গাঁয়ের টান মাটির গান গীতিকবিতা-৮

গাঁয়ের টান মাটির গান
গীতিকবিতা-৮

সকালে সোনার রবি উঠে পূবাকাশে,
পুঞ্জেপুঞ্জে সাদামেঘ গগনেতে ভাসে।
ফুল বনে ফুল ফুটে সৌরভ ছড়ায়,
তরুশাখে পাখী সব বসি গীত গায়।

সোনালী আভায় হাসে অজয়ের চর,
কুলু কুলু বহে নদী সদা নিরন্তর।
দূরে পিয়ালের বনে বাজিছে মাদল,
অজয়ের নদীজল স্বচ্ছ সুশীতল।

দুই তীরে কাশফুল শোভা মনোহর,
ধারে ধারে দেখি তার সরু বালিচর।
শঙ্খচিল উড়ে চলে মেলে দুই পাখা,
ওইপারে গ্রামখানি ছায়া দিয়ে ঢাকা।

শেফালি মালতী যুঁথী ফুল ফুটে বনে,
শরতের সোনা রোদ উঁকি দেয় মনে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

8 thoughts on “গাঁয়ের টান মাটির গান গীতিকবিতা-৮

  1. গাঁয়ের টান মাটির গান
    গীতিকবিতায় প্রাণঢালা শুভেচ্ছা প্রিয় কবি মি. ভাণ্ডারী। ধন্যবাদ। :)

  2. দূরে পিয়ালের বনে বাজিছে মাদল, অজয়ের নদীজল স্বচ্ছ সুশীতল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।