মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ!
জন্ম আমার ১৯৬৩ সাল
৮ই জুন বৃহস্পতিবার,
বন্দর থানাধীন আদর্শ মিলে
সেখানেই থাকতাম সপরিবার!
আমার বাবা ছিলেন চাকরিজীবী
বড়দাও ছিলেন তা-ই,
বাপদাদার বাড়ি ছিল নোয়াখালী
বর্তমানে কিছুই নাই!
আমার হাতে খড়ি কলাপাতায়
কলম বাঁশের ঢাল,
যখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে
তখন ১৯৭১ সাল!
শুরু হলো স্বাধীনতার সংগ্রাম
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
শুরু হলো গোলাগুলি ঠুসঠাস
জ্বলছে অনেক গ্রাম!
বাবা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শহরে
বড়দাও সাথে ছিলো,
আমরা থাকতাম গ্রামের বাড়িতে
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো!
আমার মা কাঁদতেন বাবার জন্য
কাঁদতেন বড়দা’র জন্য,
তিনমাস পর বাবা আসলেন
মা হলেন ধন্য!
ফিরে আসেনি মায়ের সন্তান
বড়দা গেলেন ভারতে,
মায়ের হলো আহার বন্ধ
ঘুম নেই রাতে!
চলছে গণহত্যা ধর্ষণ গোলাগুলি
করছে পাকবাহিনী রাজাকার,
যুদ্ধে হলো পাকবাহিনী পরাস্ত
মুক্তিবাহিনীর জয়জয়কার!
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হলো ৯ মাস
পাকবাহিনী হলো শেষ,
১৬ ই ডিসেম্বরে হলো স্বাধীন
আমার সোনার বাংলাদেশ!
যাপিত জীবনের বিভিষীকাময় সময়ের ত্যাগ আর প্রাপ্তির গল্প।
সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতার সাথে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা । আশা করি ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
আপনাকে জানা হলো প্রিয় কবি নিতাই দা।
শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি, আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রকাশে আমি মিথ্যের আশ্রয় কখনো নেই না। যা সত্য, তা-ই প্রকাশ করি।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা আর শুভকামনা থাকলো ।
স্বাধীকারের সংগ্রাম অমর হয়ে থাক আজীবন নিতাই বাবু। সোনার বাংলা সোনা থাক।
আমার সোনার বাংলার জয় হোক।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র দাদা।
আমারও মনে পড়ে। কী একটি সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি।
এসব ঘটনা যখন মনে পড়ে, তখন আমার মনে হয় ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী কয়েকমাস আগের ঘটনা। তবুও অনেকটি বছর কেটে গেল।
মন্তব্যের জন্য শুভকামনা সবসময় ।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা।
আমাদের প্রেরণা, বাংলার ইতিহাস, সমস্ত বাঙালিদের গর্ব।
মূল্যবান মুন্তব্যের জন্য শুভকামনা রইল।