শেষ ভোজন

শেষ ভোজন

নিয়ন আলোয় মুগ্ধ আঁধারের হাত ধরে প্রবাহমান
নদীর মতন ভেসে যাওয়া সময়;
ফিরিয়ে দিয়েছি চাঁদের আলোর অবাক বিচ্ছুরণ,
ছোট ছোট পোনাদের ডুব সাঁতার আর
বুনো হাঁসের অবারিত ছুটোছুটি।

সব কিছুই ফিরিয়ে দিয়েছি আমি, একদম হিসেব নিকেশ করেই-
আমার কাছে আজ তোমার আর কোন দেনা নেই।

রূমঝুম নুপূরের নিক্কন, ঝির ঝির বাতাসের আনাগোনা,
হাতের রেশমী চুড়ি,তোমার দেওয়া নীল শাড়িটা;
তার সাথে পছন্দসই কানের ঝুমকোটা পর্যন্ত
ফিরিয়ে দিয়েছি।

ধবধবে সফেদ পায়ের নরম আঙিনা ছুঁয়ে গিয়েছিল
যে কটা চপ্পল তাও তো বাদ রাখিনি,
তার সাথে ফিরিয়ে দিয়েছি হাফ ডজন ব্যাগ,
হাতের অঙ্গুরী আরো যে কতো কি;

খুব রাত হয়ে গেলে কালো ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসতো অনেক মন্ডা মিঠাই;
তুমি অনুরোধের সুরে বলতে –খেয়ে নিও রাতে,
যদি ক্ষিদে পায় খুব।

আমিতো তাও ফিরিয়ে দিয়েছি।

মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে পড়ে যে হাসির মূর্ছনা –
নিয়ে গেছো নিজের কব্জির মুঠোতে,
টেবিল ভর্তি সাজানো মাংস –কাবাব, হালুয়া –রুটি
সব সব ফিরিয়ে দিয়েছি কড়ায় গণ্ডায়।

মেপে- মেপে, খেয়াল করে দেখো এক মন ওজোনও
কম হবে না কোথা্‌ও,
কেবল ফিরিয়ে দিতে পারলাম না তোমার দেওয়া
অসম্ভব সুন্দর সেই মুহূর্তগুলো।।

10 thoughts on “শেষ ভোজন

  1. 'মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে পড়ে যে হাসির মূর্ছনা –
    নিয়ে গেছো নিজের কব্জির মুঠোতে,
    টেবিল ভর্তি সাজানো মাংস –কাবাব, হালুয়া –রুটি
    সব সব ফিরিয়ে দিয়েছি কড়ায় গণ্ডায়।'

    ইহা শেষ ভোজন নহে দেবী রোদেলা নীলা। :)

  2. ভিন্ন ধারার কবিতা। অভিনন্দন কবি বোন রোদেলা নীলা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  3. সব ফিরিয়ে দেয়া যায়।

    শুধু ফিরিয়ে দেয়া যায়না স্মৃতিগুলোকে।

    স্মৃতি নিয়ে কেউ বেঁচে থাকে,

    আবার কেউ জ্বলে পুড়ে মরে

    স্মৃতির দাবানলে।

    অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।