তোমাদের ফ্ল্যাটের ঝুল বারান্দার সারিবদ্ধ টবগুলোতে একদিন
বাহারি ফুল ছিল বেশুমার (নির্ঘাত অনেক সুঘ্রাণও ছিল); আমি
কোনওদিন যাইনি, নিচের সড়ক থেকে দাঁড়িয়ে দেখতাম, সেই
বহুতল ভবনে সেই বিশেষ ফ্ল্যাটের ঝুল বারান্দার টবগুলোতে
থরেথরে ফুটে আছে, রঙবেরঙের সুদৃশ্য সব ফুল। আমার বড্ড
ভালো লাগতো। কিন্তু আজ অনেকদিন পর আবার সেই সড়কে
হাঁটতে গিয়ে দেখলাম, এখন আর একটিও ফুল নেই। ফুলের
বদলে তীক্ষ্ণ কাঁটাওয়ালা যুদ্ধংদেহী থুকথুকে একদল ক্যাকটাস
দাঁড়িয়ে আছে উদ্ধত ভঙ্গিতে। বিন্দুমাত্র কোনও সৌন্দর্য কিংবা
স্নিগ্ধতা নেই ওগুলোর, আর আমি হলফ ক’রে বলতে পারি,
বাঙময় ফুলের মতো সুঘ্রাণও ছড়াতে পারে না; নির্গুণ থুকথুকে
কুৎসিত কতিপয় ক্যাকটাস। কেন যে তোমরা ক্যাকটাস দিয়ে
ভ’রিয়ে রেখেছ আজ ঝুল বারান্দা! এরপর কোনওদিন ওই
সড়ক দিয়ে গেলে ভুল ক’রেও আর মাথা উঁচিয়ে তাকাবো না।
8 thoughts on “শিরোনামহীন”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
প্রথমে প্রশংসা করে নেই মি. অর্ক। আমি অধম আপনার লিখার ভক্ত। বাঙ্ময় শব্দটি বহুকাল পরে ঝুপ করে আজ প্রকট হলো। আমার ভীষণ পছন্দের একটি শব্দ বাঙ্ময়।
অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। সত্যি আপনি এই সাইটে এক অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। শুভকামনা নিরন্তর।
বাহ্ অর্ক ভাই। আজ দুইটি লেখাতেই বাজীমাৎ করেছেন।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ভ্রাতা। শুভকামনা সবসময়।
আপনার লেখা গুলোন যত পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। শব্দনীড় আমাকে সমৃদ্ধ করেছে।
বরাবরের মতোই মন্তব্যে আপ্লুত করে গেলেন! বেশুমার ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
ক্যাকটাস ! ক্যাকটাস ! ভালো লাগলো প্রিয় অর্ক ভাই
সত্যি আপনার মতো পরিণত কবির ভালো লাগা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।