একটু ভাবনা- একটু সচেনতা-একটু বিচক্ষণতা

একটু ভাবনা- একটু সচেনতা-একটু বিচক্ষণতাঃ

ছোট্ট একটি মাটিকে ফেলে দেয়া হয়েছিল এক লাল সমুদ্রে। তলিয়ে যাচ্ছিলো সবই অতল গভীরে। সেখানে ছিলো লাইসোজোম ডি এন এ এবং প্লাস্টিড ডি এন এ এর নিউক্লিয়াস এর সভ্যতা। এই বিশাল লাল জলরাশির জলযাত্রায় সবাই বেঁচে থাকার আশ্রয় খুঁজছিল।

মাটি টি যখন তলিয়ে যাচ্ছিলো তখন এক লাইসোজোম ডি এন এ ভাবলেন, আমাদের উত্তরসূরীরা আমাদের ভাষাকে বাঁচাতে পারলে আমরা আমাদের মাটিকে বাঁচাতে পারবো না কেন? অতঃপর উক্ত লাইসোজোম ডি এন এ ঝাঁপিয়ে পড়লেন লাল সমুদ্রে। নিয়ে আসলেন এক জলযান। নিউক্লিয়াস সভ্যতার সকল লাইসোজোম ডি এন এ মিলে মাটিকে জলযানে তুলে নিলেন।

নিউক্লিয়াস সভ্যতা যখন জলযানে করে স্থলের দিকে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই জলযান ব্যাবস্থাকারী ডি এন এ কে ধরে নিয়ে গেল এবং পাঠিয়ে দিল অনেক জলযুদ্ধযান এবং কিছু অদ্ভুত বহুরূপী উভচর লাইসোজোম ডি এন এ। মাটিকে বাঁচাতে যে ডি এন এ টি জলযান এনে দিয়েছিল সেই ডি এন এ কে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় জলযানে উপস্থিত নিউক্লিয়াস সভ্যতার সকল লাইসোজোম ডি এন এ এর উদ্দেশ্যে বলে গিয়েছিল তোমরা যে ভাবে পারো একজনেরও জীবন থাকলে এই মাটিকে এই জলযানে করে স্থলে নিয়ে যাবা।

এরপর যখন বিভিন্ন জলযুদ্ধযান এসে সেই নিউক্লিয়াস সভ্যতার মাটিকে স্থলে নিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছিলো এবং একই সাথে যখন ঐ অদ্ভুত বহুরূপী উভচর লাইসোজোম ডি এন এ গুলো সাগরের নিচ থেকে গোপনে নিউক্লিয়াস সভ্যতার মাটির জলযানট ফুটো করে দিচ্ছিলো ঠিক তখনই ঐ মাটিকে বাঁচাতে নিউক্লিয়াস সভ্যতার সকল লাইসোজোম ডি এন এ ঝাঁপিয়ে পড়লো লাল সাগরে।

অবশেষে সেই মাটি- ভাষা ও নিউক্লিয়াস সভ্যতা স্থলে উঠে আসলেও সবুজ ঘাসের বুকে সেই মাটির রঙ ছিল লাল। এই মাটিকে বাঁচাতে যে সব ডি এন এ লাল সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের অনেকেই সেই লাল সাগরে হারিয়ে গেছে। আসতে পারেনি আর স্থলে।

এরপর গড়ে উঠলো লাল সবুজ এর লাইসোজোম ডি এন এ এবং প্লাস্টিড ডি এন এ এর নিউক্লিয়াস সভ্যতা। একদিন সেই দুর্যোগের ঘনঘটায় উত্তাল সমুদ্রে এই মাটিকে তলিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে একটি জলযান এনে দিয়েছিল সে লাইসোজোম ডি এন এ তিনি চলে গেলেন চিরতরে।

অতঃপর এক লাইসোজোম ডি এন এ আসলেন প্লাস্টিড ডি এন এ তৈরি করার জন্য যা ঐ সভ্যতার খাদ্যদ্রব্য হবে। তিনি কিছু প্লাস্টিড আবাদ করে খাদ্যদ্রব্যের ব্যাবস্থা করেছিলেন বটে। কিছুদিন পর তিনিও চলে গেলেন চিরতরে।

