মাহমুদুর রহমান এর সকল পোস্ট

মাহমুদুর রহমান সম্পর্কে

আমার নাম- মাহমুদুর রহমান। ভালো লাগে পড়তে, লিখতে ও বুদ্ধিমান লোকেদের সাথে আড্ডা দিতে।

হোম কোয়ারেন্টিনের দিনগুলো-১

hhyui

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্রেক আর উৎকণ্ঠায় দিবস-রজনী পার করছি। দেশের অবস্থা প্রতিদিনই ভয়াবহতায় রুপ নিচ্ছে। আমি চিন্তিত। আমি শঙ্কিত ভীষন। করোনা নিয়ে মানুষ এখনও পুরোপুরি সচেতন হয়ে উঠেনি। মানুষ এখনও অবজ্ঞা আর অবহেলায় দিন পার করছে। আমার এক সিনিয়র সেদিন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন, ৫-৬ জন আক্রান্ত নয় বরং সরকারে বলা উচিৎ ৫ লক্ষ আক্রান্ত। তাহলেই বাঙ্গালী ঘরে ঢুকে যাবে, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী বেদম প্রহার করবে সবাইকে। আমি তার এই স্ট্যাটাসে মন্তব্যে রাখি আগে উচিৎ হবে দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া। তাহলে সমস্যা সমাধান হবে। তিনি আমার এই কথার কোন উত্তর দেন নি। আগ্রহ নিয়ে তার প্রোফাইলে ঢুকলাম। বায়োতে লিখা ছিলো, Judge me, I will prove you wrong. আমি দেরী না করে বন্ধু তালিকা থেকে তাকে বিদায় জানাই। আমার মাথামোটা লোক একদমই পছন্দ না।

আমাদের এই সোনার দেশে অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেন। ধনী যারা গরীবদের দেখে তাদের অবস্থা ধরি মাছ না ছুই পানি। অথচ তারা যদি আমাদের প্রতি সত্যিকার অর্থে করুণার সুরে তাকাতো আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাঙ্গালীর ভাত নিয়ে কোন চিন্তা করতে হতো না। ধনীরা গরীবদের মূল্যায়ন করতে চান না। সমস্যা এই জায়গাতেই। আমার একজন সিনিয়র একদিন তার স্ট্যাটাসে তার অফিসের চেয়ারম্যান সাহেবের একটি উক্তি তুলে ধরেন সেখান লিখা ছিলো, আপনার পরিবারের সকল চাহিদা পূর্ণ করার পর বেঁচে থাকা অর্থ জনগণের। কতই না মেধাবী তিনি। তার মতো সকল ব্যক্তিগণ যদি এভাবে ভাবতো আমাদের ভিন্ন কোন দেশের কাছে টাকার জন্য দুহাত বাড়াতে হতো না। আর আল্লাহ সেই ব্যক্তি সেই জাতিকে ভিক্ষার রাস্তা খুলে দেন যারা অভাবের রাস্তা খুলতে চান নিজেদের জন্য। ইশ্ মানুষ যদি বুঝতো।

ব্লগার রাজীব নূর তার একটি স্ট্যাটাসে বলেছেন, আমাদের মতো দরিদ্র দেশে এক বছর না, তিন বছরের খাবার মজুত রাখা দরকার। খরা, বন্যা ও ঝড় তো প্রতি বছরই লেগে আছে। হোমো সেপিয়েন্স নামের এই প্রজাতিটা পৃথিবী জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে অন্য সব প্রজাতি অনেক ভালো থাকবে। বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের সাথে আমি এক অসাধারন মিল খুঁজে পেয়েছি তার এই কথাগুলোর সাথে। বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের দরিয়া কূলে হরেক রকম প্রাণ দেখা গেছে। কোথাও হরিন হরিণী নৃত্য করছে, কোথাও কাঁকড়ার দলো উৎসব আয়োজন করছে আবার দরিয়ার পানিতে হরেক রকমের মাছেদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এই দৃশ্যগুলো কতই না নজর কাড়া। প্রাণীগুলোকে দেখে মনে হচ্ছে, তারা স্বস্তির সাথে শ্বাস ফেলছে। আমি এক নাগাড়ে তাকিয়ে ছিলাম সেগুলোর দিকে। মানুষ কত জালিম হতে পারে চিন্তা করা যায়? আপন মাতৃভূমির নিরীহ প্রাণীদের সাথে কি ধরনের আচরন করতে হয় তারা আজও সেটা শিখেনি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনি এসব প্রাণীগুলোকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে জাতির বিবেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

আজ সকল অত্যাচারী সীমা লঙ্ঘনকারী শাসক গণ কোথায়? তারা নাকি অমুক জাতিকে তমুক জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন। পৃথিবীতে রাজত্ব করবেন। আজ তারা সবাই পালিয়ে গিয়েছেন। তাদের মনে ভয় ঢুকেছে। তারা বোঝে, আল্লাহর আযাব বড্ড কঠিন। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দিন আগে বলেছিলেন, লক্ষাধিক মৃত্যু না হলে তিনি খুশী হবেন। একজন প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি নিজ জাতির প্রতি এমন একটি অবজ্ঞা মূলক কথা বললেন কি করে আমি এটা ভেবেই ক্লান্ত। আসলে তিনি দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন না এটাই হবে হয়তো। কারণ একজন মানুষ যখন দায়িত্ব নেন তখন তার প্রধান কর্তব্য হচ্ছে নিজেকে মানবতার স্বার্থে বিলিয়ে দেয়া। আর এই কাজটা করেছেন, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। যিনি মৃত্যুকে সামনে রেখে মানবতার কল্যাণে আপন পেশায় ফিরে গিয়েছেন। তার প্রতি আমার অবিরত শ্রদ্ধা।

