ভালবাসা দিবসের দুটি কবিতা

গতকাল ছিল হ্যাপি টেডি দিবস ও আজ প্রতিশ্রুতি দিবস। আজকের পবিত্রতম প্রতিশ্রুতি দিবসে সকলকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গতকাল সরস্বতী পূজায় ব্যস্ত থাকায় কবিতা পোস্ট করা সম্ভব হয়ে উঠে নি। এজন্য সকলের কাছে মার্জনা প্রার্থী। অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সর্বপ্রথম আমেরিকার মরিস মিচটম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টকে উত্সর্গ করে টেডি বিয়ার বাজারজাত করেন। স্বাভাবিকভাবেই অল্প দিনেই বাচ্চাদের মাঝে টেডির হিড়িক পড়ে যায়। বিশ শতকের সেই টেডি বিয়ারের রূপ অনেক পাল্টেছে কিন্তু টেডির প্রতি ভালোবাসাটা রয়ে গেছে ঠিক আগের মতোই, তাই তো ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসার জিনিসটি দেওয়ার জন্যই পালন করা হয় হ্যাপি টেডি ডে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, উপহার হিসেবে মেয়েরা টেডি বিয়ার অধিক পছন্দ করে। সেই অনুযায়ী পাশ্চাত্যে এই দিনটিকে সামনে রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে হরেক রকমের টেডি বিয়ার বাজারজাত করা হয়, যাতে পছন্দের টেডি বিয়ারটি কারো মুখে হাসি ফোটাতে পারে।

শব্দনীড়ের সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই বিগত পবিত্রতম টেডি দিবস ও বর্তমান প্রতিশ্রুতি দিবস (প্রমিস ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

টেডি বিয়ার দিবস (হ্যাপি টেডি ডে)
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গতকাল ছিল জানি টেডি বিয়ার ডে
স্মৃতি শুধু মনে রয়, আপনার হৃদে।
টেডি বিয়ার দিবস, শুন সর্বজন,
বিগত দিবস কথা, করিব বর্ণন।

প্রিয়জন যদি তব, হয় বড়ো জেদি,
আজিকার দিনে তারে কিনে দাও টেডি।
ভালবাসার বন্ধন না যায় খণ্ডন,
হৃদয়েতে থাকে লেখা বাঁধা রয় মন।

টেডি বিয়ার দিবস পূণ্য শুভক্ষণ,
টেডি উপহার দেয় সকলে এখন।
প্রিয়জনে দাও যদি টেডি উপহার,
নিশ্চয় হইবে খুশি প্রেয়সী তোমার।

পবিত্র দিবসে তাই সবে খুশি হয়,
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কবি, কবিতায় কয়।

_________________________

ভালেন্টাইন’স ডে পঞ্জিকার পঞ্চম দিনটি হলো ১১ ফেব্রুয়ারি, প্রতিশ্রুতি দিবস (প্রমিস ডে)। প্রিয়জনকে আমরা অনেক কথাই দিয়ে থাকি, কিন্তু তার প্রতিশ্রুতিমত সবই রাখা হয়ে উঠে না, অনেক সময় মনেই থাকে না। তাহলে একবার ভাবুন তো, আপনার কাছের মানুষটির কাছে আপনার মূল্য দিন দিন কমে যাচ্ছে না তো? সম্পর্কের এই দিকটির বিবেচনা করেই প্রমিস ডে। এই দিনটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? স্বাভাবিকভাবেই কাছের মানুষটি আমৃত্যু একটি প্রতিশ্রুতি চায়, তা হল যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার সহায়তা। নির্দিষ্ট এই দিনটিতে আপনি এই প্রতিশ্রুতিটি করতে পারেন যা আপনাদের সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে পারে।

শব্দনীড়ের সাথে যুক্ত সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক-লেখিকাগণকে জানাই পবিত্রতম প্রতিশ্রুতি দিবস (প্রমিস ডে)-এর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। বাংলা কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। সকলের পাশে দাঁড়ান। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

প্রতিশ্রুতি দিবস (হ্যাপি প্রমিস ডে)
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

প্রতিশ্রুতি দিবসের বার্তা লিখি ভাই,
পবিত্র দিবসে তাই শুভেচ্ছা জানাই।
কবিতায় লিখে কবি করয়ে মিনতি,
প্রিয়জনে আজি তব দাও প্রতিশ্রুতি।

হৃদয়ের গাঁথা মালা দিয়েছো যাহারে,
প্রিয় তব আপনার বুঝে নিও তারে।
প্রতিশ্রুতি দাও নিজ সাধ্য অনুসার,
দিনে দিনে বাড়ে প্রেম হৃদয় মাঝার।

“প্রমিস দিবস” আজি করহ পালন,
প্রিয়জনে দাও কিনে যাহা প্রয়োজন।
গোলাপের ভালবাসা প্রতিশ্রুতি দেয়,
কার সাধ্য ভালবাসা তার কেড়ে নেয়?

প্রমিস দিবস বার্তা হল সমাপন,
কবিতায় লিখে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

6 thoughts on “ভালবাসা দিবসের দুটি কবিতা

  1. দুটি দিবস দুটি কবিতা। অসাধারণ নিশ্চয়ই মি. ভাণ্ডারী। আপনাকেও আমাদের শুভেচ্ছা। :)

  2. কবিতার জয় হোক, বাংলার কবিগণের জয় হোক, বাংলা কবিতা আসরের জয় হোক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  3. প্রতিশ্রুতি দিবসের বার্তা লিখি ভাই,
    পবিত্র দিবসে তাই শুভেচ্ছা জানাই।
    কবিতায় লিখে কবি করয়ে মিনতি,
    প্রিয়জনে আজি তব দাও প্রতিশ্রুতি।

    সুন্দর। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।