হিম হিম সকাল
অনেক দিন পরে সকাল এসেছে খুব শান্ত হয়ে, প্রাচীন বটের মতোই ছায়া পেতে দিয়ে। এই হৈমন্তিক কুয়াশা ঘেরা স্নিগ্ধ সকালে সোহাগে বেহাগে আলতোভাবে জড়িয়েছে আমায়। ঘুম মাখা আধা আধি চোখে তাকিয়েছি। হিমে ওমে মাখামাখি গালিচার মতো তুলোট সকালে, চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থেকেছি সোনালি ভোরের দিকে। মনে মনে বলেছি আজকে আবার ভোর মেখেছি হিমেল ছোঁয়াতে। মন তার দরজা খোলে অতি ধীরে।
এখন এই হিম হিম সকাল বেলায় অলিতে, গলিতে, মাঠে, ঘাটের আনাচে, কানাচে ঘাসেরা সব বিছিয়ে নেবে শিরশিরিয়া চাদর। মায়ের কোলে ওম নেবে পাখির ছানারা। পরিযায়ী পাখিরা ডানায় ডানায় বয়ে আনবে পশমিনা সকাল। বালির কোল থেকে পিঁপড়েরা বয়ে আনবে মিঠে সাগর। সূর্য্যের অফুরান আলো নিয়ে নিঃশ্বাসে, ঝরে পড়বে একটা একটা পাতা। আর ঠিক তখন এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দেবো ইচ্ছে-বেলুন।
কুয়াশারা হাত ধরাধরি করে মুছে দেবে মন খারাপি নদীর সাঁকো। হীরের দানার মতন টিপটিপ করে পাতায় পাতায় ঝরে পড়বে শিশির। জানলা খুলে বুকে ভরে নেবো মাটির আতর।
সূর্য্যের অফুরান আলো নিয়ে নিঃশ্বাসে, ঝরে পড়বে একটা একটা পাতা। আর ঠিক তখন এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দেবো ইচ্ছে-বেলুন। ___ অসাধারণ এবং অনবদ্য শব্দ ভাবনা।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু। শুভেচ্ছা নিন।
অনেক ভালো লাগলো লেখাটি,,
ধন্যবাদ কবি সুজন দা।
আহা দারুণ সত্যি, খুব স্নিগ্ধ হলাম, হিম হলাম, পবিত্র হলাম। শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন মাননীয়া।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা কবি অর্ক দা।
ধন্যবাদ।
এই বছর এক রাত থেকেছি খোলা মাঠে তাবুতে। রাতের কুয়াশাদের ভোরের শিশির হতে দেখেছি।
রিয়াদি,
আমাদের এখানে শীত আসে দেড় ফুট স্নো নিয়ে । কাব্যিকতা করার মতো অবস্থা আর থাকে না ।আপনার লেখা পরে সেই ছোট বেলায় নানীর বাড়িতে শীতের সকালে আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে কাটানো শান্ত সকাল গুলোর কথা মনে পড়লো ।ভীষণ ভালো লাগা লেখা !
ধন্যবাদ এবং সম্মান প্রিয় কবি ইসলাম দা।
হীরের দানার মতন টিপটিপ করে পাতায় পাতায় ঝরে পড়বে শিশির। জানলা খুলে বুকে ভরে নেবো মাটির আতর।
* অসাধারণ বাণীবিন্যাস…
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।