.
চলবে-

করোনাকাল

ed-1-226

করোনায় সবকিছু নির্বাক স্তব্ধ
হোম কোয়ারেন্টাইন চির শিরোধার্য
করোনা হিংস্র এটা মহাসত্য।

কারও চোখে ঘুম নেই করোনা আসন্ন
করোনার বিস্তার ছুঁয়েছে দিগন্ত
সব দেশ সব জাতি হৃদয়ে বিষণ্ন,
সবার অনু ভাবনায় শুধু একটাই প্রশ্ন
কখন যে হবে ভোর আসবে হেমন্ত।

তৈরি হও নওজোয়ান

images1f

কই রে তরুন দল
বন্ধ মুখ আব খোল
রহীমের রাস্তায় অবিচল

পুবে রক্তিম ধরনি কোন
পশ্চাতে উত্তাল মনন
উত্তরে শের করে গর্জন
দক্ষিনে বাতাসের সুরে রণ।

তৈরি হও নওজোয়ান
কইরে রে মুয়াজ্জিন
বন্ধ মুখ আব খোল।

কর রে নওজোয়ান
রিজিকের সন্ধান
অশান্তির দুয়ারে বাজাবো
শান্তির আহ্বান।

আমার কণ্ঠে ইসলাম- সূরাহ ফাতিহা-১

সকলের প্রতি আল্লাহ তা’লার শান্তি ও দয়া বর্ষিত হোক।পরম করুনাময় ও মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু-
ইসলাম শব্দের অর্থ আল্লাহকে এক উপাস্য ও মুহম্মদ কে আল্লাহর রাসূল বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা।আল্লাহর পরিচয় হচ্ছে আল ইলাহ।এখানে আল শব্দের অর্থ একমাত্র আর ইলাহ শব্দের অর্থ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা।কাজেই আল্লাহ শব্দের অর্থ একমাত্র সৃষ্টিকর্তা।।অন্যদিকে মুহম্মদ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রশংসিত।আর এই প্রশংসিত ব্যক্তি হচ্ছে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। রাসূল শব্দের অর্থ হচ্ছে যিনি আল্লাহর বার্তাবাহক আর তার মাধ্যমেই আল্লাহ মানুষকে সতর্ক করে থাকেন।যুগে যুগে আল্লাহ এমন অনেক রাসূল প্রেরন করেছেন যেন তিনি মানুষ ও জিনকে সতর্ক করতে পারেন এবং সঠিক নির্দেশনা পৌঁছাতে পারেন। হযরত মুহ’ম্মদ (সঃ) ঠিক এমনই একজন ব্যক্তি। তার উপর মহান রাব্বুল আ’লামিন আল্লাহ একটি গ্রন্থ নাযিল করেন যার নাম আল কোরআন। এটি এমন একটি গ্রন্থ যেখানে আল্লাহর পরিচয় ও তার সৃষ্টিকুলের মধ্যে মানুষ ও জীনকে জীবন যাপনের বিষয়ে সকল প্রকার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।আর এই বিষয় নিয়েই আমার আলোচনা চলবে আল্লাহ যদি চান-

সূরাহ ফাতিহা বা উন্মুক্তকরন বা উদ্বোধন। এর শ্রেনী হচ্ছে এটি একটি মাক্কী সূরাহ অর্থাৎ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটাই আল্লাহর রাসূলের উপর আল্লাহর বান্দাদের জন্য নাযিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরাহ। এখানে সাতটি আয়াত বা বাক্য রয়েছে-
পরম করুনাময় ও অসীম মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি-
১- সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহ ও তার অধিবাসীদের প্রতিপালন করেন।
২- তিনি অসীম দয়ালু ও অসীম মেহেরবান।
৩- তিনি বিচার দিবসের মালিক।
৪- আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি আর তোমার কাছেই সাহায্য চাই।
৫- আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করো।
৬- তাদের পথ যাদের প্রতি তোমার দয়া ছিলো।
৭- তাদের নয় যারা তোমার নির্দেশ অমান্য করে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং তোমার লানতপ্রাপ্ত।

আমিন অর্থাৎ কবুল করো।

এখানে আলোচ্য বিষয় হলো, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, ভয় করা, সাহায্য চাওয়া এবং সতর্ক হওয়া।
যেমন- আমার খুবই বিপদ আর এমতাবস্থায় আমি এক্কেবারেই অসহায়। আমি এখন মুরুব্বীর কাছে পাঁচ হাজার টাকা ধার চেয়ে বসলাম। মুরুব্বী বললেন, আরে এটা তো দুধভাত। এই নিন টাকা পাঁচ হাজার। আমার হৃদয়ে যেন প্রাণ ফিরে এলো। আমি বললাম, দাদাভাই আপনার এই কথা আজীবন আমার স্মরণে থাকবে। তারপর আমি বিপদ্মুক্ত হলাম। তারপর থেকে মুরুব্বীকে দেখলেই সম্মানে আমার হৃদয় তার সামনে যেন বিগলিত হয়ে যায় অবস্থা। দেখা মাত্রই সালাম। এটাকে বলা হয় কৃতজ্ঞ ব্যক্তির পরিচয়। আল্লাহ তা’লা যেমন আমাদের আহার দিচ্ছেন, থাকার জন্য জায়গা দিচ্ছেন এবং পরার জন্য পরিচ্ছদ দিচ্ছেন এটাকে বলা হয় বান্দার প্রতি তার রবের অনুগ্রহ। এই জন্য আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বলা উচিত আলহা’মদুলিল্লাহ।

