ক্রাইস্ট চার্চ স্মরণে
মসজিদের জমিনে যারা সেজদায় ছিল
তারা মানুষ ছিল
অস্ত্র হাতে যারা এসেছিল
তারা মানুষ সদৃশ
কিন্তু বিস্তর ফারাক
অথবা কোন মিল নাই
দুপেয়ে সবাই যে মানুষ হয় না
তার প্রমাণ পেয়েছি নাইন ইলেভেনে
কিংবা সেভেন সেভেনে
ক্রাইস্ট চার্চের ঘাতক
নাইন ইলেভেনেরই উত্তরসূরি
তাদের বংশের
তারা একসাথে এক মায়ের পেটে
জন্ম নিয়েছে, কিংবা মাতৃ বিহীন
কোন প্রক্রিয়ায় তাদের প্রসব হয়েছে
মায়ের সন্তান ঘাতক হয় না
কোন মাতৃ যদি জানে
তার সন্তান মানবের সেজদার ব্যাঘাত ঘটাবে
তাহলে তার জন্মের পরিধি বাড়তে দেবে না
বিষ প্রয়োগে আতুর ঘরে অন্ত ঘটাবে
মাতৃরা এমনি মানবতাবাদী
মানবের অমঙ্গলের কোন কর্ম
তারা হতে দেবে না, দেয় নি
ক্রাইস্ট চার্চের ঘাতক
মানবজন্ম পায় নি
বিধাতার সৃষ্টির ছোঁয়া তাদের কপালে
নসিব হয় নি
তাই বিধাতার সৃষ্টি তছনছে
তারা বদ্ধপরিকর
মানুষ সদৃশ দুপেয়ে
এসব জীব বিধাতা বধেও
পিছপা হবে না
গড এদের কাছে নিরাপদ না
ভগবান নিরাপদ না
এদের কাছে খোদাও নিরাপদ না
অথচ খোদার নামে ভগবানের নামে
গডের নামে এরা নিজেদের ন্যায্যতা
প্রমাণে সচেষ্ট হয়, এরা বিধাতাকে অহরহ
বিক্রি করে এদের তাণ্ডবের কাছে
বিধাতাও অসহায়
নাইন ইলেভেনের বংশবিস্তার হচ্ছে
দিনে দিনে দেশে দেশে পঙ্গপালের
মতো তারা ছড়িয়ে পড়ছে
এদের রুখতে হবে বিধাতা এবং তার সৃষ্টি
একজোট হতে হবে
ধর্মের নামে বর্ণের নামে গোষ্ঠীর নামে
ভেদাভেদের অন্ত ঘটাতে হবে
পৃথিবীর দায়িত্ব মানুষকে নিতে হবে
বুঝতে হবে বিধাতা মানুষকে
প্রতিনিধিত্বে পাঠিয়েছেন
তার যোগ্য প্রতিনিধি হয়ে উঠতে হবে
এসব দুপেয়ে হারিয়ে যাবে
হারিয়ে যাবে নাইন ইলেভেনের ঘাতক
মানুষ থেকে যাবে, মানুষকে থাকতেই হবে।
মসজিদের জমিনে যারা সেজদায় ছিল তারাও মানুষ ছিল।
ওদের হাত থেকে মানব সভ্যতা আর এই সুন্দর পৃথিবী নামক গ্রহটিকে বাঁচাতে হবে। ওরা মানব সভ্যতার জঞ্জাল ! ওদের রুখতে হবে।
ক্রাইস্ট চার্চের ঘটনা বিভীষীকাময়। এর পূনারাবৃত্তি কোথাও হোক এমন চাই না।
কী অসম্ভব এক হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্ম হলো।
দুঃখজনক।
আমরা রিভেঞ্জ চাই না। সহাবস্থান চাই। চাই মানবিক মানবিকতা।