শেষ আশা

অফিস চলাকালীন সময়ে সকালের টিফিনের একটা নির্ধারিত সময় আছে। সময়টা হলো, সকাল ১১ টায়। তা নাকি বাংলার সকল কর্মস্থলেই এই সময়টা নির্ধারিত থাকে। আমি যেই অফিসে চাকরি করি, সেই অফিসের সামনেই দুই-তিনটে চা’র দোকান। দোকানদারকে চা’র অর্ডার দিয়ে দুটো কাচ্চা বিস্কুট হাতে নিয়ে খাচ্ছিলাম। সামনে পরিচিত একজনকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, দাদা কেমন আছেন? জবাব পেলাম, মোটামুটি। জিজ্ঞেস করলাম, তো আপনার ছেলের চাকরিটা হয়েছে? জবাবে লোকটি বললেন, না দাদা, হয়নি! সব আশা-ভরসাই মাটি হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করলাম, তো এখন কি করছে? আক্ষেপ করে বললেন, গার্মেন্টস ছাড়া আর উপায় কি, বলুন! আশা ছিল একরকম, হয়ে গেলো আরেকরকম! মনের আশা মনেই থেকে গেল দাদা! শুনলাম, শান্তনা দিলাম। দুঃখপ্রকাশ করলাম। অফিসে চলে এলাম। নিজের করা কিছু আশা নিয়ে ভাবতে লাগলাম! কিছু আশা পূর্ণ হয়েছে, কিছু হয়নি। কিছু আবার নতুন করে দেহ মনে জন্ম নিতে শুরু করেছে।

আচ্ছা, সকল মানুষের সব আশা কি পূর্ণ হয়? মনে হয় না! আশা তো প্রতিটি মানুষের জীবনসঙ্গী। তা জন্ম থেকেই আশা নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে। আশা নিয়ে আমি নিজেও বেঁচে আছি। আমি কোনোএক সুন্দর সময়ে এই পৃথিবীতে এসেছিলাম। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বড় হবার সাথে সাথে মনের ভেতরে অনেক আশাও জন্ম হয়েছিল। আমার মতো এই পৃথিবীর সকল মানুষের মনেও কোনও-না-কোনও আশা থাকে। তাঁরাও আশা নিয়ে বেঁচে আছে। যারা মৃত্যুবরণ করেছে, কারোর মনের আশা পূর্ণ হয়েছিল বা কোরর হয়নি। আর যারা আশা পূর্ণ করার চেষ্টা করে বেঁচে থাকতে চাইছে, তাঁদের মধ্যে কারোর আশা পূর্ণ হবে, কারোর হবে না। এটা পৃথিবী নামক গ্রহটি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়মেই হয়ত চলতে থাকবে।

সবার একটি সুন্দর নির্দিষ্ট সময়ে এই পৃথিবীতে আসা। কিছু সময় পরবাসী হয়ে থাকা। অতঃপর চলে যাওয়া। আসা-যাওয়ার মাঝখানের সময়টুকুতে যতো আশা, চাওয়া-পাওয়া। আশার সাথে আমরা সবাই দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছি। কারণ, আশা নিয়েই তো মানুষের জীবন। জীবন নেই তো আশা নেই। প্রাণ আছে তো মন আছে। মন আছে তো আশা আছে। আশা আছে তো জীবন আছে।

মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হবার পরপরই সবার দেহ মনে নতুন করে আশার জন্ম হয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ হতে কিছু সময় বা কাল আমাদের সকলেরই অতিক্রম করতে হয়। যেমন: শিশুকাল, কিশোর, তরুণ, যুবক, মধ্য, প্রৌঢ় ও বৃদ্ধকাল। এসব সময় বা কালের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের মনের আশাও পরিবর্তন হতে থাকে। যেমন: শিশুকালে মনের আশা থাকে মজার মজার খাবার। সুন্দর সুন্দর খেলনাপাতি। কিশোরে ভালো ভালো জামা-কাপড়, খেলা-ধুলা, লেখা-পড়া, দৌড়া-দৌড়ি। যুবক বা যৌবনকালে কেউ লেখাপড়া শিখে, চাকরি-বাকরি করে মানুষের মতো মানুষ হবার আশা। কেউ করে প্রেমে সফল হবার আশা। মধ্য বয়সে সংসার নিয়ে ভাবনা, সন্তানাদি মানুষ করার আশা। প্রৌঢ়তে সন্তাদের সুন্দর সুখের জীবন দেখার আশা। বৃদ্ধকালে রোগে- শোকে না ভুগে মরার আশা।