আল্লাহ বিচার দিবসের মালিক। এই মুসাফিরি জীবনে আল্লাহ আমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন আমরা যদি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি আর নাই করি কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার পর কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন না করে আল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করে জীবন যাপন করি বিচার দিবসে তিনি আমাদের এ সবকিছুর জন্য প্রতিফল দান করবেন। হতে পারে সেটা আমাদের জন্য যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি যার ভার তোলা অসম্ভব কিংবা একটি সুন্দর জান্নাত যা আমাদের পৃথিবী থেকেও অনেক বড় আর যার মালিক হবো আমরা প্রত্যেকে আর আল্লাহই সেটা দান করবেন। কাজেই উত্তম প্রতিফল পাওয়ার জন্য আল্লাহকে ভয় করে তার নির্দেশনাকে সামনে রেখে পথ চলতে হবে। এটা এই জন্য যে মানুষের মনে দয়া যেমন আছে, আছে জুলুমও। এখান আপনি অন্যের প্রতি দয়া করবেন নাকি জুলুম করবেন এটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু যদি আল্লাহকে ভয় করেন হাজার চাইলেও আপনি কিছুতেই জুলুম করতে পারবেন না অন্যের ওপর।

এখন শান্তি কে আছে যে না চায়? প্রত্যেকেই শান্তি চায় আর একটি চিরস্থায়ী জীবন চায়। এর জন্য উচিৎ হচ্ছে এমন একটি নীতিকে সামনে রেখে জীবন যাপন করা যা আমাদেরকে সেই শান্তিময় চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করাবে। আর সেটা হচ্ছে আল কোরআনকে সামনে রেখে জীবন যাপন করা আমাদের প্রত্যেকেরই অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ আমাদের জন্য সব বিধিবিধান এখানে বলে দিয়েছেন যা অনুসরণ করলে আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন প্রতিটি বিপদ-আপদে, জীবনকে করবেন সুন্দর ও সহজ। এর বিস্তারিত সামনে আসবে আল্লাহ যদি চান।

সতর্ক হওয়ার অর্থ হচ্ছে এমন অনেক মানুষ আছে যাদেরকে আল্লাহ তার তার যোগ্যতা মোতাবেক জীবনোপকরন দান করেছেন এবং তাদের অনেকে আছে যারা আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক করে অর্থাৎ আল্লাহর কাছে সাহায্য চায় পাশাপাশি এমন একজনের কাছে গিয়েও চায় যে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে পারে না। যেমন মুরুব্বীকে গিয়ে বললাম আল্লাহ যেমন আমার রব আপনিও আমার রব। আল্লাহ যেমন আমাকে সাহায্য করে আপনিও আমাকে সাহায্য করেন অথচ মুরুব্বী নিজেই আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল। এটাকে বলা হয় শরীক করা যাকে শিরক নামেও অভিহিত করা হয়। আবার এমনও অনেক ব্যক্তি আছেন যারা নামাজ পড়েন কিন্তু অন্যের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকেন কিংবা অন্যকে কষ্ট দেন। এই সকল ব্যক্তিদেরকে আল্লাহ তা’লা অভিশাপ দিয়েছেন এবং এদেরকেই আল্লাহ তা’লা পথভ্রষ্ট করেন। তাই সম্পূর্ণ আল কোরআনকে সামনে রেখেই জীবনে পথ চলতে হবে।

আশা করি সুরাহ ফাতিহার ব্যাখ্যার ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই কারো। থাকলে মন্তব্যে জানান চেষ্টা করবো নিজের ভুল সংশোধন করতে নতুবা সঠিকটা জানিয়ে দিতে।

আল্লাহ, আমাকে ও আপনাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুক।

করোনার ধাক্কা

চুপ চুপ চুপ কর
কোন ধ্বনি নয়,
করোনা এসেছে দেখ
সবে দূরে দূরে রয়।

কি একটা ভাইরাস এনসিওভি
ধরলে ছাড়ায় ক্রমে,
নাই কোন প্রতিরোধ
ক্ষমতা কি রে!

ওরে বাব্বাহ আমি বান্ধা
বাজারে যাওয়া মানা,
কর্তা বলে দিয়েছে
বিনাদেশে কোথাও যাবেনা যাওয়া।

মাথায় আসে না আমার
এখন কি করি,
ফন্দী এঁটেছে তাই
দুই হাত আকাশে তুলি।

অতঃপর বলি,

ওগো আল্লাহ মোরা বান্দা
এবার করো ক্ষমা,
মিথ্যার জালে ডুবে
মোরা করেছি অনেক গুনাহ।

তুমি মেহেরবান দয়ালু খুব
আর হবে না,
হাজারও খোশ আমোদে কভুও
ভুলে যাব না।

সাদা মেঘ নীল আকাশ

সাদা মেঘ নীল আকাশ
হৃদয়ে রাঙ্গা সুবাস,
খোলা প্রান্তর ছাড়িয়ে যেন
মনন বলছে আজ,
কি যে মধুর লাগে!
আহা মধুর লাগে।

