোট এক ছেলে আর স্ত্রী নিয়ে সংসার। চলে মোটামুটি। আয় রোজগার তেমন হয়তো নেই তবে গ্রাম জীবনে চলে যায়।

তারই একমাত্র মেয়ে। ছোট বেলায় বোঝা না গেলেও বয়সের সাথে সাথে ধরা পড়ে প্লীহা/থ্যালাসেমিয়া। মাত্র আড়াই বছরে বাবা মার নজরে পড়ে ছোট্ট শিশুর শারিরীক পরিবর্তন। বাবা মেয়ের রক্তের গ্রুপ A+ হবার সুবাদে সেই থেকে শুরু স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রতি দুই মাসে এক ব্যাগ করে রক্ত বিনিময়ের পালা।

স্কুল জীবন শেষ হলে বন্ধুর সাথে আমার দেখা বন্ধ হয়ে যায়। দেশে ফিরে আবার যোগাযোগ। স্কুল পড়ুয়া মেধাবী মেয়েকে দেখলাম। প্রায় সাত বছর বয়সী। বাসায় এসে জেনে নিলো আমারও রক্তের গ্রুপ A+ কিনা। হ্যাঁ সূচক সংবাদে খুশি হয়ে চলে গেলো। তেমন কিছু জানালো না। হঠাৎ একদিন ডাক পড়লো ক্লিনিকে। জিজ্ঞাসা করলো রক্ত দিতে পারবি ? অবাক হয়ে বললাম পারবো না কেনো ?

সেই থেকে শুরু। দেখতাম প্রতি দুই মাসে মেয়েটার গায়ের রং হলুদ হয়ে যায়। চোখ মুখ ফুলে মুখমণ্ডল আর চোখ সমান হয়ে উঠতো। নিরীহ নিভৃতচারী বন্ধু মিনতির সুরে একটি কথাই বলতো … আত্মীয়-স্বজন রক্ত দিতে ভয় পায়। নিজে সহ তোর মতো ২/১ জন বন্ধুর কাছে রক্তের জন্য পায়ে ধরি।

এভাবে নিয়মিত রক্ত দেয়া শুরু। প্রতি দুই মাসে একবার করে রক্ত দেই। দীর্ঘ ৬ বছরে মেয়ের বয়স দাঁড়িয়েছে ১৩ বছরে। বন্ধু হয়েছে ডায়াবেটিক রুগী। সাধ্য থাকলেও নিজের মেয়েকে রক্ত দেবার সামর্থ্য হারিয়েছে। একবার রক্ত কিনে একবার আমার থেকে নিয়ে এভাবেই চলছে। মেয়ে বড় হওয়ায় দৈহিক পরিবর্তন আসায় শরীরের রক্ত চাহিদা বেড়েছে। এখন আর ২ মাসের মেয়াদে চলে না। মিলিত পরামর্শে দাঁড়ালো যত দ্রুত সম্ভব মেয়েকে অপারেশন করো উচিত।

যোগাযোগে জানা গেলো বেসরকারী হাসপাতালে এই রোগের অপারেশন ব্যয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। লতাপাতায় ডা. বন্ধুদের খোঁজ শুরু হলো। সরকারী হাসপাতালে এই অপারেশনে ব্যয় জানা গেলো ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

আজকাল কারু কাছে সাহায্য চাইতে গেলে বন্ধু পরিচিতরা একটু বাঁকা চোখে দেখে। কেমন যেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। ব্যস্ততার ভান করে। ফোন ধরে না। অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা আমি সহ আমার বন্ধু এবং বন্ধুদের কয়েকজন প্রায় গুছিয়ে এনেছি। এখনো অর্ধেকের মতো বাকি। ছোট হয়ে অর্থ সাহায্য চাইতে পারবো।

সরকারী হাসপাতালে ভরসার চাইতে অবহেলা বেশী বলে বেসরকারিতে ই সম্মত হয়েছি। দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। উদাত্ত আহবান রাখছি আমার ব্লগ বন্ধুদের কাছে – আসুন না বিবাহ উপযোগ্যা একটি মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে আমরা সকলে কিছু কিছু করে অর্থ সাহায্য করি। আমার ঘরেও মেয়ে সন্তান আছে। আমি বুঝি। কতটা অপারগ হলে আড়াই বছরের একটি শিশু সন্তানকে ১৩ বছর পর্যন্ত শরীরে রোগ পুষে পালন করে গেছে একটি মানুষ; শুধুই অর্থের অভাবে। কাউকে জানতে দেয় নি … অপারেশন করার মতো এতো টাকা সে কখনই জোগাড় করতে পারবে না।

ব্লগে সাহায্য আহবান করছি বলে আপডেট জানতে পারবেনা জন্য বিশেষ এই মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে। প্রাপ্তি স্বীকারে তার পক্ষ থেকে যাতে কৃতজ্ঞতার দুটো শব্দ সাহায্যকারীদের আমি যেন জানাতে পারি।

logo-english002

বিকাশ # 01743 918 919

দেশের বাইরে থেকে … money express.

Azad Kashmir Zaman.

