গরমে আরাম দেবে টাই ডাই পোশাক
ফ্যাশনে টাই-ডাই পুরনো হলেও, নিত্য নতুন রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে বারবার। সুতি, খাদি, সিল্ক, হাফ সিল্ক, লিনেন, তসর, মসলিন, এন্ডি কটনসহ নানা ধরনের কাপড়েই করা হয় টাই ডাই। এমন কি নিজের হাতেও পছন্দের নকশা অনুযায়ী টাই ডাইয়ের কাজ করতে পারেন। জামা, শাড়ি, কামিজ, ওড়না ছাড়াও বিছানার চাদর আর পর্দায় করা যায় এটি।
টাই ডাই আসলে প্রাকৃতিক বা ভেজিটেবল ডাই ও কৃতিম ডাই দুই মাধ্যম ব্যবহার করেই করা হয়। তবে প্রাকৃতিক রঙে টাই ডাইয়ের নকশা বেশি সুন্দর লাগে। কাপড় শক্ত করে বেঁধে আর রঙে ডুবিয়ে করা হয় বলেই একে বলা হয় টাই ডাই।
সাধারণত বৃত্ত, চারকোনা, বরফি, সোজা লাইন, আঁকাবাঁকা লাইন, কার্ভ লাইন ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক সময়ে শুধু সাদা কাপড়ের ওপর টাইডাই নকশা করা হতো। এখন রঙিন কাপড়েও করা হয়।
টাই-ডাই করা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ওড়না, স্কার্ট, ফতুয়া, স্কার্ফ শার্ট, পাঞ্জাবি আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল বিশেষ করে গরমে সুতির টাই-ডাইয়ের পোশাক বেশ আরামদায়ক।
এছাড়া জিন্স, লেগিংস বা জেগিংসের সঙ্গে খুব সহজেই পরতে পারেন টাই-ডাই করা ফতুয়া বা টপস। সঙ্গে থাকতে পারে টাই- ডাইয়ের স্কার্ফ বা ওড়না। একরঙা টপসের সঙ্গে ডাই করা স্কার্টও মানানসই।
যত্ন নেবেন যেভাবে :
টাইডাই করা কাপড় অন্য কাপড়ের সঙ্গে ধোয়া যাবে না।
কাপড় ধোয়ার আগে কাপড়ের এক কোনা পরীক্ষা করে নিন রং ওঠে কি না। যদি ওঠে, তবে পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে সামান্য লবণ মিশিয়ে কাপড় পরিষ্কার করুন।
কাপড় ধোয়ার পরে ডাই রঙিন কাপড় ভিনেগার মেশানো পানিতে চুবিয়ে হালকা চিপে রোদে দিন। উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে।
টাই ডাই কাপড় ড্রাই ওয়াশে দেয়া যাবে না। এতে কাপড়ের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।
সিল্কের টাইডাই কাপড় শ্যাম্পু দিয়ে হালকা ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এতে কাপড় অনেক নরম থাকে। কোনো ভাবেই ঘন ঘন ধোঁয়া যাবে না টাই ডাই করা পোশাক।
রোদে কাপড় উল্টে দিয়ে শুকাতে হবে। এতে দীর্ঘদিন ভাল থাকবে রঙ।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু দিয়ে ভিজিয়ে রেখে কাপড় পরিষ্কার করবেন না। এতে কাপড় শক্ত ও রঙ নষ্ট হয়ে যাবে।
সুন্দর পোস্ট
আমাদের জীবন যাত্রায় দৈনন্দিন যে দিক নির্দেশনা থাকা উচিত তেমনটাই আপনার পোস্টে আমরা নিয়মিত পাই। অসংখ্য ধন্যবাদ সুরাইয়া নাজনীন।
ভালো পরামর্শ বোন সুরাইয়া নাজনীন।
সুন্দর শেয়ারিং হয়েছে দিদি ভাই।
সময়োপযুগী বিষয়।