আমি ডুব দিবো প্রান্তরে
দরিয়া যেখানে শেষ,
আমি ফুল হাতে ফিরবো
রাঙ্গাবো তোমার কেশ।

তুমি নীল আকাশে নীলিমা
গোলাপী তোমার মুখ,
আমি যত্নে বাড়াবো হাত
মুছব সকল দুঃখ।

তোমার দুঃখময় জীবনে আমি
ফোটাব আশোক ফুল,
কালো অনুভব জুড়ে আমি
ছিটাবো সোনালী হুল।

তুমি নিশ্চিন্ত থাকো ওগো
আমি বাটপার নই,
আমি অসুখে দুঃখে আসি
সুখেতে বিলীন হই।

আমি ভোগ করা শিখিনি
শিখেছি ত্যাগী হওয়া,
এই জীবন ও মরনে
তাই সেবছি ভালোবাসা।

ভালোবাসি তোমাকে

দেখতে তুমি কি অপরুপ!
তা-ই তো হৃদয়ে নিয়েছি নিশ্চুপ,
তোমার অজান্তে প্রতি দিবা-রাতে
করি সুখালাপ তোমাকে ভেবে।

হবে কি,
জোছনায় চাঁদের আলো মননে?
ও আমার,
কি যে ভালো লাগে তোমাকে!

আমার সম্মুখে বাস করো তুমি
আমি চুপিচুপি তোমাকে দেখি,
আমার ভাললাগার অগ্রে তুমি
তাই-তো তোমাকে ঘিরে জাল বুনি।

দিবো কি,
তোর মনে লাল গোলাপ রাঙ্গিয়ে?
ও আমার,
এই আমি খুবই ভালোবাসি তোমাকে।

উদ্দেশ্য একটাই, মুক্তি চাই

দুচোখে ঘুম নেই। প্রতিদিনই কাটছে হতাশা আর ব্যাঞ্জনায়। ভেবেছিলাম হয়তো খুব শীঘ্রই চলমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবো আমি, আমার মত হাজারও মানুষ। এই স্বপ্ন বুকে নিয়ে গ্রামে এসেছিলাম। কিন্তু না। সারা দিন-রাত ঘর বন্দী থাকতে হচ্ছে। সন্ধ্যায় ইচ্ছে হয় একটু দোকান-পাট থেকে ঘুরে আসি। দোকানে গেলে অনেক মানুষ আছে যাদের সাথে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলা যাবে। আর তারই মাঝে একটু খানি স্বস্তি খুঁজে নিবো। কিন্তু না সেটা আর হয়ে উঠছে না। এটাকে বাধ্যতামূলক বলবো নাকি পরিস্থিতির শিকার বলবো আমি জানি না। কিন্তু ঘুরে ফিরে কথা একটাই যাওয়া যাবে না কোথাও। সময় যত গড়াচ্ছে আমার মন ততই নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই মনটা যেন পাতালের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে সেটার অতল আঁধারে।

মোবাইলে জুম্মন সাহেব আমাকে এ সকল কথাই বলেছিলেন। আমি তাকে বলেছিলাম, আপনি ধৈর্য রাখুন জুম্মন সাহেব। গতকাল যে তরকারি দিয়ে ভাত খেয়েছিলেন আগামী দিন একই তরকারি দিয়ে ভাত খাবেন তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই। জুম্মন সাহেব বলেন সেটা অবশ্য ঠিক। কিন্তু মাহমুদ কি করে বোঝাই আমার কাছে এমন পরিস্থিতে ঘরবন্দী হয়ে থাকাটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। এক রোগ থেকে রক্ষা পেতে গিয়ে কখন আরও কয়টা রোগ এসে দানা বাধে কে জানে! আমি জুম্মন সাহেবকে আর কিছুই বোঝাতে যাই নি। কারন আমার অবস্থা তার মতই। তারপরও একটি মাধ্যম আছে বলে এখনও হাল ছাড়ি নাই। আর সেটা
হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ব্লগ। আল্লাহর দয়ায়, এ দুটোই আমার নিত্যদিনের পথচলার সঙ্গী। এখানে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার আলোকে বিভিন্ন পেশা-শ্রেনীর মানুষ বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রদান করে থাকেন। আর সেগুলোর মাঝে নিজের ভাবনাগুলোকে মিলানোর চেষ্টায় মশগুল থাকি।

গত দুইদিন ধরেই মনটা খুব স্থবির হয়ে আছে। পত্রিকায় আজকের শিরোনামগুলো কেমন যেন বিষন্নতায় পূর্ণ। শিরোনামের ভেতর লুকিয়ে থাকা প্রতিটি বিস্তারিত লেখাগুলো দুঃখ ভরাক্রান্ত আবেগ আর আতঙ্কে ভরা। যেমন- একটা ছেলে আত্মহত্যা করে। কারন ছেলেটির মা বাহিরে যেতে তাকে বাধা দিয়েছিলো। এতে ছেলেটি বড্ড ক্রোধান্বিত হয়ে আত্মনিয়ন্ত্রন হারিয়ে অবশেষে এই বোকামীপনাটা করে বসে। এতে তার কি কোন লাভ হয়েছে? মাঝে দিয়ে বেচারী মা’কে কষ্টে ফেলে দিল সে। আবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন না মানায় বড় ভাই আর তার বউ মিলে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এখন তারা জেলে। আবার দুজন কৃষক লকডাউনে কিভাবে দিন পার করবে কিভাবে সংসার চালাবে এই ভেবে আত্মহত্যা করে। দুধ কিনতে বের হওয়া এক যুবক পুলিশের লাঠির আঘাতে মারা গিয়েছে। আবার এক দোকানি মাস্কের দাম কম করে বিক্রয় করায় পাশের দোকানদার তার নাক মুখ ফাটিয়ে দেয়। আহারে মানুষ! কতটা কষ্টকর এই ঘটনা আর প্রেক্ষাপটগুলো। আমার বড্ড অসহ্য লাগে।

