মশার আক্রমণ থেকে বাঁচতে চাই!
এই পৃথিবীর বনেজঙ্গলে থাকা হিংস্র ভয়ংকর প্রাণীর সামনে মানুষ অনেক সাহস দেখাতে পারে, দেখায়ও। বড়বড় অনেক হিংস্র প্রাণীকে মানুষ শিকারও করে। কেউ পোশ মানিয়ে গৃহপালিত পশুর মতো লালন পালনও করে। আবার অনেক স্থানে বড়সড় অনেক হিংস্র প্রাণী বন্দি করে রেখে মানুষকে দেখায়। যেমন: চিড়িয়াখানায় দেখা যায়।
আবার কেউকেউ নিজেকে বীরপুরুষ, সিংহপুরুষ বলে দাবিও করে। কিন্তু যতই বীরপুরুষ আর সিংহপুরুষই হোক-না-কেন, আমরা সবাই দুই রকমের বীরের কাছে সবসময়ই পরাস্ত। আর সবার উপরে মহান সৃষ্টিকর্তা তো আছেই। তা এই পৃথিবীর সকল জীবেরই জানা। মহান স্রষ্টার পরে একটি হলো প্রাকৃতিক মৌসুমি বীর ‘শীত’। অপরটি হলো মশা বা মশক। আগে শীত নিয়ে একটু বকবক করে নিই, তারপর মশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়বৃষ্টি, তুফান, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো আর ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক-না-কেন, শীত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়েই পৃথিবীতে বস্ত্রের আবিষ্কার হয়েছে বলে অনেকেই মনে করে থাকেন। কারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস, তুফান, ঝড়বৃষ্টি, আর টর্নেডো হলো, ক্ষনিকের জন্য। এই আসে খানিক পর আবার শান্ত হয়ে যায়। শীত কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য নয়, ক্ষণস্থায়ী!
শীত আমাদের দেশে বছরে কম করে হলেও দুই মাস স্থায়িত্ব হয়। আর পৃথিবীর অনেক দেশে শীত বছরের বারমাস। আবার কোনও কোনও দেশে শীত যুগযুগ ধরে চিরস্থায়ী ভাবেই দেখা যায়। সেখানে দিন, মাস, আর বছর নেই, সারা বছরই শীত আর শীত, বরফ আর বরফ। যাকে বলে বরফের দেশ। যেমন উত্তরমেরু আর দক্ষিণমেরু।
ঝড়বৃষ্টিকে মানুষ সহ্য আর সামাল দিতে পারলেও, তীব্র শীত মানুষ সহ্য করতে পারে না। শীতে বড়বড় বীর পালোয়ানকেও কাহিল করে ফেলে। তাই শীত থেকে রক্ষা পেতে প্রথমেই প্রয়োজন হয় বস্ত্রের। তা থাকুক গরম কাপড়ের বা পাতলা কাপড়ের। তবে কাপড় কিন্তু লাগবেই লাগবে। আর বাসস্থানে রাত যাপনের জন্য তো কত কিছুর প্রয়োজন হয়, তা আর লিখে শেষ করা যায় না। তবে বর্তমান আধুনিক বিশ্বে শীতকে সামাল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক গরম কাপড়ের পোশাকাদি তৈরি হয়ে গেছে। যা পরিধান করে আমাদের দেশের মানুষ শীত মৌসুমের সময়টুকু পার করে দেয়। আর উন্নত দেশে তো আরও বিশাল ব্যবস্থার মধ্যে শীতকে সামাল দিয়ে থাকে। কোনও কোনও বরফের দেশে বরফের খণ্ড দিয়ে তৈরি করা ঘরেও মানুষ বসবাস করছে। যা দেখা যায় পৃথিবীর বিখ্যাত ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে থাকা ভিডিওতে।
যা-ই হোক, এবার আসি মূল কথায়। মূল কথা হলো ‘মশা’। মহান স্রষ্টার সৃষ্টি এক ক্ষুদ্র প্রাণী। যার নাম ‘মশা’ বা ‘মশাক’। মশাকে মহান স্রষ্টার নিজস্ব সৈনিকও বলা হয়। কেননা, খোদাদ্রোহী নমরুদকে ধ্বংস করার জন্যই নাকি এই ক্ষুদ্র প্রাণী মশার সৃষ্টি। যা ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়।
নমরুদ ছিলেন একসময়ের অত্যাচারী বাদশাহ। যিনি নিজেকে স্রষ্টা দাবি করতে পছন্দ করতেন। কিন্তু বাদ সাদে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)। যিনি ছিলেন মহান স্রষ্টার অনুসারী। নমরুদ তার মুল্লুকে থাকা জনসাধারণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর অত্যাচার নির্যাতন করে নিজেকে একটু গুছিয়ে আনতে পারলেও, হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে কিছুতেই বশে আনতে পারছিলেন না। হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-ছিলেন একনিষ্ঠ খোদা প্রেমী বা খোদা ভক্ত। এটা কিছুতেই অত্যাচারী নমরুদ সহ্য করতে পারছিলেন না। একবার হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে শাস্তিমূলক আগুনের কুণ্ডলীতেও ফেলেছিলেন, এই অত্যাচারী নমরুদ। কিন্তু মহার স্রষ্টার অশেষ কৃপায় আগুনের কুণ্ডলী থেকে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। এতে অত্যাচারী নমরুদ হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর উপর আরও জ্বালাময়ী হয়ে উঠেন। তখন খোদা প্রেমী হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব হলো, খোদার সাথে যুদ্ধ করার ইচ্ছা প্রকাশ।
শেষপর্যন্ত তা-ই হলো। যুদ্ধের দিনক্ষণ ঠিক হলো। হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, “তোমার খোদা থাকে কোথায়?”