অতঃপর এক লাইসোজোম ডি এন এ একটি জমি চাষ করার সুপরিচিত যন্ত্র এনে নিউক্লিয়াস সভ্যতাকে খাদ্যদ্রব্য বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা বলে যখন মাটির বুকে ঐ যন্ত্রের ধারালো চাপ দিলেন ঠিক তখনই এই মাটি কেঁদে উঠলো। প্রিয় মাটির এই কান্না শুনে নিউক্লিয়াস সভ্যতার সকল লাইসোজোম ডি এন এ মিলে বললো – তুমি নেমে যাও, আমরা এ মাটির কান্না সইবো না। উত্তরে সেই ডি এন এ বললো – না আমি নামবো না – প্রয়োজনে আরো জোরে এই যন্ত্র দিয়ে মাটিতে চাপ দেবো।

তখন নিউক্লিয়াস সভ্যতার সকল লাইসোজোম ডি এন এ একত্র হয়ে উক্ত জমি চাষ করা যন্ত্রওয়ালা ডি এন এ কে নেমে যেতে বাধ্য করলো। অতঃপর জমি চাষের যন্ত্রওয়ালা ডি এন এ কে এই নিউক্লিয়াস সভ্যতার ডি এন এ রা আর আসতে দেয় নি। তবে লাল সাগরে এ মাটি তলিয়ে যাওয়ার সময় জলযান সংগ্রহকারী লাইসোজোম ডি এন এ এর উত্তরসূরী ডি এন এ এবং প্লাস্টিড উৎপাদনকারী লাইসোজোম ডি এন এ এর উত্তরসূরী ডি এন এ রা এসেছিলেন।

শেষবার যখন দুর্যোগের সময়ে জলযান সংগ্রহকারী ডি এন এ এর উত্তরসূরী আসলেন তখন সেই অদ্ভুত বহুরূপী উভচর লাইসোজোম ডি এন এ দের নিষিদ্ধ করলেন এবং এতে নিউক্লিয়াস সভ্যতার সবাই নীতিগতভাবে মেনে নিয়ে খুশি হয়েছে। নিউক্লিয়াস সভ্যতায় এখন এক শান্তির পরিবেশ বিরাজমান এবং এই সভ্যতা এবং মাটির উন্নয়ন অনেকটা এগিয়ে গেছে। কিন্তু সেই দুর্যোগের ঘনঘটায় উত্তাল লাল সমুদ্রে এ মাটিকে জলযানে তুলে স্থলে আনার সময় যে অদ্ভুত বহুরূপী উভচর লাইসোজোম ডি এন এ রা জলযানটি ফূটো করতে চেয়েছিল তাদের কে নিষিদ্ধ করলেও যেহেতু তারা বহুরূপী তাই বিভিন্ন রুপ ধারণ করে বর্তমান জলযানকে আবারও ফুটো করতে চেষ্টায় লিপ্ত কিন্তু বর্তমান জলযানের কাণ্ডারী এ ব্যাপারে সজাগ থেকেছেন এবং আপাত দৃষ্টিতে নিউক্লিয়াস সভ্যতার কাছে জলযানের কিছু কিছু স্থানে ওরা ফূটো করতে পেরেছে বলে মনে হলেও মূলত কাণ্ডারী তাৎক্ষনিক তা রিপিয়ার করতে সক্ষম হয়েছেন।

এখন এবার এমন সময় নিউক্লিয়াস সভ্যতার লাইসোজোম ডি এন এ দের মতামত দেয়ার সময় এলো ঠিক এই সময়েই সেই দুর্দিনে জলযান সংগ্রহ করে এ মাটিকে বাঁচানো হয়েছিল।

এবার মতামত দেওয়ার বেশ কিছু অপশন এসেছে।
তার মধ্যে বর্তমান সময়ের জলযানের কাণ্ডারী আছে যে সেই লাইসোজোম ডি এন এ এর উত্তরসূরী যে লাইসোজোম ডি এন এ উত্তাল সমুদ্রের মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলযান সংগ্রহ করে এই মাটিকে বাঁচিয়ে ছিলেন।

আরও আছে সেই ডি এন এ এর উত্তরসূরী যে লাইসোজোম ডি এন এ প্লাস্টিড আবাদ করে খাদ্য উৎপাদন করেছিল। আবার জমি চাষের সেই যন্ত্রওয়ালা লাইসোজোম ডি এন এ আছে।

আবার একটি মিলিত বিন্দু আছে যেখানে কয়েক ধরণের মিশ্রণ আছে। এর মধ্যে প্লাস্টিড আবাদকারী ডি এন এ যোগ দিয়েছে। দুর্যোগের সময় বিশেষ অবদান রাখা এক ডি এন এ তার জীব কোষ পাল্টে এখন গোসলের পর শরীর মোছা যায় এমন একটি প্রোটন নিয়ে এ বিন্দুতে যোগ দিয়েছে। দূর্যোগময় দিনের এক বিশেষ শিক্ষিত লাইসোজোম ডি এন এ এই মিলিত বিন্দুটি বানিয়েছে।

