এক সময় আলাদা কেউ মনে হতো শাহেদকে আমার কাছে। মাত্র কয়েকটা বছর আগে। বিয়ের পর কত সুখী হয়েছিলাম আমরা একে অন্যকে পেয়ে! সংসার নামের বন্ধুর পথটিকে এতটুকু ভয়ের মনে হয়নি আমার কাছে। পথ হারানোর দুশ্চিন্তা হয়নি। দূরত্ব হবে দু’জনের ভিতর এমন আশংকা ও ছিল না।
কী গভীর বিশ্বাস নিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব তৈরী হয়েছিল। কত দামী ছিল সেই সম্পর্ক। কখনো আর কেউ এই সম্পর্কের মাঝখানে এসে দাঁড়াতে পারে, কখনো কি মনে হয়েছিল আমার?
অথচ কত সহজে সব বদলে গেল!
কার্ল মার্ক্সের শ্রেণি সংঘাত মনে পড়তে ভেতরটা তেতো লাগতে শুরু করল আমার। টিকে থাকার অবিরাম সংগ্রাম.. দখল প্রতিষ্ঠার জন্য মুহুর্মুহু সংঘাত.. অসহনীয় সম্পর্কের বাঁধন.. অসহ্য!
হতাশ আমার বুক ফুঁড়ে দীর্ঘশ্বাস ছিটকে বেরিয়ে এলো লাভার মতো।
‘কেন এমন হয়? কি করব আমি এখন? জীবন্মৃতের এই জীবন সে কি করে বইবো আমি?’
আতংকিত হয়ে ভাবতে লাগলাম, ‘আরও অনেক বছর যদি বাঁচতে হয়?’
‘পুরুষ!! শরীরের দায়ে না পড়লে নারী কখনো পুরুষকে কি সইত, বইত?’ বিস্মৃতির অপর পাশে ভালবাসার অলৌকিক সুখের মুহুর্তগুলোকে রেখে এপাশে ছলকে ছলকে উঠতে লাগল ঘৃণা.. প্রত্যাখ্যাত প্রেম তীব্র রোষে ফুঁসতে লাগল।
বারান্দার কোণে রাখা চেয়ারটা থেকে ছিটকে উঠে ডাইনিং রুমের ভেতর দিয়ে সোজা নিজের রুমের দিকে হেটে গেলাম। কিছু একটা করতে হবে। মাথায়, শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। বিয়ের আগে এমন যন্ত্রণা হলে ঘর কাপিয়ে গান শুনতাম। দ্রুত ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলাম। রাস্তায় কিছুক্ষণ হাটতে হবে..
লম্বা পিচের রাস্তার পেভমেন্ট ধরে হাটবার কালে, সেই কথাটি আবারো মনে পড়ে গেল- শাহেদ আমার আপন ছোট বোনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে!
কাকে বলব আমি?
________________
#তুমি_আমার_নও_মামুনের_অণুগল্প।
আপনার এই লিখাটি আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। শুভ সকাল মি. মামুন।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।
শুভেচ্ছা নিরন্তর…
বাস্তবতা আসলে এমনই।
গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা…
বাস্তবে কিছি কিছু মানুষের রূচি এমন বিকৃত হয় কেমন করে বুঝিনা। ৮০%বাস্তবের প্রতিচ্ছবি।
সঠিক বলেছেন প্রিয় খালিদ ভাই।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা…
অপার মুগ্ধতা প্রিয় গল্প দা।
আপনার মুগ্ধতা আমার লেখায় প্রেরণা হলো প্রিয় রিয়াদি'
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
হৃদয়ছোঁয়া মামুন ভাই।
ধন্যবাদ প্রিয় কবিদা'
শুভেচ্ছা।

* বিমুগ্ধ, প্রিয় মামুন ভাই।

ধন্যবাদ প্রিয় দিলোয়ার হুসাইন ভাই।