কখনো কলমের কালি শেষ হয়ে যায়
গ্রামের বাড়িতে তখন অনেক রাত ছিলো
একটি একশ পাওয়ারের বালব জ্বলছিল
ছোট্ট এক প্রজাতি উড়ে এসেছিল
অবিকল মানুষের ভাষায় বললো
থাকতে চাই না আর অন্ধকারের বিপদ সংকুলতায়
আলোকে ভালোবেসে তাই বাঁচাতে এসেছি আমায়
সে বালবের দিকে উড়ে যেতেই
আমি বললাম – একটু দাঁড়াও!
থমকে গেল সেই প্রজাতিটি
বললাম – আলোকে ভালোবাসো
তবে আলো ছুঁতে যেও না।
ছোট্ট প্রজাতিটি জানে না
আলোকে ভালোবেসে ছু্ঁতে গেলে
প্রজাতিরা পুড়ে মরে দলে দলে
সে বলে উঠলো
ঐ অন্ধকারে ব্যাঙ যে আমায় গিলে খেতে চায়!
আলোকে ভালোবেসে তাই আমি
খুঁজি বাঁচার উপায়
আমি বললাম – কবির কাছে এসো
সে আমার কাছে আসতেই ঘরে একটি ব্যাঙ ঢুকলো
প্রজাতি তখন কাঁপতে লাগলো
আমি তাকে শান্ত হয়ে আমার বুকে আসতে বললাম
আমাকে বিশ্বাস করে সে নিশ্চিন্তে আমার বুকে বসে পড়লো
ব্যাঙটি যখন প্রজাতিকে ধরতে আস্তে এক ধাপ এগিয়ে এলো
তখন আকস্মিক একটি সাপ ঘরে ঢুকে গেল
ব্যাঙটি একলাফে আমার বুকে
প্রজাতির পাশে এসে বসলো
সাপটি এগিয়ে এসে যখন ফনা ধরলো
মুহূর্তেই ঘরে একটি বেজি ঢুকে পড়লো
সাপটি দ্রুত ব্যাঙের পাশে আমার বুকে গুটিয়ে গেল
বেজিটি সাপ ধরতে যখন দু পা এগিয়ে এলো
ঠিক তখনি কোত্থেকে এক আফ্রিকান জংলী
এসে ঘরে ঢুকে পড়লো
ওমনি বেজিটি সাপের পাশে
আমার বুকে বসে কাঁপতে লাগলো
জংলীটি আমার বুকে একটি বল্লম ছুঁড়ে মারলো
কিন্তু তা লক্ষ ভ্রষ্ট হয়ে আমার পাশে থাকা
একটি বইকে আঘাত করলো
বইটির দিকে তাকাতেই জংলীটি চমকে উঠলো
দ্রুত বই থেকে বল্লম সরিয়ে
বুকে জড়িয়ে সে দৌড়ে পালালো
যতদূর মনে পড়ে ওটা আফ্রিকান
আঞ্চলিক ভাষায় কবিতার বই ছিলো।
অতঃপর?
অতঃপর!
আলো-প্রজাপতি-ব্যাঙ- সাপ- বেজি- জংলী-বল্লম
এবং ঐ বইটি নিয়ে আমার মন কি যেন লেখার কথা ভাবছিল
অথচ?
অথচ!
তখনই কলমের কালি শেষ হয়ে গেল।
একের পর একটি চমৎকার সব লিখা উঠে আসছে ইদানিং আপনার।
অভিনন্দন এবং ভালোবাসা প্রিয় মানুষ মি. ইলহাম।
স্বতন্ত্র ধারার লেখা। অভিনন্দন কবি ইলহাম দা।
বাহ ইলহাম ভাই। আপনি দেখছি কবিতা উপস্থাপনের ধারাই বদলে দিতে চলেছেন। অভিনন্দন অভিনন্দন।