এছাড়াও একজন মানুষ অনেক অনেক আশা করে বেঁচে থাকে। কারোর আশা আকাশছোঁয়া, কারোরটা থাকে ছোট। ছোট ছোট আশাগুলোই একসময় মনের অজান্তেই মানুষের পূর্ণ হয়ে যায়। কেউ আবার আকাশছোঁয়া আশা মনের ভেতরে জমা করে রাখে। ভাগ্যগুণে কারোর আবার আকাশছোঁয়া আশাও পূর্ণ হয়ে যায়। যেই আশা পূরণ হবার কথা ছিলই না, সেই আশাও পূর্ণ হয়ে যায়–বিধাতার ঈশারায়। সাধনার বলে যদি মহান সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করা যায় তো কথাই নেই। তাঁর দয়ায় এই নশ্বর ভবসংসারে কী-ই-বা না হয়? মনের আশা পূর্ণ করার মালিক একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা। মহান সৃষ্টিকর্তা রাজি হয়ে গেলেই, মানুষের মনের আশা পূর্ণ হয়ে যায়। মহান সৃষ্টিকর্তা দয়ায় মানুষের আকাশছোঁয়া আশাও পূর্ণ হয়েছে অনেক। হয়েছিল আকাশের তারা হাতে পাবার মতো অবস্থাও! যা ইতিহাস কথা বলে! বাদামওয়ালাও দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিল। চা বিক্রেতাও একদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। ভিখারির ছেলেও কোটিপতি হয়েছে বা হচ্ছেও। সবই হয়েছে মনে আশা নিয়ে চেষ্টার বিনিময়ে। আশা পূর্ণ করার দায়িত্বে ছিল স্বয়ং মহান বিধাতা।

তবে আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি অভাবের সংসারে। আমাদের সংসারে আর যাকিছুই ছিল, তারমধ্যে অভাবই ছিল অন্যতম। আকাশছোঁয়া আশা কখনো করিনি। নিদ্রিতাবস্থায় কখনো কল্পনার জগতে ভেসে গিয়ে তেমন কোনও স্বপ্নও দেখিনি। রাতের আঁধারে আকাশের তারা জ্বলতে দেখেছি! হাতে পাবার আশা করিনি। যেই আশা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, তা নিয়ে কখনো ভাবিওনি। আশা যে করিনি তা কিন্তু নয়! করেছি ছোট আশা। তবে আশার সাথে পাল্লা দিয়ে কখনো দৌড়ঝাঁপ দেইনি। মনে মনে আশা করে এর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য স্রষ্টার উপর ছেড়ে দিয়েছি। গাছ রোপণ করে আগাম ফলের আশা কখনওই করিনি। গাছের দেখাশুনা, আর পরিচর্যা করেছি মাত্র। এমনিতেই ছোট-খাটো কিছু আশা পূর্ণ হয়েছে। গাছে ফুল ফুটেছে, ফলও ধরেছে। এর স্বাদও গ্রহণ করেছি।

যৌবনে এক মেয়েকে একনজর দেখে জীবনসঙ্গী করার আশা করেছিলাম। প্রার্থনা করেছিলাম মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে। মনের সেই আশা মহান সৃষ্টিকর্তা পূরণ করেছে। যা আমার জন্য ছিল আকাশের তারা হাতে পাবার মতো। মহান সৃষ্টিকর্তা দুটি সন্তানও দিয়েছিল আমাদের ঘরে। বর্তমানে বংশে প্রদীপ জ্বালানোর মত কেউ নেই। আছে শুধু এক মেয়ে। তাও পরের ঘরে নিজের সন্তানাদি নিয়েই সবসময় ব্যস্ত থাকে। মেয়ে তো আর আমার সমাধিতে প্রদীপ জ্বালাবে না। ছেলে হলে পারতো। ছেলে বেঁচে নেই! বিধাতার ডাকে সারা দিয়ে ২০১১ সালের মাঝা-মাঝি সময়ে এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে। ছেলেকে ঘিরে সব আশাই নিরাশ হয়ে গেল! ওর মরদেহ চিতার আগুনে ছাই করার সাথে ওকে নিয়ে নিজের আশাও ছাই করে দিয়েছিলাম। এখন আর এনিয়ে তেমনকিছু ভাবি না তবে ছেলের ছবিটা রয়ে গেছে মোবাইলের মেমরি কার্ডে। স্মৃতিতে আর মনের টেলিভিশনের পর্দায়।

একসময় মেয়েটা যখন বিয়ের উপযুক্ত হয়েছিল, তখন ভেবেছিলাম টাকার অভাবে মেয়েটাকে কোনওদিন বিয়ে দিতে পারবো না। কারণটা ছিল শুধু সীমিত আয়ের মাঝে অভাবের সংসার। ১৯৮৭-৮৮ সালের কথা। নামমাত্র বেতনে টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতাম। পুরো মাস কাজ করতে পাড়লে বেতন পেতাম মাত্র ১৭০০শো টাকা। এই ১৭০০শো টাকা দিয়েই চলতো ঘর ভাড়া, খাওয়া, চিকিৎসা সহ নিজের পকেট খরচ। তবুও না খেয়ে থাকতাম না কোনদিন। ১৭০০শো টাকায় তখনকার সময়ে ভালোভাবেই চলতে পারতাম। ব্যালেন্স না থাকলেও, দেনা ছিলাম না।