গতকাল আবার একজন মহিলা এসিল্যান্ড বাবার বয়সী তিনজন বৃদ্ধলোককে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কারন তারা ঘর থেকে রোজগারের আশায় বের হয়েছিলো আর তার ওপর তাদের কারোরই মুখে মাস্ক ছিলো না। এ দুটোই ছিলো তাদের অপরাধ। কতটা নিম্ন মস্তিস্কের মানুষ এই মহিলা। তার মুখে ওয়াক থু।

আজ সারা পৃথিবীর মানুষ কত অসহায়! প্রাণ থাকতেও নিষ্প্রাণ প্রতিটি চেহারায় এক দিগন্ত মুমূর্ষুতার ছাপ স্পষ্ট। বুকফাটা হাহাকারে পরিপূর্ণ প্রতিটি মন মনন। কেউ কি কখনও ভেবেছিলো গতকাল তারা যেমন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলো আজ তাদেরকে এমন ভয়ানক একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে? আমরা মানুষ। আমরা খুবই আত্মকেন্দ্রিক। এক্ষেত্রে ধনী গরীব কোন ভেদাভেদ নেই। এই বিলাসিতার মাঝে থেকে আমরা নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ হারিয়ে ফেলি কিংবা ভুলে যাই। আমরা ভুলে যাই এই সমাজের নিকট, সমাজের প্রতিটি পেশা-শ্রেনীর মানুষের নিকট আমরা দায়বদ্ধ। হয়তো সামাজিকভাবে নয়তো অন্য যে কোনভাবে। আমরা ভুলে যাই মানুষের প্রতিফল তার কর্মের ওপর নির্ভরশীল। যে যেমন কর্ম করবে সে তদ্রুপ ফল ভোগ করবে। আর করোনা আমার কাছে তেমনি একটি প্রতিদান আল্লাহর পক্ষ থেকে। এটা গোটা বিশ্বকে নিশ্চুপ করে দিয়েছে। ইস্রায়েলের আগ্রাসন, মিয়ানমারের আগ্রাসন, এ আই এস আই এস এর আগ্রাসন, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন, ভারতের আগ্রাসন সহ সব ধরনের অমানবিক আগ্রাসন থামিয়ে দিয়েছে করোনা।

তাই সবরকম ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানবতার স্বার্থে প্রত্যেকে এখন যার যার অবস্থান থেকে খুঁজে চলেছে মুক্তির সোপান। দিন-রাত এক করে গোটা পৃথিবী একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের উদ্দেশ্য একটাই, মুক্তি চাই।

স্বদেশীয় ডায়েরীর আজকের পাতায়-৩

১-
মন্ত্রীপরিষদ থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ২৬শে মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল সকল আদালত ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে স্ব স্ব পোস্টিং এ অবস্থান করতে হবে। আর এটা বাধ্যতামূলক উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে এটা কি তারা আসলেও মানবে? কারন সবাই তো এখন বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়বে। কিন্তু না বিজ্ঞপ্তিতে আরও যোগ করা হয়েছে যে সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সকল গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

২-
শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামকে করোনা ভাইরাসের জন্য সন্দেহজনক এলাকা ভাবা হচ্ছে। আমাদের দেশে কোন এক অপদার্থ বলেছিলো, করোনা মোকাবিলায় কোন কিছুর ঘাটতি নেই আমাদের। অথচ আজ জানা গেল সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস বা বিআইটিআইডিতে নেই কভিড-১৯ পরীক্ষার কিট। যার ফলে ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য কিছুই করতে পারছেন না তারা। অথচ এই হাসপাতালে প্রায় এক মাস আগে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক আইসোলেশন স্থাপন করা হয়।

৩-
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কয়েকজন অভিজ্ঞলোকের করোনার আলামত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেনঃ

ক: পুরো শরীর জুড়ে অসহনীয় ব্যাথা থাকবে। মনে হতে পারে আপনার মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে, সেই সাথে চোখ জ্বালা, গলা ব্যাথা। এগুলো করোনা রোগীর প্রথম লক্ষণ।

খ: কানের ভেতরে মাঝামাঝি এবং ভেতরের অংশের মাঝখানে ইউচটাচিয়ান টিউব থাকে। মাঝে মধ্যে ইউচটাচিয়ান টিউবে চাপ দিয়ে দেখতে হবে ব্যাথা আছে কিনা।

গ: প্রচন্ড মাথা ব্যাথা থাকবে। মনে হতে পারে কেউ মাথায় সজোরে আঘাত করছে।

ঘ: চোখ জ্বালা, চুলকানি থাকতে পারে। সেই সাথে শরীরে জ্বর থাকবে।

ঙ: প্রচন্ড গলা ব্যাথা থাকবে। শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হবে, খাবার খাওয়ার সময়ও অনেক ব্যাথা হবে গলায়।

চ: পুরো শরীরে ব্যাথা থাকবে। কেবল কান বা বুকে নয়। সেই সাথে হাত এবং পায়েও ব্যাথা থাকবে।