Mobile # 01743 918 919

ID : 102 202 019 8369
ww

২৫.০৬.২০১৩ ইং তারিখের মধ্যে আপনার সাহায্য পাঠিয়ে দিতে পারেন।

বিকাশ এর মাধ্যমে ন্যূনতম অংক থেকে যে কোন অ্যামাউন্ট পাঠানো যায়। কেউ পাঠালে নিজের পরিচিতি দিয়ে একটা ম্যাসেজ পাঠাবেন। এবং এই পোস্টে উল্লেখ করবেন যাতে সাহায্যকারীদের নাম আপডেট আকারে এই পোস্টে উল্লেখ করা যায়। ধন্যবাদ সবাইকে। বিনীত : আজাদ কাশ্মীর জামান।

images26dder

অর্থসাহায্য প্রাপ্তিস্বীকার : hm1

red ০১. মি. মাতরিয়শকা। টাকা ৪,০০০/- মাত্র।
red ০২. মিলি মেহরীন। টাকা ১,৫০০/- মাত্র। ( ফেসবুক এ অপেক্ষমান বন্ধু )
red ০৩. এলিজা আকবর। টাকা ১০০/- মাত্র। ( ছোট বোন )
red ০৪. বৈশাখী ঝড়। টাকা ২০০/- মাত্র।
red ০৫. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ১,০০০/- মাত্র। ( ফেসবুক বন্ধু ) f.
red ০৬. বন্ধুব্লগ। টাকা ১,৫০০/- মাত্র।
red ০৭. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৫,০০০/- মাত্র। t
red ০৮. ফেরদৌসা। টাকা ১,০০০/- মাত্র।
red ০৯. মো: আসাদুজ্জামান। টাকা ২,০৬০/- মাত্র। ( ফেসবুক বন্ধু )
red ১০. মিসেস মো: আসাদুজ্জামান। টাকা ১,০০০/- মাত্র। ( বন্ধুপত্নী )
red ১১. আছির আহমেদ। টাকা ১,০০০/- মাত্র। ( ফেসবুক বন্ধু )
red ১২. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ১,০২০/- মাত্র। r
red ১৩. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৭,০৯০/- মাত্র। am a
red ১৪. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ২০,০০০/- মাত্র। প্রবাসী।
red ১৫. নাজমুন নাহার। টাকা ১,০০০/- মাত্র।
red ১৬. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৫,০০০/- মাত্র। t
red ১৭. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ১,০০০/- মাত্র। d
red ১৮. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৬০০/- মাত্র। nh

দুস্থ পরিবারটির জন্য সাহায্যের হাত বাড়ালেন :

red ১৯. রাবেয়া রব্বানি। টাকা ৩,০০০/- মাত্র।
red ২০. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ২,০০০/- মাত্র। st

আমি এই দুস্থ পরিবারটির পাশে আছি। জমি সম্বল থেকে বাড়ি ঘর তারা বিক্রয় করে ফেলেছে। জীবন চলছে তাদের ভাসমান। আমার সংসার খরচের অংশ থেকে প্রতি মাসে তাদের কিছু কিছু করে সাহায্য করে যাচ্ছি। তাদের ফ্যামিলি আমাকে যেমন সন্তান হারানোর জন্য দোষারোপ করে ; ঠিক তেমনি প্রতি মাসে সাহায্যের অংশ ফ্যামিলির সঞ্চিত অর্থ থেকে অর্থ বেড়িয়ে যাওয়ায় আমার পরিবারও খুশি নয়। আমি কাউকে বোঝাতে পাচ্ছি না এই অপরাধ আমার।

আমাদের কয়েকজনের সাথে আমি আলাপ করেছি। ফেসবুকে বার্তা পাঠিয়েছি। বিশেষ করে এর আগেও মেয়েটার অপারেশনের সময় আপনারা যারা সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন তাঁদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি। মোটামুটি সিদ্ধান্তে আমরা একটা সিএনজি অটো রিক্সা ক্রয় করে ক্ষতি গ্রস্থ এই সন্তান হারা অসহায় ফ্যামিলির পাশে দাঁড়াতে পারি। যাতে তারা ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়। দেখে স্বচ্ছলতার মুখ। সহযোগিতার দ্বিতীয়ার্ধে যারা এলেন জানাই বিনম্র সম্মান।

red ০১. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। টাকা ৫,০০০/- মাত্র।
red ০২. ওয়াচডগ। টাকা ১৫,৩৫৬/- মাত্র।
red ০৩. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যাসাচুসেটস্ থেকে। টাকা ৬,৮৭৮/- মাত্র। r.n
red ০৪. রীতু। আমেরিকা থেকে। টাকা ১৫,২৮৫/- মাত্র।
red ০৫. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। লন্ডন থেকে। টাকা ২০,০০০/- মাত্র। a. m
red ০৬. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৩,০০০/- মাত্র। r.r.m
red ০৭. নুসরাত আহমেদ। সোফিয়া বুলগেরিয়া। টাকা ৪০,০০০/- মাত্র।
red ০৮. পলি শাহিনা। নিউ ইয়র্ক। টাকা ১৫,০০১/- মাত্র।
red ০৯. শিরিন শবনম বিভা। নিউইয়র্ক। টাকা ৫,০০০/- মাত্র।
red ১০. ফেরদৌসি বেগম। টেক্সাস। টাকা ১,৫৪০/- মাত্র।
red ১১. প্রকৌশলী খাইরুল আলম। খুলনা। টাকা ২০,০০০/- মাত্র।
red ১২. নুরুল ইসলাম। ঢাকা। টাকা ১০,০০০/- মাত্র।
red ১৩. প্রফেসর সোহেল আহমেদ। ঢাকা। টাকা ৪৪,৫০০/- মাত্র।
red ১৪. আজাদ কাশ্মীর জামান। টাকা ২,০০,০০০/- মাত্র।
red ১৫. গোলাম মোস্তফা সংগ্রাম। লন্ডন থেকে। টাকা ৩০,০০০/- মাত্র।

সকলের সহযোগিতায় একটি থ্রি হুইলার ক্রয় করে হযরত শাহ সুলতান বলখি (রাঃ) মাজার জিয়ারত করে দুস্থ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভবপর হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং আমার বন্ধুর পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের সবার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ রইলাম। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।