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বললেন, “আমার খোদা আসমানে থাকে।
তারপর অত্যাচারী নমরুদ শয়তানের পরামর্শ নিয়ে আকাশে উঠার বুদ্ধি বের করলো। অবশ্য এর আগে অনেক উঁচু এক মিনার তৈরি করেছিলেন, নমরুদ। মিনারের উঁচু মাথায় উঠে আকাশের কূলকিনারা না পেয়ে সেই চেষ্টা বাতিল করে। একসময় নমরুদ কর্তৃক মিনারটিও ভেঙে পড়ে, মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারায়। এবার শুরু হলো অত্যাচারী খোদাদ্রোহী নমরুদের ভিন্নরকম শয়তানি বুদ্ধি।
বুদ্ধি হলো চারটে শকুনের সাথে একটি বাক্স রশি দিয়ে বাঁধবে। তারপর নমরুদ বাক্সে উঠবে। আর শকুনের মাথার সামনে একটুকরো করে গোসত ঝুলিয়ে দিবে। এতে শকুনগুলো গোসতের লোভে সামনে এগুতে থাকবে, আর বাক্স সহ নমরুদ আকাশে উঠতে থাকবে। আকাশে উঠে খোদার সাথে যুদ্ধ করে আসার সময় শকুনের মাথার সামনে থাকা গোসতের টুকরোগুলো আবার শকুনের পায়ের নিচে বেধে দিবে। এতে শকুনগুলো গোসতের লোভে বাক্স সহ নমরুদকে নিয়ে নিচে নামতে থাকবে। এই হলো অত্যাচারী বাদশা নমরুদের শয়তানি বুদ্ধি। এমন যাত্রাও নমরুদের বিফল হয়।
অবশ্য শকুনের সাথে বাক্স বেধে নমরুদ আকাশে ঠিকই উঠেছিল। খোদাকে উদ্দেশ্য করে তীরও নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু খোদা প্রেমী হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর একই কথা, “আমার খোদাকে তুমি কোনও অবস্থাতেই মারতে পারবে না। আমার খোদা না থাকলে এই পৃথিবীর কিছুই থাকবে না। তুমিও না, আমিও না। চন্দ্রসূর্য, গ্রহতারকা, আকাশ বাতাস কিছুই থাকবে না।
কিন্তু অত্যাচারী নমরুদ হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর কথায় বিশ্বাসী নয়! নমরুদ খোদার সাথে ভুমিতে সামনাসামনি যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক। হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলো, “তোমার খোদার সৈন্য সংখ্যা কত? উত্তরে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বললে, “তা আমার জানা নেই!”
তা জানা থাকুক আর না থাকুক, অত্যাচারী নমরুদ খোদার সাথে যুদ্ধ করবেই করবে।
এদিকে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) খোদার কাছে ফরিয়াদ করে বলতে লাগলো, “হে খোদা, তুমিই বলো–আমি এখন নমরুদকে কী বলতে পারি! নমরুদ তোমার সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চায়! উত্তর এলো, “তুমি নমরুদকে বলো তাঁর সৈন্যদল নিয়ে তৈরি হতে। যুদ্ধ হবে খোলা মাঠে।”
তারিখও নির্ধারণ করা হলো।
একসময় অত্যাচারী নমরুদকে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)- বলে দিলে, “অমুক তারিখে আমার খোদা তোমার সাথে যুদ্ধ করবে। তা হবে বড় একটা খোলা মাঠে। তুমি তোমার সৈন্যদল নিয়ে তৈরি হও।” অত্যাচারী নমরুদ হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর মুখে এই কথা শুনে দিনতারিখ মত তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়ে এক খোলা মাঠে গিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলো। হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে বললো, “তোমার খোদার সৈন্য কোথায়? তাড়াতাড়ি আসতে বলো। আমি এবং আমার লালিত সৈন্যদল তোমার খোদার সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে আছি।”
এমন সময় মাঠের চারদিক কালো অন্ধকার নেমে আসতে লাগলো। নমরুদ ভাবতে লাগলো, হয়ত আকাশে মেঘ জমেছে। কিন্তু না, এই অন্ধকার আকাশের মেঘ নয়!