৪-
মহানবী হযরত মুহ’ম্মদ (সঃ) বলেছেন, যখন তুমি কোন ভূখণ্ডে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনতে পাও তবে তুমি সেখানে প্রবেশ করো না। পক্ষান্তরে সেটা যদি তোমার অবস্থানস্থলে পৌঁছে যায় সেই স্থান ত্যাগ করো না। মহানবী(সঃ) আরও বলেন,সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থদের থেকে দূরে থাকবে। এছাড়াও মহানবী (সঃ) লোকজনদেরকে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেন।

এই অল্প কয়টি কথায় অনেক শিক্ষণীয় বিষয় লুকায়িত আছে। আর সেসব নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

৫-
করোনার প্রকোপ যখন বাংলাদেশে ঠিক এমনই একটি মুহূর্তে বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার অর্ডার ও ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান “ফুডপান্ডা” নিয়ে এসেছে সচেতনতার বার্তা। গ্রাহক, রেস্টুরেন্ট পার্টনার ও রাইডারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তারা ক্যাশবিহীন পদ্ধতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করছে সবাইকে। গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য খাবার তাদের বাসা কিংবা অফিসের সামনে পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়াও সম্প্রতি লাইফবয়ের সাথে একটি চুক্তি করেছে যার অধীনে ফুডপান্ডার সকল রাইডার এবং রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের লাইফবয় হ্যান্ড ওয়াশ প্রদান করা হবে যেন প্রত্যেকে সচেতন হতে পারে। তবে এর পাশাপাশি আরও একটি কাজ করছে ফুডপান্ডা আর সেটা হলো, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রথমে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও তাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীদের বিনামূল্যে ২০ হাজার খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করছে ফুডপান্ডা। আমি দোয়া করি আল্লাহ তাদের ব্যবসায় বরকত দান করুক।

করোনা প্রতিরোধে ভুলভাল পদক্ষেপ

করোনায় বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ইতালী। দিনের পর দিন দেশটি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৭৭ জনে। একেরপর এক স্বজন হারাতে হারাতে জনমনে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা যেন আরও কয়েকগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই মিনিট অন্তর একজন করে মারা যাচ্ছেন সেখানে। এখন ইতালী যেন এক মৃত্যুপুরী। আর এই ইতালীর হাত ধরেই বাংলাদেশে আঘাত হানে করোনা।ওয়ার্ল্ডও মিটারস ডট ইনফোর তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত …

করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৩৩ জন।
করোনায় আক্রান্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ জন।
সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫ জন।
চিকিৎসাধীন রোগী আছে ২৫ জন।

দিন দিন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অল্প অল্প করে বাড়ছে। ধারনা করা হচ্ছে এই রোগ আরও ভয়াবহ রুপ নিতে পারে। কারন বাংলাদেশে মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমান সচেতনতাবোধ এখন পর্যন্ত তৈরি করতে পারে নি সরকার। তবে সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া;সব ধরনের অনুষ্ঠানাদি বন্ধ ঘোষণা; নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান পাট ছাড়া যাবতীয় সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা সহ আরও আছে। তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে দ্রুতগতির কাজগুলো বাংলাদেশ সরকার ধীর গতিতে সম্পাদন করছে। যার ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম।

১-
তিনজন প্রবাসী ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধরা পড়ার পরবর্তীতে সরকার ধীরে ধীরে ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে শুরু করেছে। উচিৎ ছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত শুরুতেই সকল ফ্লাইট বাতিল করে দেয়া। ফলশ্রুতিতে মানুষ এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করতো না।

২-
মিশ্র কথাবার্তার কারনে চিকিৎসা সেবা দিন দিন ভঙ্গুর হচ্ছে। মুখে হাজারবার “দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলা হলেও” বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চিকিৎসা সেবায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে হাজার গুনে পিছিয়ে আছে। বর্তমানে যে একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমান পিপিই যোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ডাক্তারাও তাই এই সুযোগে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন।

৩-
করোনায় সরকারি হিসেব অনুযায়ী মোট মারা গিয়েছেন চার জন। আর এই চারজনের সবাই ছিলো বয়স্ক লোক। গবেষনায় জানা গেছে, করোনায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের অধিকাংশই ছিলো বয়স্কলোক। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে তারা শুরু থেকেই কোন না কোন একটি রোগে ভুগছিলেন। ফলে করোনায় আক্রান্ত হবার পর তারা খুবই দুর্বল হয়ে যান। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।যার ফলাফল হয় মৃত্যু।

৪-
বাংলাদেশ সরকার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যেমন ধামরাই উপজেলায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ইতালি ফেরত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন সেখান থেকে তাদের লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।

৫-
এনসিওভি-১৯ কিটের স্বল্পতা করোনা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এই যন্ত্রের অভাবে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।ফলে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছেই।

৬-
সবার জন্য সমান চিকিৎসা সেবা এখনো গড়ে ওঠেনি। না হলে মিরপুরের টোলারবাগে প্রথমে যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করতে যখন আইইডিসিআরকে বলা হয় তখন তারা করেনি। তাদের পক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছি শুধুমাত্র প্রবাসীদেরকেই তারা চেকআপ করবেন অন্যদেরকে নয়।

৭-
প্রতিদিন একটি এলাকায় করোনা রোগী ধরা খাওয়ার দরুন একটি একটি করে এলাকা লকডাউন করার কোন মানে হয় না। লকডাউন করলে একসাথে সব এলাকা লক ডাউন করা উচিৎ। কারন আজ একটি এলাকায় করোনা রোগী ধরা খাওয়ার কারনে লক করা হলেও উক্ত ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে ছিলেন তারা আবার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এটাকে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন যা মোটেও শুভ লক্ষন হতে পারে না।

