পাতা ঝরার দিন।
ঝরছে হলুদ পাতারা মুষলধারে। গাছগুলো কেমন নেংটো হয়ে আছে। রুপার সেদিকে তাকালে কেন জানি লজ্জা লাগছে। তারপরও ‘নেংটো’ এই শব্দটা ওর বোধের আরো গভীর থেকে ওকে কেন জানি এক চৌম্বকীয় আবেশে তড়িতাহত করে তুলতে চাইছে।
হঠাৎ শিহাবের কথা মনে হল ওর!
এই ফাল্গুনের শিমুলে আগুন জ্বলা দুপুরবেলায়, তিরতির করা শব্দের নিঃশব্দ অনুরণন- রুপার দ্বাবিংশ বছরের শরীরকে কেন যেন উত্তেজিত করে তোলে। একটি শক্তিশালী পুরুষালী কর্কশ স্পর্শ ওকে এলোমেলো করে তুলুক… ওর মাখন নরম কমনীয়তা লন্ডভণ্ড হোক কারোর দ্বারা! এমনটি-ই যেন চাইছে এই মন।
দূর থেকে নিঃসঙ্গ কালো পিচঢালা পথ ধরে শিহাবকে আসতে দেখে। নিমিষে এক ঝলক উষ্ণ অনুভব ততোধিক উষ্ণ শোণিতে পরিবাহিত হয়। বিবশ করে তোলে রুপাকে। রক্তিম শিমুলের চেয়েও লাজরাঙ্গা হয়ে উঠে! মুখ নিচু করে থাকে কিছুক্ষণ। শিহাবকে নিয়ে ওর একটু আগের ভাবনাগুলোকে জেনেই যেন, সেনাবাহিনীর মত মার্চ করে এসে লজ্জারা ঘিরে ধরে ওকে।
কাছের মানুষ আরো কাছে এলে অনুভূতিগুলো আরো প্রবল হবার পরিবর্তে নিষ্ক্রিয় কেন হয়ে যায়? কত কথা বলার আছে! কিন্তু শিহাব কাছে এলে কেন জানি বলা হয়ে উঠে না।
কাছে-দূরের এই অনুভূতি-ই কি ভালোলাগা?
না কি ভালোবাসা!
এই কি প্রেম!
অসাধারণ অণুলিখন প্রিয় গল্পকার মি. মামুন। ধন্যবাদ এবং শুভ সকাল।
আপনার অনুপ্রেরণা আমার লেখার চালিকা শক্তি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
প্রধান চরিত্র শিহাব নিয়ে বেশ কিছু অণুগল্প আপনার পড়েছি। আজকেরটিও দারুণ হয়েছে। শুভেচ্ছা জানাবেন প্রিয় গল্পদা মামুন।
শিহাব আমার প্রিয় একটি চরিত্র রিয়াদি'। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
শুভেচ্ছা।
কাছে-দূরের এই অনুভূতি-ই কি ভালোলাগা?
না কি ভালোবাসা!
এই কি প্রেম!
কেউ জানে না এর উত্তর!
হ্যা, কেউ জানে না এর উত্তর।
ধন্যবাদ ভাই।