গাঁয়ের টান মাটির গান গীতিকবিতা-৭

গাঁয়ের টান মাটির গান
গীতিকবিতা-৭

নদী চরে বসে বক
বেলা পড়ে আসে,
সূর্য ডোবে ধীরে ধীরে
পশ্চিম আকাশে।

পাখি করে কলরব
ফিরিছে বাসায়,
মাঠ হতে চাষীদল
ঘরে ফিরে যায়।

জ্বলে দীপ ঘরে ঘরে
সন্ধ্যা নামে গাঁয়ে।
ফুটে ওঠে লক্ষ তারা
আকাশের গায়ে।

চাঁদের জোছনা ঝরে
মাটির উঠানে,
সাঁঝের সানাই বাজে
শুনি দুই কানে।

ধীরে ধীরে রাত কাটে
ভোর হয়ে আসে,
পূব পানে দেখি চেয়ে
সোনা রবি হাসে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “গাঁয়ের টান মাটির গান গীতিকবিতা-৭

  1. অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি। আশা করবো ভালো আছেন। শুভ দিন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. ধীরে ধীরে রাত কাটে
    ভোর হয়ে আসে,
    পূব পানে দেখি চেয়ে
    সোনা রবি হাসে।

    এভাবেই আমাদের রাত আর দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। সাথে আমাদের সময়ও হিসাবের খাতা থেকে (–)কমে যাচ্ছে। তা একটু টেরও পাচ্ছি না। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।