কলেজের আগমনী

কলেজের আগমনী

বৃষ্টিভেজা দিন—ফুরফুরে হাওয়া—-কলেজের গেট—-সুন্দরীদের আনাগোনা—কলেজ ছাত্রী ছাত্রদের আসা যাওয়া—হাসি ঠাট্টা—-কোলাহল—স্যার মাডামদের মুচকি হাসি—মাঝেসাঝে বকাঝকা—-কোন কোন প্রেমিক প্রেমিকার ঘুরে ঘুরে তাকানো—তাঁদের হাত ধরাধরি উল্লাস—চোখের কোনে জমাট বাঁধা কত খুশি—

সত্যিকথা বলতে আমার নিজে হইচই আনন্দ করার থেকে এককোণে রাস্তার ধারে গেটের মুখে চেয়ারে বসে এইসব কাহিনী রোমান্স দেখতে ভালো লাগে—ফিল করতে ভালো লাগে স্কুলের ক্লাশটিচারদের মনে পড়ে যায় —মনে হয় আজো যেন “মণ্ডল এদিকে আয়” বলে ডাকছে–! তাঁদের সেই মাথায় হাত বোলানো স্পর্শটুকু আজো মুছতে দি নি—-হাজার স্নানে ও বারো বছর আগের ছোঁয়াটুকু হাসিটুকু বাঁচিয়ে রেখেছি—-

যেকোন “ডিগ্রী” পেলেই কি সব কিছু–! ওইজন্য অনুষ্ঠানের মূহুর্ত’ গুলো সামান্য হলেও আমার কাছে অনেক বড়–!

কোন আগমনীর সুর —-নাচতে যাওয়ার আগে মেয়েটির টেনশনের লাল মুখ হাসিতে টোম্যাটোর মতো আভা— আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কত ধৈর্য্য কত সহনশীলতা আমাদের উপর বৃষ্টিপাত করছে?

এককোণে বসে সারাদিন লিখে যেতে চাই— জুতোর শব্দ—সেই সব কোলাহল—সব ই যেন কোন আগমনীর পূর্ব “আলিঙ্গন”!

নাচ হল কৃত্রিম আবৃত্তি হল এতে কোন মহানতা —স্বাদ’ রোমাঞ্চতা নেই—কেমন বিয়েবাড়িতে রসগোল্লা খাওয়ার মতো গেলাম চলে এলাম—-

বন্ধুদের দুঃখ আনন্দ প্রকৃতি রস কিছুই নিজের মধ্যে আহরণ করতে পারলাম না—!

সবার ধারনা সমান নয় —-আমার রোমন্থনে স্মৃতির সাগরে ডুবে থাকতে খুবই ভালো লাগে —যতসামান্য প্রকৃতি র ঝরাপাতা’ সংগী থাকলেই আমার কাছে ”অনেক কিছু-“!

8 thoughts on “কলেজের আগমনী

  1. আমার এই বয়সে আপনাদের এমন লিখা পড়লে আসলেই আমি নস্টালজিক হয়ে পড়ি। সুদিন গুলো আমাদের জীবন থেকে দ্রুত হারিয়ে যায়। ভালো থাকবেন লেখক।

  2. “স্কুলের ক্লাশটিচারদের মনে পড়ে যায় —মনে হয় আজো যেন “মণ্ডল এদিকে আয়” বলে ডাকছে–! তাঁদের সেই মাথায় হাত বোলানো স্পর্শটুকু আজো মুছতে দি নি—-হাজার স্নানে ও বারো বছর আগের ছোঁয়াটুকু হাসিটুকু বাঁচিয়ে রেখেছি—”-

    –দারুণ লাগলো।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।