এভাবে অজস্র দোষত্রুটি ধরা যাবে। সরকারের উচিৎ করোনা প্রতিরোধে ছোটখাটো সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়া। না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যেতে পারে আমার বিশ্বাস।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার ফলাফল

সন ২০১৬। সাইবার হ্যাকিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চুরি হয়ে যায় ৮ কোটি ১০ লক্ষ ডলার। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টার ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) সিস্টেমসে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে এ অর্থ ফিলিপিন্স ও শ্রীলংকার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল।

পরবর্তীতে নানান অনুসন্ধান পেরিয়ে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা আইনি প্রতিষ্ঠান “কোজেন ও’কোনর মামলাটির পক্ষে লড়েছিলো। ১৯-০০৯৮৩ নথিভুক্তি নম্বরের মামলার শিরোনামে ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক বনাম রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন। এই মামলার নথিতে উল্লেখ ছিলো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখায় রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেয়। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির মধ্যে ফিলিপাইনে যায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং শ্রীলংকায় যায় ২ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলংকা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখিত নথিতে ফিলিপাইনের আরসিবিতে বা রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনে পাচার করা হয়েছে ৮ কোটি ডলার। এবং এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা মানি লন্ডারিং এর বিধিবিধান পালন না করেই সেসব অর্থ ছাড় করার মাধ্যমে ক্যাসিনো সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাচারে সহায়তা করেছে। আর এই চুরিতে সহায়তা করেছিলো উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। এছাড়াও মামলায় আরো বলা হয়েছে, ই অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আরসিবিসি এবং এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে তা জেনেও অ্যাকাউন্ট খোলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর এবং পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার বিষয়গুলো কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ঘটতে দিয়েছেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনিও অপারেটর ব্লুমবেরি রিসোর্টস কর্পোরেশনের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলেছে,

২০ মার্চ মার্কিন আদালতে ষড়যন্ত্রের দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থতার জন্য বিবাদীদের দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করার প্রস্তাব অনুমোদন করে মার্কিন আদালত।

প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ ব্যাংক কি ভাবছে এই বিষয়ে?

এই প্রশ্নটির উত্তরও ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে প্রথম আলোকে জানিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চালানোর রায় না এলে তারা আপিল করবে। কারন উক্ত মামলা অন্য দেশে গেলে মামলায় তারা হেরে যাবে। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ স্থান।

সবচেয়ে অদ্ভূত ব্যাপার হচ্ছে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংক এতোদিন ধরে যে মামলাটি চালিয়েছিলো সেটা ছিলো ক্ষতিপূরন মামলা, টাকা উদ্ধার মামলা নয়। অন্যদিকে ফিলিপাইনের ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ১২ টি মামলা চলছে। মামলা চলার গতিবিধি বাংলাদেশের মতো বলে, সেখান থেকে টাকা উদ্ধারের কোন সম্ভাবনা নেই বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও সেদেশের আদালত বড় একটা এমাউন্ট জব্দ করে রেখেছে।

করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা

বিগত কয়েকমাস ধরে পৃথিবীতে সবচেয়ে আলোচিত বস্তুটির নাম নভেল করোনা ভাইরাস। ভাইরাসটির উৎপত্তি স্থল শুরুতে শুরুতে চীন থাকলেও এখন সেটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মোট করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত কেস পাওয়া গেছে ৩৪০৪০৮টি। যেখানে মারা গিয়েছেন ১৪৫৭৩ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন, ৯৭৫৭১ জন মানুষ। বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২১৭৬৪২ এবং মুছে দেয়া মামলার সংখ্যা হচ্ছে ১১২১৪৪টি। এখানে কয়েকটি দেশের করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলোঃ

করোনায় বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ইতালী। সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার দরুন সকল দেশকে ছাড়িয়ে প্রথমে অবস্থান করছে ইতালী। দিনের পর দিন দেশটি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৬৫১ জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন সেখানে। একেরপর এক স্বজন হারাতে হারাতে জনমনে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা যেন আরও কয়েকগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই মিনিট অন্তর একজন করে মারা যাচ্ছেন সেখানে। এখন ইতালী যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তি করোনা সঙ্কট দূরীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি জনগণকে মনোবল ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ফেসবুকে তার একটি হৃদয় বিগলিত করার মতো বক্তব্য পাওয়া গিয়েছে। সেটা ছিলো, এখন আকাশই একমাত্র ভরসা। জানি না এই ম্যাসেজের সত্য-মিথ্যা। তবে একটা উন্নত রাষ্ট্র হয়েও ইতালীতে এমন একটি অবস্থা তৈরি হবে কেউ কি ভেবেছিলো কখনও। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুক।তাদের সহায় হোক।

স্বদেশী ডায়েরীর আজকের পাতায়-২

১-
ঋতু পরিবর্তনের কারনে আমরা অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ি আর তা হলো সর্দি-কাশি এবং জ্বর। এসব করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন মনে হলেও এটাকে করোনায় আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন ব্যক্তির যদি জ্বর হয় আর সে জ্বরের সাথে যদি শুকনো কাশি হয় তাহলে সেটা নিয়ে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা ভাববেন তারা। আর সেটা নিশ্চিত করনের জন্যে পরীক্ষা করবেন। চিকিৎসক অন্দিরাম বলেছেন, কফ সাদা হলে চিকিৎসক বুঝবেন রোগী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তখন সেই সংক্রমণ থেকে বের করে আনতে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হবে। কাজেই জ্বর,সর্দি-কাশি হলেই করোনার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

