অজয়ের নদীঘাটে

অজয়ের নদীঘাটে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

অজয়ের নদীঘাটে পড়ে আসে বেলা,
ডুবে রবি সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা।
পাখিরা বাসায় ফেরে আঁধার ঘনায়,
চাঁদ উঠে তারা ফুটে আকাশের গায়।

জোছনায় নদীজল ঝিকিমিকি করে,
তরীখানি আছে বাঁধা অজয়ের চরে।
অদূরে শ্মশানঘাটে জ্বলে মৃতদেহ,
চিতার আগুনে কাঁদে মায়াময় স্নেহ।

শাল পিয়ালের বনে শেয়ালেরা হাঁকে,
কুকুরেরা ডাক ছাড়ে অজয়ের বাঁকে।
রাত কাটে ভোর হয় অজয়ের ঘাটে,
রাঙা রবি দেয় উঁকি চাঁপাডাঙা মাঠে।

সোনালী কিরণ ঝরে অজয়ের জলে,
অজয়ের ঘাট ভরে যাত্রী কোলাহলে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

8 thoughts on “অজয়ের নদীঘাটে

  1. সোনালী কিরণ ঝরে অজয়ের জলে,
    অজয়ের ঘাট ভরে যাত্রী কোলাহলে। ___ প্রকৃতির এক অপার মহিমা। শুভ সকাল কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে মন ভরে ওঠে।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      শ্রদ্ধা  জানাই।
      জয়গুরু।

  2. আপনার গ্রামীন এবং বাংলা সংস্কৃতির লেখা গুলোন্আমার কাছে ভীষণ প্রিয় কবি দা।

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে মন ভরে ওঠে।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু।

  3. অজয়ের নদীঘাটের দৃশ্য দেখে মন আনচান করে উঠলো কবি। যাব একবার দেখতে। :)

    1. সাদর আমন্ত্রণ রইলো। অজয় নদীর এপারে পাথরচুড় গ্রামে আমার বাড়ি। বর্ধমান জেলায়। বর্তমানে নতুন দিল্লিতে এসেছি চাকরির সুত্রে। বাকি জীবনটা গাঁয়ের বাড়িতে কাটাব। ইচ্ছা আছে। সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকুন। জয়গুরু।

       

    1. আপনার সুন্দর মন্তব্যে মন ভরে ওঠে।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
      শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।