শরতের আগমনী

শরতের আগমনী
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ভোরের আলো ছড়িয়ে দিলো
আলোক ভুবনময়,
পূব আকাশে অরুণ হাসে
প্রভাত হাওয়া বয়।

টগর বেলি জুঁই, শিউলি
ফুটে আছে ফুল বাগে,
তরুর শাখে পাখিরা ডাকে
হৃদয়ে পুলক জাগে।

ঘাসের পরে শিশির ঝরে
সোনালী সকাল বেলা,
ধানের খেতে উঠলো মেতে
সোনা রোদ করে খেলা।

অজয় তীরে স্নিগ্ধ সমীরে
বটগাছ তলে বসি,
মধুর সুরে কেমন করে
বাজায় বাঁশি শশী।

মন মাতানো বাঁশির সুরে
পরাণ পাগল করে,
কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূ
জল নিয়ে যায় ঘরে।

দিঘির বাঁকে মরাল থাকে
পানকৌড়ি রোজ আসে,
নীল আকাশে মেঘেরা ভাসে
ফড়িং লাফায় ঘাসে।

ডুবলে বেলা সাঁঝের তারা
ফুটে সাঁঝের আকাশে,
জোছনা রাতে তারার সাথে,
চাঁদ বুঝি তাই হাসে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

14 thoughts on “শরতের আগমনী

  1. অজয় তীরে স্নিগ্ধ সমীরে
    বটগাছ তলে বসি,
    মধুর সুরে কেমন করে
    বাজায় বাঁশি শশী।

    সুন্দর কবি দাদা। :)

    1. ধন্যবাদ। সাথেই থাকবেন।
      জয়গুরু!

  2. সহজ এবং এমন সরল পদ্য সবসময় ভালো লাগে মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    1. সুন্দর মন্তব্যে আপ্লুত হলাম।
      কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
      জয়গুরু!

  3. শরতের আগমনী। দেখতে দেখতে শরত চলে এলো। শরতকাল রোম্যান্টিক সময়। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif.gif

    1. শরত এসে গেল। এল খুশির রভে রাঙিয়ে তোলার দিন।
      সাথে থাকবেন, জয়গুরু!

  4. দিঘির বাঁকে মরাল থাকে
    পানকৌড়ি রোজ আসে,
    নীল আকাশে মেঘেরা ভাসে
    ফড়িং লাফায় ঘাসে।

    আপনার পদ্য গুলো সব একই ধাঁচের হয়ে যাচ্ছে। মনে হয় এটা পড়েছি ওটা পড়েছি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. সু-পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
      জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।