লাল গোলাপ
এবার আমি নাগরিকের মতো শরীর হব।
আমার হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে নিলে-নাও,
বিচ্ছিন্ন কর বিচ্ছিরি ভাবে ক্ষত-বিক্ষত
মাছ কিংবা লাউ যে ভাবে কাটে-ফাঁড়ে সব
তবু আনকোরা নমুনায় ছালবাকল জুড়ে
আকাশ ছোঁয়া চিলেকোঠার সদর দরজায়
রক্ত গড়িয়ে পড়ুক খাঁখাঁ বধ্যভূমিতে,
রোদেলা দুপুর লাশ পোড়াতে পোড়াতে
রুটির মতো ক্ষত করে ভাজুক নীরব মাংসালো মুখ
কেউ অন্তত চিনুক আর না চিনুক
যে মা জন্ম দিয়েছিল সুতি কাপড় পরে
আড়াল আবডালে খিল আঁটা ঘরে-
সে মায়ের দগদগে পাগলামী মন সান্ত্বনা ঘিরে
রোজ রোজ নিয়মিত সাক্ষী দিক
-মানুষ একবার মরে।
যেমন নদী ফিরে গেছে সমুদ্রে,
পাখি উড়ে গেছে বহুদূর
বৃষ্টির জলে রক্ত মিশে যাক
বাইরে সবুজ ভেতরে লাল মাঠক্ষেতে তরমুজের মতো;
পরাগরেণুতে ভরে উঠুক লাল গোলাপ
হিরণবর্ণের বসন্তোৎসব, সকল নাগরিক ছাদ বাগান।
অনন্য এবং অসাধারণ একটি কবিতা। অভিনন্দন কবি মি. টিপু সুলতান। শুভ সকাল।
অভিনন্দন প্রিয় কবি দা।
আপনার কবিতায় চমৎকার কিছু বিষয় আছে। যা কিনা সত্যসত্যই পাঠকের হৃদয়ে ম্যাটার করে।
লাল গোলাপ শুভেচ্ছা কবি টিপু সুলতান ভাই।
আপনার কবিতার সৌন্দর্য্য স্বতন্ত্র।
খুব সুন্দর