প্লীহা। উদরের বাম ভাগের উপর দিকে অবস্থিত একটি অঙ্গ। এটি লসিকাতন্ত্রের এবং রক্ত সংবহন তন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন মনুষ্যেতর প্রাণীর রক্তের আয়তন প্লীহার সঙ্কোচন দ্বারা সাময়িক ভাবে বর্ধিত হতে পারে (অর্থাৎ রক্তের “রিজার্ভার” হিসাবে কাজ করে, কিন্তু এই কাজটি মানুষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়)। প্লীহার মধ্যে অনাক্রম্যতন্ত্রের একটি বড় অংশ থাকে। অস্ত্রোপচারে প্লীহা বাদ দিলে ক্যাপ্সুলধারী ব্যাক্টেরিয়াদের দ্বারা ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা বাড়ে।
প্লীহার অবস্থান নবম দশম ও একাদশ পাঁজরের ঝুলন্ত (স্টার্নামের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়) অংশের পিছনে মধ্যচ্ছদার ঠিক নিচেই। এর উত্তল বহিরাংশ মদ্ধচ্ছদাকে স্পর্শ করে থাকে (ছবি এই তলটির উলটো দিক থেকে তোলা)। এর ভিতরের অবতল তলগুলির সামনের অংশটি পাকস্থলীকে স্পর্শ করে, আর পিছনের অংশ বাম বৃক্ককে স্পর্শ করে।
কথ্য বাংলায় প্লীহাকে পিলে বলা হয়, ইংরাজীতে স্প্লিন। কিছু কিছু রোগে প্লীহা বড় হয়। প্রাচীন বাংলায় ম্যালেরিয়া ছিল তাদের অন্যতম (বঙ্গদেশে ম্যালেরিয়া এত বেশি ছিল যে একে ম্যালেরিয়া “হাইপার-এন্ডেমিক” অঞ্চল বলা হত। ম্যালেরিয়াকে কথ্য বাংলায় পিলের জ্বর বলা হত এবং বাংলার শিশুদের পীলে সারা বছর বার বার ম্যালেরিয়ার ফলে স্ফীত ও কালো হয়ে থাকত বলে এই ঘটনাকে ইংরাজীতে হাইপারস্প্লেনিজম বলা হয়। তবে কালাজ্বর, থ্যালাসেমিয়া, ক্রনিক মায়োলয়েড লিউকেমিয়া ইত্যাদি নানা রোগে প্লীহা বৃদ্ধি হতে পারে।
বর্ধিত না হলে প্লীহা পাঁজরের পিছনেই গুপ্ত থাকে তাই পেটের নরম অংশ টিপলে সরাসরি ছোঁয়া যায়না। সাধারণতঃ দীর্ঘ অক্ষ দশম পাঁজরের সমান্তরাল থাকে এবং বুক ভরে শ্বাস নিলে দশম পাঁজরের শীর্ষের কাছে হাত রাখলে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা প্লীহার একটু অংশ স্পর্শ করতে পারেন। প্লীহা কোনো রোগের কারণে খুব বড় হয়ে গেলে পেটের মধ্যে অনেকটা নিচ অবধি চলে আসে। তখন পেটে সামান্য চোট থেকেও প্লীহা ছিঁড়ে যেতে পারে। প্লীহা ছিঁড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপোচার করে প্লীহাকে বাদ না দিলে পেটের মধ্যে খুব বেশি রক্তপাত হয়ে মৃত্যও ঘটে।
