কী করে যেন লাপাত্তা হয়ে যায় মধ্যাহ্নের শুকনো থালা,
বালকের ছালওঠা খরখরে ঠোঁট,
চোখের মণিতে লেগে থাকা নিষ্পাপ দীপ্তি
তখন মাদুরের ফাঁকে দপ করে জ্বলে উঠে বাইশতলার আগুন
পাঁচকুড়ি আকাশে মিছিল চলে ক্ষুদ্র পতঙ্গ দলের,
এদিকে শুকনো থালা পুড়ে ভস্ম হয় বালকের পেটের আগুনে।
পতঙ্গরা ঝাঁপ দিতে গিয়ে খানিকটা ভেবে নেয়,
তারাও জানে একটু মানবিক হলেই দরোজার খিল খুলে যায়
তরতর করে উঠে আসে পাঁচকুড়ি আকাশের অধিবাসী।
যে সত্যটি পতঙ্গের কাছ থেকে শিখেছিল বালক
তাকে অদ্ভুত আঁধারের গন্ধে ঠেলে দেয়া হলো,
সে এখন ক্লান্ত
তার লাপাত্তা হয়ে যাওয়া থালাখানির মমতা বিলাপ করে কাঁদে
কাঁদে বালক, কাঁদে পতঙ্গ,
হেসে ওঠে বাইশতলার দাউদাউ আগুন।।
চমৎকার কথামালায় সাজিয়েছেন। দারুণ!
অনুপ্রাণিত হলাম আপনার হৃদ্যতায় । ভালো থাকুন সবসময় ।
আমাদের জীবনের গল্প গুলো এমন। জীবন আর প্রাসঙ্গিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছায়া জড়িয়ে আছে আষ্টেপৃষ্টে।
প্রাসঙ্গিক বাস্তবতাই তো জীবন । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শেষ প্যারায় একটি বালকের দৃশ্য কল্পনা করলাম। ভাসি ভাসি করেও ছায়া হয়ে রইলো। কবিতার সার্থকতা বলতে আমি এমনটাই বুঝি। সরাসরি সব বলা যায়, না বলেও যে কিছু বলা যায় সেটাই তো সাহিত্য বা সাহিত্যের আঁধার। আপনাকে ধন্যবাদ আপা।
আপনার চমৎকার অনুধাবন কবিতার ভাবার্থ উদ্ধারে যথেষ্ট মৌলিক । দুর্গন্ধযুক্ত পঁচে যাওয়া রাজনীতির শিকার বালকটিকে শেষতক শূন্য হাতেই ফিরতে হলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
কাঁদে বালক, কাঁদে পতঙ্গ,
হেসে ওঠে বাইশতলার দাউদাউ আগুন।
দুঃখজনক অধ্যায় পার করছে বাংলাদেশ। কবিতা ভালো হয়েছে বোন রুকশানা হক।
কবে যে এসব অসুস্থতা থেকে মুক্তি মিলবে । আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
পছন্দ করার মতো কবিতা। অভিনন্দন আপা।
আপনার পছন্দে কবিতাটি আছে বলে অনেক ধন্যবাদ ।
আমার ভাষাজ্ঞানে যতটুকু বুঝেছি তাতে কবিতাটিকে সার্থক মনে হয়েছে দিদি ভাই।
কবিতার সার্থকতা পাঠকের চোখই কেবল নির্ধারণ করে । বনানীর আগুন আর মানবিক বালকের পেটের আগুন সমার্থক।
তোমাকে শুভেচ্ছা দিদিভাই ।
অপূর্ব। কঠিন বাস্তবকে তুলে ধরেছেন কবিতায়।
কাব্য ভাবনা খুবই ভালো।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!
কঠিন বাস্তবতাই আমাদের কঠিন জীবন । আগুনের শব্দ বহুদূর বিস্তৃত হয় , দীর্ঘদিন পুড়তে থাকে জীবন।
ধন্যবাদ কবি ।
বনানীর সেই বিষন্ন মধ্যাহ্নের দামি ছবি যেন এটি; জল ও আগুনে আঁকা।
"কী করে যেন লাপাত্তা হয়ে যায় মধ্যাহ্নের শুকনো থালা/বালকের ছালওঠা খরখরে ঠোঁট"!—মনকাড়া শুরু।
"শুকনো থালা পুড়ে ভস্ম হয় বালকের পেটের আগুনে"। —কঠিন করুণ একটা বিষয়ের কী দারুণ কাব্যরুপ!
অব্যবস্থাপনায় বলি হয়ে পতঙ্গের মত পুড়ে মরা সেই মানুষগুলি, এক মানবিক বালক এবং তাকে ঘিরে কিছু অসুন্দর মানুষের বিচরণ—এসব কিছু বর্ণমালায় না লিখেও কবি আমাদেরকে জানিয়ে গেলেন। সাহিত্যের যতো মূল্য এখানেই যেন জমা হয়ে গেলো।
"তার লাপাত্তা হয়ে যাওয়া থালাখানির মমতা বিলাপ করে কাঁদে/কাঁদে বালক, কাঁদে পতঙ্গ"! —কবিতার শেষাংশ করুণ সুরে অন্তর বাজালো। মন ভরে কাব্যসুখ নিয়ে ঋণী হলাম!
এ জগতের সকল অনাচারের ঊর্ধ্বে থাকা একটি কচিমনের নিজের দায়বদ্ধতা থেকে আগুনে পোড়া মানুষগণের মর্মন্তুদ পরিণতি ঠেকানোর প্রচেষ্টাকে কলুষিত করেছে এদেশের নোংরা রাজনীতি। কারো কিছুই হয়নি, বালকের পেটের তীব্র আগুন আরো দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো কেবল।
কবিতার ভাবার্থ অনুধাবন করার জন্য ধন্যবাদ ।
পতঙ্গরা ঝাঁপ দিতে গিয়ে খানিকটা ভেবে নেয়,
তারাও জানে একটু মানবিক হলেই দরোজার খিল খুলে যায়।
অসাধারণ ! ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকেও দাদা । ভালো থাকুন সবসময়।
তার লাপাত্তা হয়ে যাওয়া থালাখানির মমতা বিলাপ করে কাঁদে
কাঁদে বালক, কাঁদে পতঙ্গ,
হেসে ওঠে বাইশতলার দাউদাউ আগুন।
বাস্তবতার চিত্র মনে ভেসে উঠলো , চমৎকার
লিখেছেন শ্রদ্ধেয় কবি ,, শুভেচ্ছা জানবেন
নিষ্পাপ বালকটি হয়তো টাকাগুলো পেলে নিজের ভবিষ্যত গড়তে পারতো । তাকে নিয়ে নোংরামির দন্ড কেউ পেলোনা, বালকটির শুকনো থালাই পেলো।
ধন্যবাদ আপনাকে
"তার লাপাত্তা হয়ে যাওয়া থালাখানির মমতা বিলাপ করে কাঁদে
কাঁদে বালক , কাঁদে পতঙ্গ,
হেসে ওঠে বাইশতলার দাউদাউ আগুন ।" সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বনানীর কঠিন বাস্তবতার এক নির্মম চিত্র তুলে এনেছেন কবিতায়। চমৎকার সৃষ্টি।শুভেচ্ছা কবি আপু।
অবশেষে রাজনৈতিক নোংরামিতে বালকটি ঘোষিত পাঁচহাজার ডলার থেকে বঞ্চিত হলো।
অনেক অনেক ভালবাসা আপু ।