এখন সামনে মাত্র আর কটা দিন বাকি নিউক্লিয়াস সভ্যতার লাইসোজোম ডি এন এ দের মতামত দেয়ার। ডি এন এ রা এখন ভাবছে। ঐ উদ্ভট বহুরূপী উভচর লাইসোজোম ডি এন এ রা আড়ালে আবডালে বর্তমান জলযান ফুটো করতে চেয়েও ব্যার্থ হয়েছে। অনেকে শিওর হয়েছে যে প্লাস্টিড এখন আর আগের মতো নেই। কি করে শিওর হলো? অনেকে এখন খাদ্যদ্রব্য হিসেবে প্লাস্টিড কিনে এনে তা উপাদেয় করার জন্য রান্না করতে গিয়ে দেখেছে এগুলো আসলে প্লাস্টিক, প্লাস্টিড নয়। প্লাস্টিক হচ্ছে জড় পদার্থ যা আসলে অনু পরমাণু ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন এবং এগুলো খাদ্য দ্রব্য হিসেবে বিবেচ্য নয়।

আবার অনেকে বলছে যা দু একটা প্লাস্টিড আছে সেগুলোতে মাইটোসিস এর আড়ালে সেই উদ্ভট বহুরূপী উভচর ডি এন এ লুকিয়ে আছে কি না এ বিষয়ে সন্দিহান। আর জীব কোষ পাল্টে এখন গোসলের পর শরীর মোছা যায় এমন একটি প্রোটন কখনো খাদ্যবস্তু হতে পারে না। তাহলে দেখা যাচ্ছে এই মিলিত বিন্দুতে এখন ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন প্লাস্টিক এবং মাইটোসিস এর আড়ালে সেই উদ্ভট বহুরূপী উভচর ডি এন এ ছাড়া আর কিছুই নেই।

আর জমি চাষ করা যন্ত্রওয়ালা লাইসোজোম ডি এন এ এক সময় এই মাটিকে আঘাত করা যন্ত্রটি নিয়ে বুদ্ধি করে যে দুর্যোগের সময় লাল সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলযান সসংগ্রহকারী লাইসোজোম ডি এন এ এর উত্তরসূরীর বর্তমান জলযানে উঠলেও নিউক্লিয়াস সভ্যতার লাইসোজোম ডি এন এ রা একই ভুল বার বার করতে চায় না। কারণ তারা জানে ভুল হলে তা থেকে শিক্ষা নিতে হয় কিন্তু একই ভুল বার বার করে আহাম্মক টাইপের লাইসোজোম ডি এন এ।

তাই এখন নিউক্লিয়াস সভ্যতার লাইসোজোম ডি এন এ রা মতামত দেয়ার মাত্র কদিন আগে এই নীতিমালা তাদের মননে ধারণ করেছে আর তা হচ্ছেঃ
একটু ভাবনা- একটু সচেতনতা- একটু বিচক্ষণতা।

……./ ধ্যান- আত্মা।

4 thoughts on “একটু ভাবনা- একটু সচেনতা-একটু বিচক্ষণতা

  1. একটু ভাবনা- একটু সচেনতা-একটু বিচক্ষণতা। পড়লাম বটে তবে বিষয়বস্তু বেশ কঠিন মনে হলো। আপনার অধ্যাবসায়ের অংশ হলে ঠিক আছে। শব্দনীড় আর্কাইভে থাকুক। শুভ সকাল মি. ইলহাম। ভালো থাকুন ভালো রাখুন। ধন্যবাদ। :)

  2. এক লাইসোজোম ডি এন এ একটি জমি চাষ করার সুপরিচিত যন্ত্র এনে নিউক্লিয়াস সভ্যতাকে খাদ্যদ্রব্য বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা বলে যখন মাটির বুকে ঐ যন্ত্রের ধারালো চাপ দিলেন ঠিক তখনই এই মাটি কেঁদে উঠলো। প্রিয় মাটির এই কান্না শুনে নিউক্লিয়াস সভ্যতার সকল লাইসোজোম ডি এন এ মিলে বললো – তুমি নেমে যাও, আমরা এ মাটির কান্না সইবো না। উত্তরে সেই ডি এন এ বললো – না আমি নামবো না – প্রয়োজনে আরো জোরে এই যন্ত্র দিয়ে মাটিতে চাপ দেবো। ___ আপনার কল্প শক্তির প্রতি সম্মান রাখছি প্রিয় ইলহাম দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।