বাঁশ গাছ পেলো না জাতীয় বৃক্ষ খেতাব!

বাঁশ গাছ পেলো না জাতীয় বৃক্ষ খেতাব!

বাঁশ দিয়ে মোরা–
করি কতো কাজ!
তা বলতে মোদের–
কেন এতো লাজ?

বাঁশ দিয়ে মোরা–
তৈরি করি কুঁড়েঘর।
তৈরি করি সাঁকো,
বানাই ছনের ঘর।

আরো বানাই আসবাবপত্র,
বানাই টেবিল চেয়ার।
বানাই মাটির কবর,
শ্মশানেও করি ব্যবহার!

সকল গাছের মাঝে,
বাঁশগাছ হলো সেরা।
দৈনন্দিন জীবনে মোরা–
নিরুপায় বাঁশ ছাড়া!

রাজপথে থাকে বাঁশ–
থাকে মসজিদ মন্দিরে।
রডের বদলে ঠিকাদার–
বাঁশ রাস্তায়ও ভরে!

বাঁশ দেশের রাজনীতিতে,
ব্যবসায়, বানিজ্যে, অর্থনীতিতে।
বাঁশ থাকে মুখেমুখে,
থাকে ক্যাডারদের হাতে।

বাঁশ থাকে রাজপথে,
থাকে রাজনীতির মঞ্চে।
বাঁশ দপমন নিপীড়নে,
থাকে ঠেলাগাড়িতে লঞ্চে!

বাঁশের দরকার সবসময়,
আনাচে- কানাচে সবখানে।
বাঁশের দরকার গোরস্তানে,
দরকার হিন্দুদের শ্মশানে।

বাঁশ থাকে দোকানে,
থাকে টংঘরের মাচায়।
থাকে হাট বাজারে,
থাকে পশুপাখির খাঁচায়।

বাঁশ আছে মোদের–
জীবনের সাথে মিশে!
ঘরে বাইরে সবখানে–
সামনে, আগে, পিছে।

তবু বাঁশগাছকে নিয়ে–
কেউ লিখে না কিতাব।
আমগাছকে দিয়ে দেয়,
জাতীয় বৃক্ষ খেতাব!

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

19 thoughts on “বাঁশ গাছ পেলো না জাতীয় বৃক্ষ খেতাব!

  1. বাঁশ দেশের রাজনীতিতে, ব্যবসায়, বানিজ্যে, অর্থনীতিতে।
    বাঁশ থাকে মুখেমুখে, থাকে ক্যাডারদের হাতে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    বাঁশ আছে মোদের– জীবনের সাথে মিশে!
    ঘরে বাইরে সবখানে– সামনে, আগে, পিছে। ___ এখানেই তো ভয় মি. নিতাই বাবু। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Razz.gif.gif

     

    1. বাঁশ গাছকে জাতীয় খেতাব দিলে,  ভয় দূরে চলে যেত! 

      মূল্যবান মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতার সাথে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে আগমনী ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা। 

    2. ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।  https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. বাহ চমৎকার কবি দা

    1. সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা থাকলো। 

  3. দুঃখজন যে বাঁশ গাছ পেলো না জাতীয় বৃক্ষের খেতাব। দারুণ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_cry.gif

    1. আমার দুঃখটাও এখানেই শ্রদ্ধেয় দাদা।

      সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা থাকলো। 

  4. অসাধারণ ভাবনা। বাঁশ কে জাতীয় বৃক্ষের সম্মান বাংলাদেশেই না ভারতেও পায় নি। পাওয়া উচিত ছিলো। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. সম্মানিত বিচারক মণ্ডলী কেন যে বাঁশগাছকে জাতীয় খেতাব দিলো না, তা আমার এই ক্ষুদ্র মাথায় ঢুকছে না, শ্রদ্ধেয় কবি সৌমিত্র দাদা। 

    1. কিন্তু দিদি, কেই এই পরোপকারী বাঁশগাছকে মনে রাখেনি। সত্যি দুঃখজনক! 

  5. দুই বাংলাতেই বাঁশ গাছ কে জাতীয় বৃক্ষ খেতাবের দাবি জানাই। সমর্থন নিতাই দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    1. আপনার সাথে আমিও একমত পোষণ করে বলতে চাই, এপারওপার দু'পাড় বাংলার জাতীয় বৃক্ষ খেতাব যেন বাঁশগাছকে দেওয়া হয়! তা কি কখনো হবে, দিদি?

  6. বাঁশের অনেক উপকার।

    "বাঁশ" নামটাতে এদেশের মানুষ একটা ঋণাত্মক ভাবনা জুড়ে দিয়েছে বটে; কিন্তু এর নান্দনিক ব্যবহারে আমি সবসময়ই আকৃষ্ট হই! 

    1. বাঁশগাছের জন্য শুধু দুঃখ করা ছাড়া আর কিছুই করা যাচ্ছে না, শ্রদ্ধেয় দাদা। তবু বাঁশ যেন সবসময় আমাদের সামনে পিছে থাকে, সেই কামনাই করছি। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।

  7. রাজপথে থাকে বাঁশ–
    থাকে মসজিদ মন্দিরে।
    রডের বদলে ঠিকাদার–
    বাঁশ রাস্তায়ও ভরে!

     

    চমৎকার উপমা দিয়ে কবিতায় বাশ দিলেন।

    1. তাতো বাস্তবেই দেখা, শ্রদ্ধেয় মনির দাদা। শব্দনীড়ে আপনার নতুন লেখা পড়তে চাই!

  8. জাতীয় বৃক্ষ বাঁশ
    জাতীয় পশু ছাগল
    আর জাতীয় ফল কলা করা হোক

    কি কন নিতাই কাকু?

    1. এটা আমারও মনোমত হয়! কিন্তু তা কি রাষ্ট্র মেনে নিবে?

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।