দেওঘর সত্সঙ্গধামে
(যাজন সঙ্গীত)
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেওঘর সত্সঙ্গধামে চল আমার মন।
যেথা পরম প্রেমময় পরমপিতার লীলা নিকেতন।
সকাল সন্ধ্যা প্রার্থনা কর
নাম কর অহরহ,
সবার কাছে পরমপিতার
লীলার কথা কহ।
সত্দীক্ষা এক্ষুনি লও, কর সবাই সত্দীক্ষা গ্রহণ।
দেওঘর সত্সঙ্গধামে চল আমার মন।
যেথা পরম প্রেমময় পরমপিতার শান্তি নিকেতন।
দেওঘর সত্সঙ্গের কথা
আমি কি বলিব আর,
যেথা প্রতিদিন প্রতি রাতে
বসে আনন্দ-বাজার।
সবার সাথে হেথা একসাথে করে ভোজন ভক্তজন।
দেওঘর সত্সঙ্গধামে চল আমার মন।
যেথা পরম প্রেমময় পরমপিতার লীলা নিকেতন।
যজন যাজন ইষ্টভৃতি
কর নিতি নিতি,
ইষ্টভৃতি করলে কাটবে
তব মনের ভীতি।
লক্ষ্মণ বলে সময় থাকতে এবার ইষ্টনাম কর স্মরণ।
দেওঘর সত্সঙ্গধামে চল আমার মন।
যেথা পরম প্রেমময় পরমপিতার লীলা নিকেতন।
দেওঘর সত্সঙ্গধামে চল আমার মন।
যেথা পরম প্রেমময় পরমপিতার লীলা নিকেতন।
১৯২৫ সালে সঙ্ঘ নিবন্ধীকরণ বিধি অনুযায়ী নিবন্ধীকৃত হয়ে ‘সৎসঙ্গ’ একটি সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। মনোমোহিনী দেবী হয়েছিলেন ‘সৎসঙ্গ পরিষদের’ প্রথম সভাপতি।
‘অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে, ধর্ম বলে জানিস তাকে’। -এই অনুকূল-বাণীর আলোকে ধর্ম ও কর্মের অপূর্ব সমন্বয়ে হিমাইতপুরে সৎসঙ্গ আশ্রমে গড়ে উঠেছিল আদর্শ শিক্ষাকেন্দ্র তপোবন’ মনোমোহিনী কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ বহুমুখী বিজ্ঞান গবেষণার জন্য ‘বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র’, ‘সৎসঙ্গ কেমিক্যাল ওয়ার্কস’, ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ’, ‘সৎসঙ্গ প্রেস এন্ড পাবলিশিং হাউজ’, ‘সৎসঙ্গ দাতব্য চিকিৎসালয়’, ‘কলাকেন্দ্র’, ‘মাতৃবিদ্যালয়’, ‘কুটির শিল্প কেন্দ্র’, ‘সৎসঙ্গ কৃষি খামার’, সর্বসাধারণের জন্য ভোজনাগার ‘আনন্দবাজার’ প্রভৃতি।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।
প্রিয়কবিকে মন্তব্যের জন্য প্রশংসা করি।
জয়গুরু!
তথ্যে সমৃদ্ধ হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ মি. ভাণ্ডারী।
অজয়নদীর কাব্য পর্ব ভিত্তিক প্রকাশ করার অনুরোধটি অনুমোদন সহ মতামত প্রদান করলে বাধিত হবো। প্রকাশ আপনার অনুমোদন প্রত্যাশায়।
গাঁয়ে আছে ছোট নদী প্রকাশিত হলো কবি।
শুভেচ্ছা্ কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। আশীর্বাদ প্রার্থী।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রমূখ দেশবরেণ্য নেতৃবৃন্দসহ দেশ ও বিদেশের অগণিত গুণিজন ‘সৎসঙ্গ’ পরিদর্শন করে এর অসাম্প্রদায়িক ধর্মকেন্দ্রিক মানব সেবামূলক কর্মকাণ্ডের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।
প্রিয়কবিকে মন্তব্যের জন্য প্রশংসা করি।
জয়গুরু!
সবার কাছে পরমপিতার
লীলার কথা কহ।
সত্দীক্ষা এক্ষুনি লও, কর সবাই সত্দীক্ষা গ্রহণ।
প্রণাম প্রিয় কবি দা।
"প্রতি বছর ন্যায্য সামর্থ্য সঙ্কুলান থাকিলে অন্ততঃপক্ষে একবার
তোমার আদর্শ ঈপ্সিত প্রিয়পরমের জন্মস্থানে
সশরীরী নতজানু উৎফুল্ল অভিবাদন দিতে
কিছুতেই তাচ্ছিল্য করিও না।" —
শ্রীশ্রীঠাকুর।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম কবি বোন আমার। সাথে থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।
প্রিয়কবিকে মন্তব্যের জন্য প্রশংসা করি।
জয়গুরু!