ছেলে- মেয়ে দুটো জন্ম নেওয়ার পর নিজের মনের ভেতরেও অনেক আশার জন্ম হলো। ওদের লেখা-পড়া শেখাবো। ছেলেটা ইন্টারমিডিয়েট পাসও করেছিল। আশা ছিল ছেলেকে বিয়ে করাবো,। কিন্তু তার আগেই না ফেরার দেশে স্বর্গীয় হলো। আশা ছিল মেয়েকে এক গরিবের ঘরে বিয়ে দিবো। মেয়ে এস.এস.সি পাস করার পরপর যখন কলেজে ভর্তি হবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনওই বিয়ের প্রস্তাব এলো। আমি তখন কাজ করি সিরাজগঞ্জ বেলকুচি থানা এলাকায়। খবর পেয়ে মনে আনন্দের হতাশা সাথে নিয়ে চলে এলাম নারায়ণগঞ্জে।

সবকিছু শুনলাম, দেখলাম, বুঝলাম। কিন্তু কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পারিনি। যদিও ছেলে পক্ষ থেকে কোনও দাবি-দাওয়া ছিল না, তবুও হিন্দুদের বিয়ে বলে কথা! যার কিছুই নেই, তাঁর মেয়ে বিয়ে দিতে হলেও অন্তত ভরি খানের সোনার প্রয়োজন হয়। তারমধ্যে আমার তো কিছুই ছিল না। মনে আশা বেধে শরণাপন্ন হলাম মহান সৃষ্টিকর্তার। যিনি সকলের মনের আশা পূর্ণ করে থাকেন। আমার প্রার্থনায় সৃষ্টিকর্তা সাড়া দিলেন। মেয়ের বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক হলো। কেউ দিলো হাতের বালা। কেউ দিল কানের দুল। কেউ দিলো গলার হার। কেউ দিলো বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার খরচ। নিজে সামান্য কিছু টাকা ধারকর্জ করে মেয়ের বিয়ের কার্যসম্পাদন করেছি। মনের আশা কখনো অপূর্ণ থাকে না। আশার মতো আশা করতে পাড়লে, তা পূর্ণ হয়-ই-হয়!আমার মনের আশাও মহান সৃষ্টিকর্তা পূরণ করেছেন।

একসময় অনলাইনে অনেক ঘোরা- ফেরা করতাম। বিভিন্ন ব্লগে ভিজিট করে ব্লগারদের লেখা কবিতা, গল্প, নাগরিক সমস্যা নিয়ে লেখা পড়তাম। মনে আশা করে ভাবতাম! আশা করতাম, যদি আমি তাঁদের মতো লিখতে পারতাম, তাহলে আমার নগণ্য লেখাও মানুষ পড়তে। একসময় চেষ্টা করলাম। ব্লগে নিবন্ধিত হলাম। লেখা জমা দিলাম। লেখা প্রকাশ হলো। লেখায় মন্তব্য করা শুরু হলো। মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়েই, নিজেই ব্লগার টাইটেল পেয়ে গেলাম। আশা অপূর্ণ থাকে না। চেষ্টা বিফলে যায় না। মহান সৃষ্টিকর্তা কারোর মনের আশাই অপূর্ণ রাখে না। একভাবে-না-একভাবে মনের আশা পূর্ণ হবেই হবে। যা বাস্তবে সম্ভব নয়, তা মহান সৃষ্টিকর্তা নিদ্রিতাবস্থায় স্বপ্নে পূর্ণ করে দেয়। সারাদিন মনে মনে যা নিয়ে বেশি ভাবি, চিন্তা করি। তা রাতে নিদ্রিতাবস্থায় স্বপ্নে কল্পনার জগতে দেখতে পাই। দেহের চালিকাশক্তি নাকি মন।

মনের জোরে মানুষ অনেক অসাধ্য কাজও সমাধা করে ফেলতে পারে। অনেকে করেও। মনে আশা নিয়ে মনের জোরে হিমালয় জয় করে ফেলে। মহাসাগর পাড়ি দেয়। চাঁদের দেশে যায়। আশা নিয়ে ডাক্তারি পড়াশুনা করে ডাক্তার হয়। অনেক বড় আশা করে মানুষের খেদমত করার উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। চেষ্টা করে। মানুষের ধারে ধারে যায়। নির্বাচনে জয়ী হয়। এ হলো আশা, মনের আশা! যা মানুষের মনে যখন-তখন জন্ম হয়। আশা জন্মানোর কোনও সময়সূচী নেই বলেই মনে হয়। আমার মনে এখন একটা আশা জন্ম নিয়েছে। তা হলো, মেয়ের ঘরে দুটো নাতিনের বিয়ে দেখে যাওয়া। নাতিন দুটোর বিয়ে দেখাই হোক আমার জীবনের শেষ আশা। প্রার্থনা করি মহান সৃষ্টিকর্তা যেন আমার শেষ আশা পূরণ করে।

