ট্রেনচলা পথে


রোদ জ্বলা দুপুরে চলছিলাম
আনমনে দু’জনে মিলে
সেই ট্রেন চলা পথে ,
চোখে চোখ মেলে চাওয়া
বোবা ভাষায় কথা বলা ,
হৃদয়ে হৃদয় বিনিময় পালা
না বলা কত না কথা বলা ৷
দু’জনের দুটি হাত একসাথে একাকার
পিছলে পড়া কতোবার ৷
আবেগী সেই ক্ষনে
মনে নেই জীবনের অতীতটাকে ,
নেই কোন ভাবনা
কোন পথেই বা পথ চলা ,
কোথায় বা তার শেষ ঠিকানা
জানা ছিলো সবই তবুও অজানা ৷
বে- হিসাবি মন
শাসন তো মানে না
মানেনা বারন ৷
শুধু সহসা আনমনে পথচলা
মিষ্টি মিষ্টি দুষ্টু কিছু কথা বলা ,
সে যে কি ভালো লাগা
চেনা অচেনা কেবলই পথ চলা ৷
কি জানি কি
হটাৎ – ই থামলে তুমি ! দেখলাম
ঐ – সুদূরে কি জানি কি দেখছিলে
আর আনমনে গুনগুন করছিলে ,
আর আমি ,
তোমার কণ্ঠে নিজেকে ভাবছি
দু’চোখ মেলে তোমায় দেখছি ৷
তখনো গভীর হর্ণটা বেঁজে উঠেনি
এতটা পথ কেউ পিছু তাকাইনি ৷
কল্পনার শত অভিসারে
গেয়ে চলেছি গান আনমনে দু’জনে ,
সময়ের হাত ধরে আনমনে আপনগতিতে
ট্রেনও বিরামহীন ভাবে ধেয়ে আসছে ৷
হটাৎ – ই মনে হলো ,
পদতলে বুঝি ভূমি কেঁপে উঠলো ,
ভাবছি তোমাকে প্রশ্ন করবো
১০ মিনিট তোমার বুকে মাথা রাখবো ৷
আবারও কেমন জানি মনে হলো
বুঝি কোন শব্দ বাতাসে ভেঁসে আসলো ,
এরই মাঝে তুমিও বলে উঠলে থামলে কেনো
ভাবছি কেবলই উত্তর দেবো
ঠিক তখনই এক অচেনা পথচারী বলে উঠলো
সরে যান গাড়ি এলো ,
পিছন ফিরে তাকাতেই দেখি
সরে দাড়ানোর সময় হারিয়ে ফেলেছি
সজোরে তোমাকে ধাক্কা দিতে চেয়েছি
জানা হয়নি কতোটা সরাতে পেরেছি ,
আমার এ হাত
তোমাকে স্পর্শ করেছিলো কিনা তাও বুঝিনি ৷
আর তো কোনো কথাই বলা হয়নি
ঠিক তখনি
চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে গেছি আমি ৷

7 thoughts on “ট্রেনচলা পথে

  1. একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার সাথে সাথে দুটি মনের প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটল!

    চমৎকার উপস্থাপনা কবি। অসাধারন!

  2. আজকের লেখাটি বেশ বড় হয়েছে কবি দা। বরাবরই ভাল লেখেন আপনি। আপনার জন্য শুভকামনা এবং শারদীয়ার শুভেচ্ছা।  

  3. নেই কোন ভাবনা
    কোন পথেই বা পথ চলা,
    কোথায় বা তার শেষ ঠিকানা
    জানা ছিলো সবই তবুও অজানা ৷

    অসাধারণ প্রকাশ প্রিয় কবি। জীবন একটাই। :)

  4. আপনার লিখার কথা গুলোন বাস্তবতার একদম কাছাকাছি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।