কালো অন্ধকারের সাথে বিকট শোঁ শোঁ শব্দ শুরু হয়ে গেলো। নমরুদের সৈন্যদল চোখে কিছু দেখতে-না-দেখতেই শুরু হয়ে গেলো কোটিকোটি মশার আক্রমণ। অত্যাচারী নমরুদের লক্ষলক্ষ সৈন্যের নাক, কান দিয়ে মশা মস্তকে ঢুকতে লাগলো। এভাবে অত্যাচারী নমরুদের সৈন্যবাহিনীর মস্তকে মশা ঢুকে, সৈন্যদের মথার মস্তক খেয়ে খালি করে ফেললো। অনেক সৈন্য মশার ভয়ে পালাতে শুরু করে দিল। কিছু সৈন্য নমরুদের আশপাশে অবস্থান করছিল। যেহেতু নমরুদ ছিলেন একজন বাদশাহ, তাই।
খোদার প্রেরিত সৈন্যদের কমান্ডার ছিলো এক লেংড়া মশা। কমান্ডার লেংড়া মশা নমরুদের নাক দিয়ে মস্তকে ঢুকে কামড়াতে লাগলো। একপর্যায়ে মশার কামড় সহ্য করতে না পেরে অত্যাচারী নমরুদ অবশিষ্ট সৈন্যদের হুকুম দিলেন, তাঁর মাথায় আঘাত করতে। সৈন্যবাহিনী তাঁদের পায়ের জুতা দিয়ে নমরুদের মাথায় আঘাতের পর আঘাত করতে লাগলো। মাথায় জুতার আঘাতে নমরুদের একটু শান্তি। মাথায় আঘাত করা থেমে গেলেই নমরুদের অশান্তি। শুরু হয় মস্তিষ্কে মশার কামড়ের তীব্র যন্ত্রণা। আবার শুরু হয় নমরুদের মাথায় সৈন্যদের পায়ের জুতার আঘাত। এভাবে একসময় অত্যাচারী নমরুদ কমান্ডার লেংড়া মশার কামড়ে আর তাঁর নিজস্ব সৈন্যবাহিনীর জুতার আঘাতে মৃত্যুবরণ করে। মশার কামড় হলো অত্যাচারী খোদাদ্রোহী নমরুদের তাঁর পাপের শাস্তি।
এখন কথা হলো, অত্যাচারী খোদাদ্রোহী নমরুদকে খতম করার জন্য যেই মশা মহান সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন; সেই মশা এখন আমাদের আক্রমণ করছে দিনরাত ২৪ঘণ্টা। খোদার সৈন্য মশার কামড়ে অত্যাচারী নমরুদও এই সুন্দর পৃথিবীতে থাকতে পারেনি, তাহলে আমরা কী করে থাকতে পারি?
