নিত্য পথে প্রান্তরে-১

এই সোনার বাংলার আনাচে কানাচে অলিতে গলিতে দিবারাত্র কত কি ঘটে যাচ্ছে কে কার খবর রাখে। আমি সেদিন ভাবছিলাম ব্রিটেনের আর্থিক দিনকাল খুব খারাপ যাচ্ছে। তাই ওরা যদি ওদের BBC বিক্রি করে দিত তাহলে আমি সারে চার স্টারলিং পাউন্ড দিয়ে কিনে এই সব খবর পাবলিক এবং জনগনকে জানাতাম। কিন্তু ওদের দুর্মতি দেখা দিল, ওরা বিবিসি বিক্রি করবে না। সে যাক বিক্রি করুক বা না করুক ওতে আমার কিছু যায় আসেনা।

১। নিচে দেখুন যে ঢাকা শহরে একজনের ঘুমের জন্য তৈরী হচ্ছে বৃক্ষ বিছানা সেই ঢাকা শহরে আর এক জন ঘুমাচ্ছে ফুটপাথে। ছবিটি রেল ভবনের সামনে থেকে নেয়া। এখন বলুন কার ঘুম গভীর? কে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে আর কে ঘুমের ওষুধ চিনেই না? জীবন পুষ্প শয্যা নয় বলে কি জীবনকে ফুটপাথ শয্যা হতে হবে?-


[উপরের ছবিগুলি উপরে উল্লেখিত ঘুমের এবং আয়েশ করে বসে আড্ডা দেয়ার বিছানা, ধনীদের জন্য আর নিচের ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন কার জন্য।

12 thoughts on “নিত্য পথে প্রান্তরে-১

  1. দামী সোফা পালঙ্কের শয্যা থেকে অপেক্ষাকৃত শান্তির ঘুম নিজবাসে প্রিয় বন্ধু আমার। :yes:

  2. ঈদ মোবারক মোঃ খালিদ উমর ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif

  3. নিত্য পথে প্রান্তরে ধারাবাহিকটি নিশ্চয়ই অনেক ভাল হবে খালিদ দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. এমন একটা আশা করেই শুরু করেছি, দেখা যাক কতদূর পারা যায়। আসলে আমার সময়ের দারুন অভাব, যার জন্য অনেক ইচ্ছাই অপূর্ণ থেকে যায়।

  4. পৃথিবী যতদিন থাকবে বৈষম্য থাকবেই খালিদ ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  5. শান্তির ঘুম শ্মশানঘাটে
            -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    যে ঘুম আসে না পাখার হাওয়ায়
    নরম বালিশে শুয়ে,
    আসে নাকো ঘুম কত না রাত্রি
    ঘুমের ওষুধ খেয়ে।

     

    শান্তির ঘুম ঘুমোবে যেদিন
    সে ঘুম তো ভাঙবে না।
    বৃক্ষ খচিত পালঙ্ক তোমার
    মৃত্যুর পরে থাকবে না।

     

    শ্মশানে হবে শেষ বিছানা
    ঘুম কোনদিন ভাঙবে না।
    লক্ষ্মণ বলে শোন রে মানুষ
    শ্মশান ঘাট শেষের ঠিকানা।

     

    সুন্দর লিখেছেন। তাই আমিও একে কবিতার পাতায় বন্দী করলাম।
    সময়মতো প্রকাশ দেবো। ইচ্ছা আছে।
    সাথে থাকুন সতত। জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।