থ্যালাসেমিয়া (ইংরেজি: Thalassemia) একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেনস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি ঘটতে পারে। থ্যালাসেমিয়া দুইটি প্রধান ধরনের হতে পারে: আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বেটা থ্যালাসেমিয়া। সাধারণভাবে আলফা থ্যালাসেমিয়া বেটা থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র। আলফা থ্যালাসেমিয়াবিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে বেটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি; এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমত চিকিৎসা না করলে এটি শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। 
আমার ছোট বেলার বন্ধু। এক সাথে হেসে খেলে বড় হয়েছি। স্কুল জীবন শেষে দুজনার দুটি পথ। দীর্ঘদিন শেষে দেখা হলে জানলাম বিয়ে থা করেছে। নিম্ন মধ্যবিত্তের বলতে যাদের বোঝায় তাদেরই একজন সে। বড় একটি মেয়ে ছোট এক ছেলে আর স্ত্রী নিয়ে সংসার। চলে মোটামুটি। আয় রোজগার তেমন হয়তো নেই তবে গ্রাম জীবনে চলে যায়।
তারই একমাত্র মেয়ে। ছোট বেলায় বোঝা না গেলেও বয়সের সাথে সাথে ধরা পড়ে প্লীহা/থ্যালাসেমিয়া। মাত্র আড়াই বছরে বাবা মার নজরে পড়ে ছোট্ট শিশুর শারিরীক পরিবর্তন। বাবা মেয়ের রক্তের গ্রুপ A+ হবার সুবাদে সেই থেকে শুরু স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রতি দুই মাসে এক ব্যাগ করে রক্ত বিনিময়ের পালা।
স্কুল জীবন শেষ হলে বন্ধুর সাথে আমার দেখা বন্ধ হয়ে যায়। দেশে ফিরে আবার যোগাযোগ। স্কুল পড়ুয়া মেধাবী মেয়েকে দেখলাম। প্রায় সাত বছর বয়সী। বাসায় এসে জেনে নিলো আমারও রক্তের গ্রুপ A+ কিনা। হ্যাঁ সূচক সংবাদে খুশি হয়ে চলে গেলো। তেমন কিছু জানালো না। হঠাৎ একদিন ডাক পড়লো ক্লিনিকে। জিজ্ঞাসা করলো রক্ত দিতে পারবি ? অবাক হয়ে বললাম পারবো না কেনো ?
সেই থেকে শুরু। দেখতাম প্রতি দুই মাসে মেয়েটার গায়ের রং হলুদ হয়ে যায়। চোখ মুখ ফুলে মুখমণ্ডল আর চোখ সমান হয়ে উঠতো। নিরীহ নিভৃতচারী বন্ধু মিনতির সুরে একটি কথাই বলতো … আত্মীয়-স্বজন রক্ত দিতে ভয় পায়। নিজে সহ তোর মতো ২/১ জন বন্ধুর কাছে রক্তের জন্য পায়ে ধরি।
এভাবে নিয়মিত রক্ত দেয়া শুরু। প্রতি দুই মাসে একবার করে রক্ত দেই। দীর্ঘ ৬ বছরে মেয়ের বয়স দাঁড়িয়েছে ১৩ বছরে। বন্ধু হয়েছে ডায়াবেটিক রুগী। সাধ্য থাকলেও নিজের মেয়েকে রক্ত দেবার সামর্থ্য হারিয়েছে। একবার রক্ত কিনে একবার আমার থেকে নিয়ে এভাবেই চলছে। মেয়ে বড় হওয়ায় দৈহিক পরিবর্তন আসায় শরীরের রক্ত চাহিদা বেড়েছে। এখন আর ২ মাসের মেয়াদে চলে না। মিলিত পরামর্শে দাঁড়ালো যত দ্রুত সম্ভব মেয়েকে অপারেশন করো উচিত।