আজ আমরা বড় অসহায়! আমরা শহরবাসী আর গ্রামবাসী মশার কামড়ে অতিষ্ঠ। মৌসুমি বীর শীত থেকে রেহাই পেলেও, সারাবছর খোদার প্রেরিত সৈনিক মশার কামড়ে আজ আমরা দিশেহারা হয়ে পরেছি। আর এই পৃথিবী নামক গ্রহটি যতদিন থাকবে, খোদার সৈনিক মশাও ততদিন থাকবেই। এই মশা বিলুপ্তি হবার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে কিছুটা হলেও নিধন করা সম্ভব। তা হতে হবে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক সদিচ্ছা।
এমনিতেই আমাদের চারদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ময়লা অবর্জনা। এসব ময়লা আবর্জনা মশার কাছে মনে হয় ঐ অত্যাচারী নমরুদের মাথার মগজ। এই ময়লা আবর্জনার কারণেই শহরে, গ্রামে, এখানে, সেখানে এতো মশার উৎপত্তি আর বংশবিস্তার। তাই পরিবেশ মন্ত্রণালয় সহ পৌরসভা এবং দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও মেয়র মহোদয়ের কাছে বিনীত প্রার্থনা করি, গ্রাম শহরের খোলা ডাস্টবিন ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার যথাযথ ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নিন, শহরবাসী ও গ্রামবাসীকে মশার কামড় থেকে মুক্তি দিন। প্রয়োজনে অনতিবিলম্বে মশা নিধন করার ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
ইসলামী ইতিহাসের দারুণ একটি সমন্বয় আপনি দেখিয়েছেন মি. নিতাই বাবু।
আমরা অবশ্যই চাই মশক মুক্ত থাক আমাদের চারিপাশ। কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙলেই হয়।
আপনার সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যে আমার নগণ্য লেখা স্বার্থক হয়েছে। আরও স্বার্থক হয়েছে ব্লগ টিম নগণ্য লেখাটি বিশেষ নির্বাচিত পোস্ট করেছে বলে। তাই আপনাকের শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বনামধন্য শব্দনীড় ব্লগ টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে শব্দনীড়ের সফলতা সহ দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ধন্যবাদ নিতাই বাবু। শুভ হোক দিন।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় সহ পৌরসভা এবং দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও মেয়র মহোদয়দের সদিচ্ছাই পারে এই সমস্যার সমাধানে পৌঁছুতে। ভারত সাফাই ভারত সাফাই যত স্লোগানই আমাদের এখনে প্রচলন শুরু হোক না কেন; খোদ কোলকাতায় এখনও মশক সমস্যা দূরীভূত হয়নি।
নিজেকে হতাশ মনে হয় দাদা।
সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদিকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই। সাথে শুভেচ্ছা শুভকামনা আর এক নদী ভালোবাসা ।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আমার প্রিয়জন
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপ্নাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সাথে শুভকামনাও রইল শ্রদ্ধেয় বাবু দাদা।
ইতিহাস এবং চাহিদা। আপনার চাহিদার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি নিতাই বাবু।
বর্তমানে আমাদের দেশের গ্রাম শহরে এতো মশা উৎপত্তি হয়েছে যে, ঘরে-বাইরে, রাস্তা-ঘাটে, হোটেলে সহ চা দোকানেও পাঁচ মিনিট বসা যায় না, শ্রদ্ধেয় দাদা। এরকম মশার বিস্তার সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কেউ দেখেও দেখা না। আমরা নগরবাসী মশার আক্রমণে একরকম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি দাদা। আমরা এখন মশা থেকে বাঁচতে চাই!
নব্য প্রজন্মের মশাকূল যুগের হাওয়া বোঝে। কয়েলে পাত্তা নেই, স্প্রে তে বিদীর্ণ আনন্দ আর বিদেশ থেকে আমদানী করা ইলেক্ট্রিক জেল-মেল এ জ্ঞান হারানোর অভিনয় দারুণ রপ্ত করে ফেলেছে।
এদের নিধনে লোক দেখানো চলচ্চিত্র হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না। হবে সহবাস।
বর্যমানে মশা নিয়ে সরকার তথা পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন সহ সংশ্লিষ্ট কেউ দেখেও দেখে না। আমরা যেমন দিন দিন মশার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি দাদা।
নাগরিক সুস্থ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
কে করবে শ্রদ্ধেয় শাকিলা দিদি? কেউ তো দেখেও দেখছে না। নির্বাচনের আগে নেতা নেত্রীদ্বয় শুধু আশার বাণী শোনায়। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে গেলে বুড়ো আঙুল দেখায়।
চাই মশা মুক্ত পৃথিবী।ভালো লেখা।
আমরা শুধু মশা থেকে বাঁচতে চাই শ্রদ্ধেয় দাদা।
খুব সুন্দর একটি ইতিহাস তুলে এনেছেন,, খুব বাস্তব কথা যে বর্তমান সময়ে মশার অত্যাচার অনেক বেশি হয়ে গেছে,,সুন্দর পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা জানবেন।
আপনার মূল্যায়ন মন্তব্যে আমার নগণ্য লেখা সূচিত হলো, শ্রদ্ধেয় সুজন দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা সারাক্ষণ ।
অসাধারণ একটি ইতিহাস নির্ভর লেখা তুলে এনেছেন কবি নিতাই বাবু।জানা হলো ,লেখা হলো অনেক কিছু। বিশেষ করে মশার উপদ্রব নিয়ে অসাধারণ একটি লেখা উপহার দিয়েছেন আমাদের।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় হাসনাহেনা রানু দিদি। আশা করি ভালো থাকবেন ।