একটু একটু করে শীত জড়ায়
মায়ায় চাদরে পশমি আদরে,
তুমি আমার দক্ষিণ দুয়ার
খোলা জানলায় মরশুমি
হলুদ ফুলের সুঘ্রাণ।
আজ বিকেল থেকেই
মাথায় ক্রুসেড শুরু হলো,
সারিডন খেলাম আর ফেমোসেড ফর্টি।
এখন মাথায় তীব্র সতীদাহ
তবুও তোমার রেশম সালোয়ার
আর ওড়না বিহীন বুক
আমাকে ছেড়ে যায়নি।
রাস্তায় ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে,
কিচির মিচির আওয়াজে
দপদপিয়ে জ্বলছে স্ট্রীট লাইট,
রাস্তায় লীগ শুরু হলো,
শুরু হলো
মাঝবয়সী অন্ধকার সেলিব্রেশন।
জলজ সন্তান খুঁজছে ঘুমের মাঝে ফেলে আসা মাতৃঅতীত,
একমাত্র তুমিই হিসেবের খাতা খুলে
দেখেই চলেছ সমস্ত
বঞ্চনার আদান প্রদান,
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখছি
উত্তুঙ্গ দুই স্তনে হাত,
রাত্রিকালীন সন্ধিছায়া
টুপটুপিয়ে ঝরছেই
চারপাশের সব ইচ্ছে আসনে।
শীত জড়াচ্ছে পরম
আদরে জলজ আদিমতায়।’
স্রেফ ওয়াও প্রিয় কবি সৌমিত্র। শুভ দুপুর।
শুভেচ্ছা জেনো প্রিয় ভাই।
আপনার লেখা অল্প আগের একটা কবিতার ভালো লাগা এখনো মনে লেগে আছে সেটার বিনির্মাণের কারণে। সাধারণ কিছু শব্দকে কৌশলি ব্যবহারের মাধ্যমে অসাধারণ করে তুলেছিলেন। প্রায়শঃ আপনার কবিতায় এটা দেখি। এই কবিতায়ও দেখলাম। চমকপ্রদ কিছু উপমা পেলাম; যেমন "এখন মাথায় তীব্র সতীদাহ"। নতুন চমকপ্রদ উপমা কবিতাকে সবসময়ই উন্নত করে।
বিশেষ করে শেষ প্যারাটার অন্তর্গত প্রবাহ (নদির মতো) আমাকে মুগ্ধ করেছে।
হাহাহা তাই নাকি মরুভূমি ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। খুশি হলাম অনেক। ভালোবাসা নিন ভাই।
সৌমিত্র দাদা, একটা প্রশ্ন হঠাত করেই মনে এসে প্ররল, কবিতা যারা লেখেন তারা কবি নামে পরিচিত। আমার প্রশ্ন এখানেইঃ যারা কবিতা পড়েন তারা কী?





তারা সবি। এই সবি না থাকলে কবিই হারায়।

শীত জড়াচ্ছে পরম
আদরে জলজ আদিমতায়।’
* অসাধারণ …


ধন্যবাদ কবি হুসাইন ভাই।
আহ ! একটি জীবন্ত কবিতা।
শীতের সাথে জড়িত সবগুলো উপাদানে একদম ঠাঁস বুনটে লেখা কবিতা।
ভালো লাগলো সৌমিত্র দা
ভালোবাসা কবি জাহিদ ভাই। আপনার মন্তব্য ভীষণ ভালো লাগে।
খুব সুন্দর
ধন্যবাদ কবি শংকর দেবনাথ।