যোগাযোগে জানা গেলো বেসরকারী হাসপাতালে এই রোগের অপারেশন ব্যয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা। লতাপাতায় ডা. বন্ধুদের খোঁজ শুরু হলো। সরকারী হাসপাতালে এই অপারেশনে ব্যয় জানা গেলো ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
আজকাল কারু কাছে সাহায্য চাইতে গেলে বন্ধু পরিচিতরা একটু বাঁকা চোখে দেখে। কেমন যেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। ব্যস্ততার ভান করে। ফোন ধরে না। অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা আমি সহ আমার বন্ধু এবং বন্ধুদের কয়েকজন প্রায় গুছিয়ে এনেছি। এখনো অর্ধেকের মতো বাকি। ছোট হয়ে অর্থ সাহায্য চাইতে পারবো।
সরকারী হাসপাতালে ভরসার চাইতে অবহেলা বেশী বলে বেসরকারিতে ই সম্মত হয়েছি। দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। উদাত্ত আহবান রাখছি আমার ব্লগ বন্ধুদের কাছে – আসুন না বিবাহ উপযোগ্যা একটি মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে আমরা সকলে কিছু কিছু করে অর্থ সাহায্য করি। আমার ঘরেও মেয়ে সন্তান আছে। আমি বুঝি। কতটা অপারগ হলে আড়াই বছরের একটি শিশু সন্তানকে ১৩ বছর পর্যন্ত শরীরে রোগ পুষে পালন করে গেছে একটি মানুষ; শুধুই অর্থের অভাবে। কাউকে জানতে দেয় নি … অপারেশন করার মতো এতো টাকা সে কখনই জোগাড় করতে পারবে না।
ব্লগে সাহায্য আহবান করছি বলে আপডেট জানতে পারবেনা জন্য বিশেষ এই মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে। প্রাপ্তি স্বীকারে তার পক্ষ থেকে যাতে কৃতজ্ঞতার দুটো শব্দ সাহায্যকারীদের আমি যেন জানাতে পারি।

বিকাশ # 01743 918 919
দেশের বাইরে থেকে … money express.
Azad Kashmir Zaman.
Mobile # 01743 918 919
ID : 102 202 019 8369

২৫.০৬.২০১৩ ইং তারিখের মধ্যে আপনার সাহায্য পাঠিয়ে দিতে পারেন।
বিকাশ এর মাধ্যমে ন্যূনতম অংক থেকে যে কোন অ্যামাউন্ট পাঠানো যায়। কেউ পাঠালে নিজের পরিচিতি দিয়ে একটা ম্যাসেজ পাঠাবেন। এবং এই পোস্টে উল্লেখ করবেন যাতে সাহায্যকারীদের নাম আপডেট আকারে এই পোস্টে উল্লেখ করা যায়। ধন্যবাদ সবাইকে। বিনীত : আজাদ কাশ্মীর জামান।

অর্থসাহায্য প্রাপ্তিস্বীকার : 
০১. মি. মাতরিয়শকা। টাকা ৪,০০০/- মাত্র।
০২. মিলি মেহরীন। টাকা ১,৫০০/- মাত্র। ( ফেসবুক এ অপেক্ষমান বন্ধু )
০৩. এলিজা আকবর। টাকা ১০০/- মাত্র। ( ছোট বোন )
০৪. বৈশাখী ঝড়। টাকা ২০০/- মাত্র।
০৫. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ১,০০০/- মাত্র। ( ফেসবুক বন্ধু ) f.
