আভিজাত্য
আমার পূর্বপুরুষ ডোম ছিলেন
শ্মশানে মরা পোড়াতেন
আমি অবশ্য নিজেকে বাগদাদী ভাবি
প্রমাণের জন্য পাছা খুলে
দেখাতে পিছ পা হই না
চাড়াল পরিচয় ধুয়েমুছে ফেলেছি
পাছায় মেখে নিয়েছি পাকা রঙ
বখতিয়ারের ঘোড়ায় লণ্ডভণ্ড লক্ষণ সেন
মওকা বুঝে ভোল পাল্টেছি
নিরস্ত্র লক্ষণের কাটা মুণ্ডু
আমার জাত্যভিমান বাড়িয়েছে
ইয়ামেনী বাবার সঙ্গী হয়ে
আমিও হয়ে গেছি সমাজের বিশিষ্টজন
আমাকে বহিরাগত বলবে
কার আছে বুকের পাটা
অন্যকে অবলীলায় আবাদি ডেকে
জাহির করি আভিজাত্য
আমার পূর্বপুরুষ চামার ছিলেন
আমি মুচির ছোঁয়া এড়িয়ে চলি
শিশ্নের লালের জোরে আমি ঐশ্বর্যবান
আমার চলনে বলনে বাগদাদী ঐতিহ্য
মেথর চাড়াল মুচি নাপিত আমার পূর্বের ধারা
এমন অবিশ্বাস্য সত্যে হেসে উঠি
বাগদাদের সৌগন্ধ শরীরের পরতে পরতে
আমাকে হেয় করতে পারে
এমন আদম এখনো জমিনে আসে নি
অসাধারণ এবং ভীষণ আত্মপ্রত্যয়ের লিখা। পাঠক সমাদৃত হোক প্রিয় আবু মকসুদ ভাই। শুভ সকাল।
পড়লাম। যদিও এক সময় আপনার লিখা বেশ নিয়মিত পড়া হতো। এখন আর হয়না।
রূপক শব্দ কথায় মুগ্ধ হলাম কবি মকসুদ ভাই। ভালোবাসা।
সুন্দর লিখেছেন।
কবিতাটি পড়লাম কবি আবু মকসুদ।