শুভেচ্ছা রাখলাম কবি।
দেওঘরের বুকেও গড়ে উঠেছে বিশাল সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং তার কার্যধারা ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র ভারতবর্ষে এবং বহির্ভারতেও। হিমাইতপুরের আশ্রমভূমি ১৯৫২ সালে পূর্বপাকিস্তান সরকার হুকুম দখল করে মানসিক হাসপাতাল স্থাপন করে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হিমাইতপুরে হিমাইতপুরের মূল আশ্রম সংলগ্ন ভুমিতে সৎসঙ্গ আশ্রম পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পূর্বের ন্যায় এখন সঙ্ঘের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা প্রভৃতি জেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৎসঙ্ঘের শাখা আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং পাশ্চাত্যেও এর কর্মধারা প্রসারিত। বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ সহ সারা বিশ্বে সৎসঙ্গীর সংখ্যা কয়েক কোটি। হিমাইতপুর তাদের কাছে পরমতীর্থ। শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মস্থানসহ বিশেষ স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান ও ভবনসমূহ সংরক্ষণ সকলের প্রাণের দাবী।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।
প্রিয়কবিকে মন্তব্যের জন্য প্রশংসা করি।
জয়গুরু!
জেনে রাখলাম কবি দা। বেশ ডিটেইলে মন্তব্যের উত্তর করছেন।
জীবনের জয়গান অব্যাহত থাকুক কবি।
‘সৎসঙ্গ’ নামে একটি সংগঠন পূর্ব থেকেই বিদ্যমান আছে উত্তর ভারতে আগ্রা শহরে ‘দয়াল বাগ’ নামক স্থানে। মধ্যযুগে উত্তর ভারতে নানক(১৪৬৯-১৫৮১), রামানন্দ(১৪০০-১৪৭০), দাদু(১৫৪৪-১৬০৩) প্রমূখ সাধকগণ যে বাহ্য আনুষ্ঠানিকতা বর্জিত অসাম্প্রদায়িক এবং মানবতাবাদী মরমীয়া ধর্ম সাধনার ধারা প্রবর্তন করেছিলেন ১৮শ-১৯শ শতাব্দীতে, সৃষ্ট আগ্রা দয়ালবাগ ‘সৎসঙ্গ’-এ তারই নব-রূপায়ন ঘটেছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা স্বামীজি মহারাজের শিষ্য হুজুর মহারাজ হলেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জননী মহিয়সী সাধিকা ‘মনমোহিনী’ দেবির গুরু। কৈশোরে আপন জননীর নিকটেই অনুকূলচন্দ্র মন্ত্রদীক্ষা লাভ করেন। কাজেই বলা যায়, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রবর্তিত ‘সৎসঙ্গ আন্দোলন’ বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র হলেও আগ্রা সৎসঙ্গের তার ঐতিহাসিক যোগসূত্র আছে। অনুকূলচন্দ্র ‘সৎসঙ্গ’ এর সংজ্ঞা দিয়েছেনঃ ‘সৎ-এ সংযুক্তির সহিত তদগতিসম্পন্ন যারা-তারাই সৎসঙ্গী, আর, তাদের মিলন ক্ষেত্রই হল সৎসঙ্গ’। সৎসঙ্গ তাই জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল মানুষের মিলনক্ষেত্র।
‘সদগুরুর শরণাপন্ন হও, সৎনাম মনন কর, আর সৎসঙ্গের আশ্রয় নিয়ে তেমনি করেই চলতে থাক- আমি নিশ্চয় বলছি, তোমাকে তোমার উন্নয়নের জন্য ভাবতে হবে না’।– এই অনুকূল-বাণী সৎসঙ্গের অনুসারী সৎসঙ্গীদের চলার পথের চিরন্তনী প্রেরণা।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রমূখ দেশবরেণ্য নেতৃবৃন্দসহ দেশ ও বিদেশের অগণিত গুণিজন ‘সৎসঙ্গ’ পরিদর্শন করে এর অসাম্প্রদায়িক ধর্মকেন্দ্রিক মানব সেবামূলক কর্মকাণ্ডের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাথে থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।
প্রিয়কবিকে মন্তব্যের জন্য প্রশংসা করি।
জয়গুরু!