০৬. বন্ধুব্লগ। টাকা ১,৫০০/- মাত্র।
০৭. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৫,০০০/- মাত্র। t
০৮. ফেরদৌসা। টাকা ১,০০০/- মাত্র।
০৯. মো: আসাদুজ্জামান। টাকা ২,০৬০/- মাত্র। ( ফেসবুক বন্ধু )
১০. মিসেস মো: আসাদুজ্জামান। টাকা ১,০০০/- মাত্র। ( বন্ধুপত্নী )
১১. আছির আহমেদ। টাকা ১,০০০/- মাত্র। ( ফেসবুক বন্ধু )
১২. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ১,০২০/- মাত্র। r
১৩. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৭,০৯০/- মাত্র। am a
১৪. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ২০,০০০/- মাত্র। প্রবাসী।
১৫. নাজমুন নাহার। টাকা ১,০০০/- মাত্র।
১৬. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৫,০০০/- মাত্র। t
১৭. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ১,০০০/- মাত্র। d
১৮. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৬০০/- মাত্র। nh
দুস্থ পরিবারটির জন্য সাহায্যের হাত বাড়ালেন :
১৯. রাবেয়া রব্বানি। টাকা ৩,০০০/- মাত্র।
২০. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ২,০০০/- মাত্র। st
আমি এই দুস্থ পরিবারটির পাশে আছি। জমি সম্বল থেকে বাড়ি ঘর তারা বিক্রয় করে ফেলেছে। জীবন চলছে তাদের ভাসমান। আমার সংসার খরচের অংশ থেকে প্রতি মাসে তাদের কিছু কিছু করে সাহায্য করে যাচ্ছি। তাদের ফ্যামিলি আমাকে যেমন সন্তান হারানোর জন্য দোষারোপ করে ; ঠিক তেমনি প্রতি মাসে সাহায্যের অংশ ফ্যামিলির সঞ্চিত অর্থ থেকে অর্থ বেড়িয়ে যাওয়ায় আমার পরিবারও খুশি নয়। আমি কাউকে বোঝাতে পাচ্ছি না … এই অপরাধ আমার।
আমাদের কয়েকজনের সাথে আমি আলাপ করেছি। ফেসবুকে বার্তা পাঠিয়েছি। বিশেষ করে এর আগেও মেয়েটার অপারেশনের সময় আপনারা যারা সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন তাঁদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি। মোটামুটি সিদ্ধান্তে আমরা একটা সিএনজি অটো রিক্সা ক্রয় করে ক্ষতি গ্রস্থ এই সন্তান হারা অসহায় ফ্যামিলির পাশে দাঁড়াতে পারি। যাতে তারা ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হয়। দেখে স্বচ্ছলতার মুখ। সহযোগিতার দ্বিতীয়ার্ধে যারা এলেন জানাই বিনম্র সম্মান।
০১. সাঈদ মোহাম্মদ ভাই। টাকা ৫,০০০/- মাত্র।
০২. ওয়াচডগ। টাকা ১৫,৩৫৬/- মাত্র।
০৩. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যাসাচুসেটস্ থেকে। টাকা ৬,৮৭৮/- মাত্র। r.n
০৪. রীতু। আমেরিকা থেকে। টাকা ১৫,২৮৫/- মাত্র।
০৫. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। লন্ডন থেকে। টাকা ২০,০০০/- মাত্র। a. m
০৬. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। টাকা ৩,০০০/- মাত্র। r.r.m
০৭. নুসরাত আহমেদ। সোফিয়া বুলগেরিয়া। টাকা ৪০,০০০/- মাত্র।
০৮. পলি শাহিনা। নিউ ইয়র্ক। টাকা ১৫,০০১/- মাত্র।
০৯. শিরিন শবনম বিভা। নিউইয়র্ক। টাকা ৫,০০০/- মাত্র।
১০. ফেরদৌসি বেগম। টেক্সাস। টাকা ১,৫৪০/- মাত্র।
১১. প্রকৌশলী খাইরুল আলম। খুলনা। টাকা ২০,০০০/- মাত্র।
১২. নুরুল ইসলাম। ঢাকা। টাকা ১০,০০০/- মাত্র।
১৩. প্রফেসর সোহেল আহমেদ। ঢাকা। টাকা ৪৪,৫০০/- মাত্র।
১৪. আজাদ কাশ্মীর জামান। টাকা ২,০০,০০০/- মাত্র।
১৫. গোলাম মোস্তফা সংগ্রাম। লন্ডন থেকে। টাকা ৩০,০০০/- মাত্র।
সকলের সহযোগিতায় একটি থ্রি হুইলার ক্রয় করে হযরত শাহ সুলতান বলখি (রাঃ) মাজার জিয়ারত করে দুস্থ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভবপর হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এবং আমার বন্ধুর পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের সবার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ রইলাম। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।