নারী দিবসের কবিতা : “না মানুষ”
যদিও আমি মানুষ না
মেয়ে ছেলে নারী —-
একদল মানুষের ভীড়ে না মানুষ :
মানুষ হেরে যায় তখন
যখন তার কিছুই করার থাকে না — —
আমি হারতে শিখিনি
যদিও আমি নারী,
সমস্ত জীবন আমার !
আমি একটি স্বাধীন পৃথিবী চাই
যে পৃথিবীতে বুক ভরে আলো,
বাতাসের নিঃশ্বাস নিতে পারব
এটা আমার সংস্কৃতি ; অধিকার বোধ
বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা!
আমি কোন অলৌকিক স্বপ্নের বিকেলে দাঁড়িয়ে এ কথা বলছি না,
কঠিন বাস্তবতার কথাই বলছি
দৃঢ় বিশ্বাসের অনুপ্রেরণা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
ধ্বংস হয়ে যায় যে জীবন বোধের চৈতন্য —-
আমি সে জীবন চাই না,
বেঁচে থাকার জন্য আমি সুন্দর একটি পৃথিবী চাই !
সে পৃথিবীর সকাল এত সুন্দর নির্মল
আর স্বচ্ছ হবে ——
কেউ কাউকে কোন কষ্ট দেবে না
সেই সব পুরুষ মানুষ নামের অমানুষ গুলো
সব নারীদের সম্মান করতে শিখবে,
প্রতিটি পরিবার থেকে শুরু হবে এ যাত্রা :
হে নারী,
তোমাদের বলি তোমরা চিরকাল জ্বলে পুড়ে মরো,
তোমরা হয় মরো,
না হয় আগুন জ্বালো পৃথিবীতে —-!
নারীদের ও সুন্দর একটা জীবন আছে…
সে জীবন জুড়ে থাকবে অনাবিল প্রেম,
সমুদ্র স্বচ্ছ জলের মত ভালবাসা ;
নির্মল আকাশের মত বিশ্বাস —-
সব কিছুই মিলিয়ে একটা নারী হয়ে উঠবে
সুখ পাখি,
যে পৃথিবীতে নিয়ম করে
প্রতিদিন — চাঁদ ওঠে না,
ফুল ফোঁটে না ; পাখি ডাকে না,
ভোর হয় না, পাখিরা উড়ে না —–
আর সমুদ্র ঢেউ তুলতে ভুলে যায় —-
এমন পৃথিবী কে চায় ?
এক একটা পৃথিবী,
এক একটা পরিবার
আমরা এমনটা কেন চাই না ?
প্রতিটি পরিবারে এক সুখ পাখির ছোঁয়ায়
প্রতিদিন নিয়ম করে —- চাঁদ উঠবে
ফুল ফুটবে, পাখিরা গাইবে
ভোর হবে, পাখিরা উড়বে—-
যদি পাখির ভাষা পাখিই বোঝে,
পশুর ভাষা পশুই
তাহলে, পুরুষ মনে -প্রাণে
এক মাত্র মানুষ হয়ে
নারীর ভাষা কেন বুঝবে না ?
নারীর বুকে আগুন শুধুই জ্বলছে,
একই আকাশ
একই ছাদের নীচে বসবাস করেও নারী বিচ্ছিন্ন,
এ আমার বড়ই লজ্জা ;
পাখির চোখে ও স্বপ্ন থাকে
মুক্ত আকাশে উড়ার –
আর নারী -?
আর কত কাল পড়ে পড়ে মার খাবে ?
ধর্ষিতা তনুরা,
স্বামীর ষড়যন্ত্রে দুর্বৃত্তদের
এসিডে ঝলসে যাওয়া মাহফুজা আক্তার সুর্বণা ও তাঁর
শিশু কন্যা সানজিদা রিমারা
তোমরা জেগে ওঠো,
আগুন জ্বালাও
চোখের মণিতে
জিহ্বায়…
ঠোঁটে,
বিষধর সাপ হয়ে বিষাক্ত ফণা তোল
ওই সব মানুষের আড়ালে লুকিয়ে থাকা
অমানুষ রূপী জানোয়ারদের বিরুদ্ধে-।
তীক্ষ্ণ নখের আঁচড় কাটো ওদের ভাগ্যের রেখায়,
তারপর মুক্ত আকাশের খোলা বুকে
মুক্তির নিঃশ্বাস নাও —-
শক্ত মাটির বুকে দাঁড়িয়ে,
একটু একটু করে স্বপ্ন দেখো গত কালকের দুঃস্বপ্নের কাল রাতগুলো দু’ হাতে সরিয়ে দিয়ে —-
আগামী দিনের জন্য…!
এ পৃথিবীর দিন রাত্রি,
আলো, বাতাস চাঁদ, নক্ষত্র তোমার ও,
তুমিও দু’ হাতে ভেঙ্গে ফেলতে পার
কালো অন্ধকারের আবরণে ঢেকে ফেলা রাত্রি,
তুমিও ইচ্ছে মত ফোঁটাতে পার বসন্ত ফুল,
তুমি আর কত কাল গভীর নিঃশব্দ
সমুদ্রের মত জীবন কাটাবে….
এসো নারী,
আমরা ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠে
মানুষ হয়ে উঠতে শিখি -!
হে এক পৃথিবীর মানুষ —–
তোমরা দেখো,
এক দল অমানুষের ভীড়ে
আমরা ও মানুষ হয়ে উঠতে পারি !
আজ শুধুই সেই সুদিনের জন্য অপেক্ষা।
08.03.2019
'আমি কোন অলৌকিক স্বপ্নের বিকেলে দাঁড়িয়ে এ কথা বলছি না,
কঠিন বাস্তবতার কথাই বলছি
দৃঢ় বিশ্বাসের অনুপ্রেরণা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
ধ্বংস হয়ে যায় যে জীবন বোধের চৈতন্য —-
আমি সে জীবন চাই না,
বেঁচে থাকার জন্য আমি সুন্দর একটি পৃথিবী চাই !'
দীর্ঘ কবিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ হাসনাহেনা রানু। পৃথিবী সুন্দর হোক।
প্রিয় কবি আজাদ ভাইয়া, আপনার অনুপ্রেরণায় আমার আগামীর পথ চলার পাথেয়। আপনার পৃথিবীও আলোকিত হোক।শুভ কামনায়।
দারুণ কবিতা উপহার কবি বোন হাসনাহেনা রানু। প্রতিটি দিনের শুভেচ্ছা থাকবে।
অনুপ্রাণিত হলাম কবি সৌমিত্র দাদা। শুভ কামনা রইল কবি দাদা।
এক দল অমানুষের ভীড়ে
আমরা ও মানুষ হয়ে উঠতে পারি !
আজ শুধুই সেই সুদিনের জন্য অপেক্ষা। আমার অভিনন্দন প্রিয় কবি রানু দি।
আপনাকে ও গত হয়ে যাওয়া নারী দিবসের অভিনন্দন প্রিয় কবি রিয়া দি'ভাই। শুভেচ্ছা নিন ।
দারুণ প্রত্যয়।
ভাল লাগল প্রিয় কবি বন্ধু সাজিয়া আফরিন।
পৃথিবীর সকাল হোক সুন্দর নির্মল আর স্বচ্ছ।
আপনার পৃথিবী ও রঙিন হয়ে উঠুক কবি শাকিলা তুবা।
নারী দিবসে পৃথিবীর সকল মা জাতি নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা। সাথে সুন্দর একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদের সাথে শুভেচ্ছা।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ , কবি দাদা নিতাই বাবু।শুভ কামনা।