উপনিষদের দ্বিতীয় পাখী

আমি ঘটক বা অনুঘটক হতে চাই না,
আমি চাই না শরত বাবুর দেবদাস,
অথবা লাইলীর ব্যর্থ মজনু হতে।
আমি বিষন্নতার কষ্টের গাঢ় নিঃশ্বাস,
ঘাড় পেতে নিতে নিতে ফুরিয়ে যেতে চাই,
আমি উপনিষদের দ্বিতীয় পাখীর মতো,
দূরে দাঁড়িয়ে দেখে যেতে,
শুধু দেখে যেতে চাই,
আনন্দ আর বিষাদে ভরা,
তোমাদের ভালোবাসার সোনালী মাখামাখি।

গোধুলী বেলার লাল রংগে নিজেদের
রাংগিয়ে, বাগানের লনে বসে,
চা খাওয়ার অবসরে, কিম্বা
খুনসুটির মহামিলনের অবসাদে,
আনন্দের ঘন নিঃশ্বাসে,
আমাকে ভাববে,
আমাকে মনে করবে,
দীর্ঘশ্বাস ফেলবে,
এমন কিছু মানতেই পারে না মন।

5 thoughts on “উপনিষদের দ্বিতীয় পাখী

  1. আমি বিষন্নতার কষ্টের গাঢ় নিঃশ্বাস,
    ঘাড় পেতে নিতে নিতে ফুরিয়ে যেতে চাই,

     

    * সুন্দর প্রকাশ… https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  2. কবিতার অনুভব পারস্পরিক অথবা সাংঘর্ষিক হোক না কেন অবস্থান পরিষ্কার। অভিনন্দন কবি কাজী রাশেদ। শুভ সন্ধ্যা। :)

  3. সনাতন ধর্মতত্ত্বে দুটো বিভাজন হচ্ছে – মন্ত্র+ব্রাহ্মণ (প্রথম ভাগ) আর আরণ্যক + উপনিষদ (দ্বিতীয় ভাগ)। মীমাংসকরা … এইভাবে কাজ করতে করতে তোমার মন শুদ্ধ পবিত্র হবে, তখন ঠাকুরের নাম নিলে উপনিষদের তত্ত্ব কিছু কিছু ভেতরে যেতে শুরু করবে।

    কবি মনে ইচ্ছেটা কেন জাগরুক হলো খুঁজে নিয়ে এলাম। কবিতা ভাল হয়েছে। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।