তাসলিমা তুবা। মায়ের অপেক্ষায় ব্যর্থ প্রহর গুনছে।
স্কুল-কলেজে চেয়ারে পায়ের ওপর পা রেখে
বসে থাকা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও গুজবে বিশ্বাসী
প্রধান শিক্ষক এবং তার শিক্ষকমণ্ডলী,
তোদের সবার মুখে কর্দমাক্ত জুতা মারি।
কথা ছিলো জাতিকে আলো দেখাবি
কুসংস্কার থেকে বের করে শুদ্ধ করবি,
কিন্তু কি করে ওহে অগা,
তোরা নিজেরাই তো অন্ধকার লালনকারী।
তোদের মূর্খতার দরুন হুজুগে জনতার হাতে
একজন নিরপরাধ মা হয়েছে বলির পাঁঠা,
এতিম হয়েছে দুই শিশু তাসফিক-তুবা
মুলতঃ তোরাই তো এ কাজের মদদদাতা।
হে শিক্ষিত সমাজ শোন গভীর মনোযোগে
পার পেয়ে যাবি খুব সহজে তাই ভাবছিস,
একদিন সময় আসবে রেণুরও
সেদিন আত্মকর্মের কথা স্মরণ করিস!
এই শিশু মুখ কি পবিত্র। এই শিশুটিও নিশ্চয়ই স্বজন হারিয়েছে। সমবেদনার ভাষা নেই।
সমবেদনা জানিয়ে কি হবে?
না হত্যাকান্ড বন্ধ হবে, না বিচারব্যাবস্থা ঠিক হবে।কিছুই হবে না।
একদিন সময় আসবে তাসলিমা তুবা'রও। মায়ের অপেক্ষা আর নয়। শক্ত হও।
শক্ত হও।
শেষমেষ আমাদের একথাই শুনতে হয়।
এই দেশের মানুষের মগজ হারিয়ে গেছে। এ বিচার কি জিনিস ভুলে গেছে। এরা অস্থির, উন্মাদ লহয়ে গেছে। মানুষ পেটাতে পেরে এরা পাশবিক সুখ পায়। এ বদ্ধ উন্মাদদের দেশে বেচে থাকা অত্যাশ্চর্যজনক বিষয়।
এটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে সাধারন মানুষের মনে।তারা ভাবে কে বাচলো আর কে মরলো তাতে আমাদের কি আমি তো ঠিকি আছি।
অসুস্থ্য সমাজ সিন্ড্রোম এটা। সাপের মত মানুষ মারে এবং বাকিরা চেয়ে চেয়ে দেখে! ধরলাম, কেউ সত্যি সত্যি ছেলে ধরা; তাই বলে কী মানুষ মানুষকে মারবে?!!!
"যা ফিরিয়ে দিতে পারোনা তা কেড়ে নিয়োনা"!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সামাজিক এই নৃশংস ভয়াবহতা আর ভালো লাগে না।
ভালোভাবে বাঁচতে হলে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।