শ্মশানে কাঁদছে ভালবাসা

জীবন তরী ডুববে যেদিন দিবসের অবসানে,
রক্তমাংসের দেহটাকে জ্বালিয়ে দেবে শ্মশানে।
সারাজীবন মানুষকে তুমি করলে কত ছলনা,
সময় থাকতে মধুর নাম মুখে কেন বল না?

জীবন-প্রদীপ নিভবে যেদিন কাঁদবে প্রিয়জন,
গলে দেবে ফুলের মালা আর কপালে চন্দন।
দুই চোখে তুলসীর পাতা ছড়াবে গঙ্গার জল,
অঙ্গে দেবে সাদা কাপড় কাঁদবে আত্মীয়সকল।

জীবন সন্ধ্যা আসবে কবে কেহ নাহি জানে,
নিষ্প্রাণ দেহটাকে সবে নিয়ে যাবে শ্মশানে।
দু’দিনের তরে ভবে আসা মিছেই কর আশা
শ্মশান ঘাটে শেষ বিছানায় কাঁদে ভালবাসা।

জন্ম নিলে মরবে একদিন জীবন মানে মরণ,
লক্ষ্মণ বলে সময় আছে ধর গুরুর রাঙাচরণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

6 thoughts on “শ্মশানে কাঁদছে ভালবাসা

  1. জন্ম নিলে মরবে একদিন জীবন মানে মরণ,
    লক্ষ্মণ বলে সময় আছে ধর গুরুর রাঙাচরণ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. মহা সত্যের উচ্চারণ প্রিয় কবি দা। 

  3. শুভকামনা প্রিয় কবি ভাণ্ডারী ভাই। ভালো লিখা। 

  4. জন্ম নিলে মরবে একদিন জীবন মানে মরণ। খাঁটি কথা কবি দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  5. আমাদের জীবন ভাবনায় পরিবর্তন আসুক।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।