২-
দেশজুড়ে যখন করোনা আতঙ্ক তারই মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য দশ হাজার টেস্টিং কিট ও ১০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেক্ট ইকুইপমেন্ট পাঠাচ্ছে চীন। করোনা মোকাবেলায় চীনের রাষ্ট্রদূত লী ঝিমিং বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে জানা গেছে, কিট রেডি আছে এখন যেকোন সময় পাঠাবে চীন।

৩-
করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রভাবে স্বদেশসহ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা নেমে এসেছে। অর্থনীতি যেমন বাধাগ্রস্ত তেমনি পর্যটন ব্যবস্থাও স্থবির। করোনা আতঙ্কে আকাশের বাহন এখন মাটিতে অবস্থান নিয়েছে, সমস্ত হোটেল-মোটেল বন্ধ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল এয়ারলাইন্সওয়ালাদের জন্য খুব কঠিন একটি বছর হতে চলেছে।

৪-
ঢাকার ধামরাই উপজেলার আটিমাইটাইন এলাকার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন থেকে ২৮টি সিলিংফ্যান চুরি হয়েছে। তবে এটার চেয়েও বড় বিষয় হলো, সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা ৭ জন ইতালী ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশীসহ মোট ১০ জন ব্যক্তির লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ফোনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্রও চুরি হয়েছে। এই বিষয়ে সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা ইফফাত আরার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে গেলে তার নম্বর মৃত ঘোষণা করা হয়।

৫-
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ দোকান-মালিক সমিতি আগামী ২৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল দোকান-পাট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে গ্যাস ও বিদ্যুত বিল ৩-৪ মাস দেরী করে দিতে পারবে জনগণ। আর সে জন্য অতিরিক্ত কোন চার্জ কাটা হবে না। কারন মানুষ যখন বিল জমা দিতে যায় তখন তারা একসঙ্গে দাঁড়ায়। এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্বদেশী ডায়েরীর আজকের পাতায়-১

১-
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স ছিলো ৭৩। তিনি যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসকগণ তার সমস্যা খুঁজে পায় নি। পরে তাকে মিরপুরের একটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় যেখানে একজন চিকিৎসক তাকে করোনা পজিটিভ বলে শঙ্কা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় যখন আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তারা নমুনা সংগ্রহে অস্বীকৃতি জানায়। কারন তিনি বিদেশ ফিরত ছিলেন না। কি অদ্ভুত এই সংস্থান!

২-
চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলায় ট্রাক-পিকাপ/লেগুনা সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জানা গেছে,যেখানে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে সেই এলাকা আগে থেকেই দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা। তাহলেই এটা যেহেতু আগে থেকেই দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা তাহলে এখন অব্দি এটাকে দুর্ঘটনামুক্ত করা যায় নি কেন?

৩-
ইতালী ফেরত প্রবাসীর সঙ্গে পাশাপাশি সিটে বসে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের একজন নার্স। বাসায় ফেরার পর তার জ্বর হয়। দেরী না করে রামেকে গিয়ে এই বিষয়ে পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফলাফল স্বরূপ তাকে করোনায় আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়। তারপর থেকেই তিনি আইসোলেশনে আছেন। জানা যায়, রামেকে করোনা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে তাকে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিরাময় ও গবেষণা কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর দিয়ে দেয়া হয়েছে।

৪-
আসছে ২৬ তারিখ মহান স্বাধীনতা দিবস। আর এই দিবসে বরাবরের মত এবার আর দেখা যাবে না স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গভবনে বিশিষ্টজনকে দেয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান।

৫-
নোয়াখালীর প্রবাসী আবদুর রহিম। স্ত্রী বকুল আক্তার এবং ৭ বছর বয়সী কন্যা রুপা আক্তার ও ৩ বছর বয়সী ফাতেমা আক্তারকে রেখে বিদেশ পাড়ি দেন। সাজানো-গোছানো সুন্দর সংসারই ছিলো। কিন্তু সময়ের পালাক্রমে সেটা রুপ নেয়ে ভয়াবহতায়। পারিবারিক কলহের কারণে শনিবার সকালে শশুড় বাড়ির লোকজন বকুল আক্তার ও তার দুই সন্তানকে বেধড়ক মারধর করে এবং এক পর্যায়ে মা-মেয়ে তিনজনের মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার বকুল আক্তার ও ফাতেমা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় রুপা আক্তার এখন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আছে।আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করুক।

আড়ালের দৃষ্টি

আড়ালের মাঝে থেকে
কি অমন দেখছো?
সিগারেট খাওয়া বুঝি
হয় না সহ্য?

কতই না বোকা তুমি
ভেবেছো কি কখনও?
শোনো ভালোবাসতে লাগে
এক আকাশ ধৈর্য!

নেই এই গুনটি
তোমার অনু ভাবনায়,
আছে কেবল একটাই
মোহ মনে যতনায়।

কাজেই,

টঙ্গের চেয়ার থেকে
দুরন্ত চেয়ে থেকো,
মাঝে সাঝে সুখটানে
আমিও চেয়ে রবো।

কি এমন মেয়ে তুমি
কি তোমার পরিচয়,
উত্তর চাই না
হৃদয়ে নেই সংশয়।

_মাহমুদুর রহমান।