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

16 thoughts on “শেষ আশা

  1. খুব সুন্দর লেখা-আশা জাগানিয়া

    পূর্ণ আর পূর্ণতাতেই বাঁধা আমাদের জীবন

    1. দুটো নাতিনকে দেখে-শুনে বিয়ে দিতে পাড়লেই আমার শেষ আশার পরিসমাপ্তি হবে বলে আশা করি। তারপরও মানুষের মন বলে কথা! এরপরও যদি আরও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকি, তখন হয়তো ওদের ঘরে সন্তানাদিও দেখে যাবার আশা দেহ মনে জাগতে পারে। সেটা পরের ব্যাপার, আগে বিয়ে। বয়স হয়েছে তো, তাই এমন চিন্তাভাবনা মনের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। আপনাদের সকলের আশীর্বাদ থাকলে দেখে যেতে পারবো বলে মনে করি। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।

  2. আশা বা শেষ আশা নিয়ে আপনার লিখাটি পড়লাম মি. নিতাই বাবু।

    জীবনের কথা গুলো শেয়ার করতে পেরে নিশ্চয় কিছুটা হালকা বোধ করছেন এখন। আমিও বিশ্বাস করি, আশা নিয়েই মানুষের জীবন। জীবন নেই তো আশা নেই। প্রাণ আছে তো মন আছে। মন আছে তো আশা আছে। আশা আছে তো জীবন আছে।

    বহু ঘাত প্রতিঘাত আর লড়াই শেষে জীবনের এই পর্যায়ে এসেছেন। চাই আপনার শেষ আশাও ঈশ্বর পূরণ করুন। জীবনের শেষ চাওয়া বলতে একটা কথা আছে। সবারই থাকে। অপূর্ণতা নিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলে সেটা হবে দুঃখজনক। এমন নির্দয় ঈশ্বর নন। :(

    1. জীবনের সবকিছুই শব্দনীড় প্লাটফর্মে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কিন্তু মনের শেষ আশাটাও শেয়ার করে হালকা হলাম, শ্রদ্ধেয় দাদা। আপনাদের আশীর্বাদ, আমার শেষ আশা পূরণের সহায়ক। সুন্দর মন্তব্য দানে বাধিত করলেন। আশা করি ভালো থাকবেন। 

  3. জীবনের এই পূর্ণ আর অপূর্ণতা এবং আশাবাদ আমাদের অনেকের মনের কথা হবে। 

    1. নিজের মনের কথা, মনের আশা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে মনটাকে একটু হাল্কা করলাম শ্রদ্ধেয় দাদা। আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।

  4. আশা নিয়েই বাঁচি দাদা। আপনার লেখার সাথে আমার মনের অদ্ভুত মিল। :(

    1. আপনাদের আশীর্বাদে আমার শেষ আশা পূরণে সহায়ক বলে মনে করি। তাই মনের শেষ আশা নিয়ে লিখে সবার মাঝে শেয়ার করলাম শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি।

  5. আশা নিরাশায় জীবন পার করছি দাদা। আপনার জীবনের কথা গুলো পড়ে ব্যাথিত হলাম।

    1. প্রায়খানেই আমি আমার নিজের জীবন নিয়ে সত্যটাই প্রকাশ করতে পছন্দ করি। তাই এখানেও করেছি শ্রদ্ধেয় দাদা। আমার জীবনটাও এক ব্যথিত জীবন। 

    1. আপনাদের আশীর্বাদে হয়তো আমার মনের শেষ আশাটা বাস্তবায়ন হবে। মনের আশা নিয়ে লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি এই কারণে যে, বয়স হয়েছে তো তাই। কখনযে ওপারের ডাক পড়ে যায়, কে জানে! চোখের সামনে কতো সমবয়সীদের চলে যেতে দেখেছি! তাই নিজের মনেও চলে যাবার উলুধ্বনি জেগে ওঠে।

      ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় সাজিয়া আফরিন দিদি। ভালো থাকবেন আশা করি।

  6. মানুষের সব আশা কি পূর্ণ হয় না। এটা মাথায় রেখেই চলতে হবে। 

    1. এই আশা মনে রেখেই চলছি ফিরছি, বেঁচেও আছি শ্রদ্ধেয় দাদা। জানি না, শেষ আশাটা পূরণ হয় কিনা।

    1. আমার তিনটে নাতি-নাতিনদের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।