শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী ( তৃতীয় পরিচ্ছেদ)

শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী ( তৃতীয় পরিচ্ছেদ)
সংগ্রহ ও সম্পাদনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

যুগ পুরুষোত্তম শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জীবনী

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র
জন্ম তাং: বাংলা ১২৯৫ সনের ৩০ ভাদ্র।(১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দ)
জন্মস্থানঃ পাবনা জেলার হিমাইতপুর গ্রামে।(হিমাইতপুরধাম)
পিতাঃ শিবচন্দ্র ।
মাতাঃ মনোমোহিনী দেবী ।
তিরোধানঃ ১৯৬৯ সনের ২৭ জানুয়ারি। (৮১ বছর বয়সে)
প্রতিষ্ঠিত আশ্রমঃ সৎসঙ্গ ।

গ্রন্থসমুহঃ
অনুকুলচন্দ্র তার জীবনকালে প্রায় ৪৬ টি গ্রন্থ রচনা করেন। তার মাঝে কিছু পুস্তকের নাম দেওয়া হলঃ
 ‘পুণ্যপুথি’
 ‘চলার সাথি’
 ’সত্যানুসরণ’
 ‘নানা প্রসঙ্গ’
 ’কথা প্রসঙ্গ’
 ‘বিবাহ বিধায়না’
 ’শিক্ষা বিধায়না’
 ’নিষ্ঠা বিধায়না’
 ’বিজ্ঞান বিধায়না’
 ’বিজ্ঞান বিভূতি’
 ‘সমাজ সন্দিপনা’ প্রভৃতি

ঠাকুর শ্রী শ্রী অনুকুলচন্দ্রের উপদেশঃ
1. তোমরা যে সম্প্রদায়েরই হও না কেন, মনে রেখ ঈশ্বর এক, ধর্মও এক।
2. থাকবি সংসারে, মন রাখবি ভগবানে।
3. ভগবানের পিছনে ছোট, শান্তি তোর পিছনে ছুটবে।

শ্রী শ্রী ঠাকুরের সত্যানুসরণ গ্রন্থ থেকে পাঠ

জগতে মানুষ যত কিছু দুঃখ পায় তার অধিকাংশই আসে কামিনী কাঞ্চনে আসক্তি থেকে, ও দুটো থেকে যত দূরে সরে থাকা যায় ততই মঙ্গল। ভগবান শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেব সবাইকে বিশেষ করে বলেছেন, কামিনী-কাঞ্চন থেকে তফাৎ তফাৎ খুব তফাৎ থাক।

কামিনী থেকে কাম বাদ দিলে ইনি মা হয়ে পড়েন। বিষ অমৃত হয়ে গেল। আর মা মা-ই, কামিনী নয়কো। মার শেষে গী দিয়ে ভাবলেই সর্বনাশ। সাবধান! মা কে মাগী ভেবে মর না। প্রত্যেক মাই জগজ্জনী। প্রত্যেক মেয়েই নিজের মায়ের বিভিন্ন রূপ, এমনতর ভাবতে হয়। মাতৃভাব হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত না হলে স্ত্রীলোকে ছুতে নেই—যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল; এমনি কি মুখদর্শন না করা আরও ভাল।

আমার কামক্রোধাদি গেলনা গেলনা বলে চিৎকার পাড়লে তারা যায় না। এমন কর্ম, এমন চিন্তা, অভ্যাস করে নিতে হয় যাতে কামক্রোধাদির গন্ধও নেই- মন যাতে ওসব ভুলে যায়। মনে কামক্রোধাদির ভাব এলে কী করে তার প্রকাশ পাবে? উপায় উচ্চতর উদার ভাবে নিমজ্জিত থাকা।

সৃষ্টতত্ব, গণিতবিদ্যা, রসায়ণশাস্ত্র, ইত্যাদির আলোচনায় কামরিপুর দমন থাকে। কামিনী কাঞ্চন সম্পর্কিত যে কোন প্রকার আলোচনাই ওতে আসক্তি এনে দিতে পারে। ও সব আলোচনা থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী ( তৃতীয় পরিচ্ছেদ)

  1. শ্রী শ্রী ঠাকুরের জীবনী ও বানী শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মি. ভাণ্ডারী।

  2. গল্প কবিতার জন্য শব্দনীড় এর বদনাম ইতিমধ্যে রটে গেছে কবি দা। গতানুগতিকের বাইরে এমন কিছু উপহার দিন যাতে করে শব্দনীড় স্বতন্ত্রতা সমুন্নত থাকে। ধন্যবাদ। :)

  3. প্রাণের ঠাকুরের চরণে ভক্তিপূর্ণ প্রণাম। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।