সামাজিক বা ধর্মীয় গোঁড়ামি নিয়ে নিজের মতের পক্ষে বা অন্যের মতের বিপক্ষে প্রতিবাদ করতে হলে, অভদ্র হতে হবে। কোন কিতাবে লেখা আছে আমি ঠিক জানিনা। যার যার জীবন তার তার.যার যার ভাবনা তার তার। নিজের অস্তিত্ব কে বাঁচিয়ে রাখা আর জাহির করা দুটো ভিন্ন বিষয়। আমাদের দেশের বেশ নামি দামি কিছু ইউটুবার অদ্ভুত ভাবে নানা জটিলতায় জড়িয়ে যাচ্ছেন শুধু নিজের আবেগকে পাবলিকলি প্রকাশ করে।
পরিবর্তন আনতে হলে সবার আগে নিজের আচরণ, নিজের আবেগের প্রতি নিয়ন্ত্রণ নিজের ব্যবহার মার্জিত করা সব চাইতে জরুরি। আপনার ফলোয়ার সংখ্যা কত, আপনার একটি ছবিতে কয়টি লাইক আসে সেটা সেখানে বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য বিষয় আপনার করা ভিডিও বা লেখা পরে আপনি সমাজকে ইতিবাচক মেসেজ দিচ্ছেন না নেতিবাচক !! একজন ফলোয়ারও যদি আপনাকে অনুসরণ একটা ভালো কাজ করে সেটাই আপনার অবদান সমাজের প্রতি বা দেশের প্রতি।
সামাজিক কিছু শেকল আমাদের আসলে বেঁধে রাখে, কিছু শেকল আগলে রাখে আমাদের মায়ার অদ্ভুত বাঁধনে। মাঝে মাঝে মনে হতেই পারে …
কারার ঐ লৌহকপাট
ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট
শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!
ধ্বংস নিশান
উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।
হাত কেটেছে আপনার, ব্যথা আপনার। অন্যরা উহু আহা করতে পারবে, একজ্যাক্টলি আপনার ব্যথা অনুধাবন করবে না। শেকল ভাঙ্গার জন্য উদ্বুদ্ধ করার আগে ভাবতে হবে, কোন কোন শেকল গুলো লাথি দিয়ে ভাঙতে চাই। কোন কোন নেকাব গুলো তুলে দেয়া উচিত। মডার্ন মানেই উগ্র ভাবনা নয়।
নিজের অস্তিত্ব মানেই, অন্যরা ভাবনা গুলো অপরিপক্ক জাহির করা নয়। ওয়েস্টার্ন কালচার আপনাদের ভিষণ ভাবে উৎসাহিত করে সেটাই স্বাভাবিক। তার মানে এই না যে সে কালচারেও গরমিল নাই। তাদের বেড়ে উঠা, তাদের জীবন যাত্রা। ধর্ম, সামাজিকতা ভিন্ন. তাদের ভালো দিক গুলো অর্জন করতে চাইলে, নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে গড়তে হবে। তারা কথায় কথায় বড় ছোট উভয়কে, হোয়াট দা *ক বলে বিধায়, সেটা রপ্ত করে পরিবেশ পরিস্থিতি না বুঝে আপনাকেও প্রয়োগ করতে হবে। তার কোন মানে নাই, নিজেকে গ্রহণ যোগ্য করার জন্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
নিজেকে জানতে হবে, যখনি আপনি আপনারা অসীমতা সম্পর্কে পরিপূর্ণ সুস্পষ্ট একটি চিত্র আপনার হৃদয় ও মস্তিষ্কে ধারণ করবেন, তখন লোকের কথায় আপনি থোড়াই পাত্তা দেবেন। বাজবেন বা বাজাবেন নিজের মতো করে নিজ ছন্দে। সহজ কথা সহজ করে বলুন। কঠিন কথা আরোও সহজ করে বলুন। শেকল তখন লাথি দিয়ে ভাঙতে হবে না, লক্ষ কোটি মানুষ আপনার হয়ে সে সকল আলগা করে দেবে।
তারপর তো এগিয়ে চলা …
দুর্বার সব কাণ্ড কে দমিয়ে সত্য সুন্দর সহজের পথে স্বপ্নময় যাত্রা …
একজন ফলোয়ারও যদি আপনাকে অনুসরণ একটা ভালো কাজ করে সেটাই আপনার অবদান সমাজের প্রতি বা দেশের প্রতি। নিঃসন্দেহে সঠিক এবং প্রগতির কথা।
আসুন ভালো'র জন্য লড়ি। পরস্পরের প্রতি সম্মান রাখি। আস্থা রাখি।
অনুপ্রাণিত হলাম আজাদ ভাই।
"তারপর তো এগিয়ে চলা …
দুর্বার সব কাণ্ড কে দমিয়ে সত্য সুন্দর সহজের পথে স্বপ্নময় যাত্রা …"
এটাই বলতে চেয়েছি কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
সহজ কথা সহজ আর কঠিনকে আরোও সহজ করে বলুন। এটাই সবচেয়ে পরম সত্য হওয়া উচিত।
হুম ঠিকই বলেছেন রিয়া দি।
“বিশ্বাস” শব্দটার ব্যপ্তি ব্যাপক! তা সেটা ধর্মীয় বিশ্বাস হোক, সামাজিক বা রাজনৈতিক হোক। কারো বিশ্বাসের ১৮০ ডিগ্রী বিপরীতে আমার অবস্থান হতে পারে; তবুও তাতে (বিশ্বাস) অসম্মান জানিয়ে বরং নিজেকে সংক্ষিপ্ত করি। ভুল বিশ্বাস থেকে কাউকে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনার সাথে তার বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখানোর কোন বিরোধ নেই। ইউটিউব, ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া বা ফেইসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলিতে নানান মতের নানান বিশ্বাসের আলোচনা দেখি। দলআন্ধা লোক দেখি, এড়িয়ে যাই। কিন্তু যাদেরকে সমাজের আদর্শ হিসেবে জানতাম যখন তাদেরকে বিবেক-আন্ধা দেখি তখন কিছুটা হলেও বিষন্ন হই!
ফেবুসহ কোন মাধ্যমে অসুন্দর কিছু দেখে অস্বস্তি হলেও তাতে অসংযত প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেয়ে এড়িয়ে যাওয়া উত্তম নিঃসন্দেহে!
কোন ব্যাক্তির ফেইসবুক পড়েই (পিপি, পোস্ট, মন্তব্য) তার ব্যাক্তিত্বের অনেকটা পড়ে ফেলা যায়।
সঠিক বলেছেন ভাই। আমি সেটাই বোঝার চেষ্টা করে চলেছি।
সহজ কথা সহজ আর কঠিনকে আরোও সহজ করে বলাই ভালো।
পূর্ণমত শাকিলা আপা।
* অনেক সুন্দর থিম…..
স্বাগতম ভাই দিলওয়ার হুসাইন।
সহজ কথা যায় না বলা সহজে
সহজ কথা বলতে আমায় কহ যে"
ধন্যবাদ আপু।
অর্থবহ চমৎকার একটি থিম পড়লাম সাজিয়া আফরিন। শুভ কামনা আপনার জন্য।
শুভ কামনা আপু। ধন্যবাদ।
সহজ, সরল ও সুন্দর ভাষায় বর্ণনামূলক প্রতিবেদন।
সৃজনশৈলী চমত্কার। বিষয়বস্তু ভালো।
প্রেরণামূলক লেখায় লেখিকার অভিনব প্রয়াসকে অভিনন্দন জানাই।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
লেখাটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা দাদা।